বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় শিক্ষক দিবস

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হলে, শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড গঠনের কারিগর। জাতির চালিকা শক্তি ঠিক রাখার জন্য শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একজন শিক্ষক মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিসরূপ প্রতিবছর এই দিনটিকে পালন করা হয়। পৃথিবীর সকল দেশের শিক্ষকসমাজের নিকট এই দিনটি অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদার। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনাগুলো তুলে ধরছেন মো. জুবাইল আকন্দ
  ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
শিক্ষার্থীদের ভাবনায় শিক্ষক দিবস

শিক্ষকের ছায়ায়,গড়ি নতুন সম্ভাবনা!

নওশীন ফারহান নওমী

শিক্ষার্থী, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া।

প্রতি বছর ৫ অক্টোবর আমরা শিক্ষক দিবস পালন করি, যা আমাদের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর একটি বিশেষ দিন। শিক্ষকরা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সঞ্চালক, যাঁরা জ্ঞান ও নৈতিকতার আলো দিয়ে আমাদের পথপ্রদর্শন করেন।

একজন শিক্ষক শুধু পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু শেখান না; তাঁরা আমাদের চিন্তাভাবনা, আত্মবিশ্বাস ও চরিত্র গঠনে অমূল্য ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের ধৈর্য ও নিষ্ঠা আমাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য।

শিক্ষকরা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তাঁরা শুধুমাত্র তথ্য দেন না, বরং জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়ে আমাদের উন্নতির পথে পরিচালিত করেন। প্রতিটি ছাত্রের মাঝে একজন শিক্ষক বিশ্বাস ও আশা রাখেন। তাঁরা নিজেদের সীমাবদ্ধতা কখনো প্রকাশ করেন না; বরং আমাদের সঠিক পথে নিয়ে যেতে সদা সচেষ্ট থাকেন।

শিক্ষকদের অবদান সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা একাধিক প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞানের সেতুবন্ধন তৈরি করেন। একজন ভাল শিক্ষক ছাত্রদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেন, তাঁদের মানসিকতা গঠন করেন এবং তাঁদের এমনভাবে প্রস্তুত করেন যেন তারা ভবিষ্যতে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে। তাঁদের শিক্ষা শুধু বিদ্যালয়ের দেওয়ালে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং তা জীবনব্যাপী চলতে থাকে।

আমাদের সমাজে শিক্ষকদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শিক্ষকদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষণ এবং মর্যাদা নিশ্চিত করা উচিত, যাতে তাঁরা আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারেন। বর্তমান প্রযুক্তিগত যুগে ডিজিটাল শিক্ষার সুযোগও তাঁদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় টেকনোলজি ও সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।

এ বছরের শিক্ষক দিবসে, আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রতি সর্বদা সম্মান প্রদর্শন করব এবং তাঁদের শ্রমের মূল্যায়ন করব। শিক্ষক দিবস শুধু একটি দিবস নয়; এটি আমাদের শিক্ষকের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি উপলক্ষ। আসুন, আমরা এই দিনে তাঁদের শীর্ষ সম্মান দিই এবং ভবিষ্যতে যেন তাঁদের শিক্ষার প্রতিফলন আমাদের জীবনে সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাই।

আমাদের শিক্ষকদের প্রতি এই শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রতিদিন প্রকাশ করার চেষ্টা করা উচিত, কারণ তাঁদের অবদান কখনো-ই ভুলে যাওয়ার নয়। শিক্ষার এই যাত্রায়, আমাদের শিক্ষকরা যেন জানেন, তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ। শিক্ষকেরা আমাদের জীবনের আলোকিত দিশারী; তাঁদের অঙ্গীকার আমাদের সফলতার চাবিকাঠি।

শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগর

ছাবিহা জামান

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।

আমাদের মৌলিক চাহিদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো শিক্ষা। সমাজে সুষ্ঠুভাবে বসবাস করার জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষা একটি জাতিকে অন্য জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ করে। আমরা জানি শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর এই মেরুদন্ড তৈরির কারিগর হলো শিক্ষক। শিক্ষক তার মেজিক্যাল শক্তি দ্বারা পুরো জাতিকে পরিবর্তন করতে পারে। একটি সুশিক্ষিত জাতির পেছনে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। একজন শিক্ষক তার শিক্ষা, দক্ষতা, জ্ঞান, শিক্ষা সুলভ ও শিক্ষার্থী সুলভ আচরণের জন্য সর্বজন সমাদৃত। শিক্ষকতা একটি পরিশুদ্ধ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশংসনীয় পেশা। যেখানে অন্যায়, দুর্নীতি ও লেজুড়বৃত্তিকতার সুযোগ নেয়। একজন শিক্ষক সর্বজন পূজনীয়। অথচ সমসাময়িক পরিস্থিতিতে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। যখন থেকে শিক্ষকরা শাসন করা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে তখন থেকেই কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের আচরণে শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে শুরু করেছে। নব্য স্বাধীন দেশে বিষয়টি যেন আরো মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে। একজন ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পর্যন্ত শিক্ষকের সাথে খারাপ আচরণ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। ভুলে যায় শিক্ষকরা পিতৃতুল্য ও মাতৃ তুল্য। শিক্ষকের সামনে বুক উঁচিয়ে কথা বলা, অহেতুক তর্ক করা, পা নাচিয়ে কথা বলা, বিভিন্ন খারাপ শব্দ ব্যবহার করে টিটকারি দেয়া, গায়ে হাত দেয়া। আবার কিছুদিন আগে নতুন ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হয়েছে, শিক্ষকদের পদত্যাগ করানো। এসব খারাপ আচরণ দ্বারা শিক্ষকদের অপদস্থ করা শিক্ষার্থীদের নিত্য অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যা একজন শিক্ষকের জন্য সবচেয়ে অপমানজনক এবং লজ্জাজনক। তাঁরাও বিভিন্ন কারণবশত এসব অপমান সহ্য করে নেয়। শিক্ষকরা এমন আচরণের প্রাপ্য না। তারা বহুলাংশে সম্মানীয়। শিক্ষকরা একটি জাতির রূপকার, মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের সম্মান ক্ষুন্ন না করে তাদের সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার আদায়ে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। তবেই একজন শিক্ষকের হাত ধরে সুশিক্ষিত জাতি গড়ে উঠবে।

শিক্ষক হোক আদর্শ

আবু জাহিদ

শিক্ষার্থী, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া।

শিক্ষক, এই শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে একজন আদর্শ মানুষের ছবি। একজন শিশুর জন্মের পর বাবা-মায়ের পরে শিক্ষকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিক্ষক শুধুমাত্র জ্ঞানের আধার নন, বরং তিনি একজন মূল্যবান জাতি গঠনের কারিগর। তিনি আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনার দিকনির্দেশনা দেন। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। প্রতিবছর ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষকদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের সন্তানের মত মায়া-মমতা দিয়ে পাঠদান করিয়াছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ধৈর্য ও নিঃস্বার্থ সেবার জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। শিক্ষকরা শুধু আমাদের জ্ঞানী দেন না বরং জীবনের নানা দিক শেখান। তারা আমাদের চরিত্র গঠন ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষক দিবসে আমরা সকলে মিলে আমাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের আশীর্বাদ কামনা করি। আশা করি, তারা সবসময় সুস্থ থাকবেন। এবং আমাদের মতো অনেক শিক্ষার্থীকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করবেন।

মানব জীবনে শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিসীম

নুসরাত জাহান জেরিন

শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

ছোটবেলা থেকেই জীবনকে সুন্দর করার প্রয়াসে মা-বাবার পরে শিক্ষকই অন্যতম পথপ্রদর্শক। পারিবারিক শিক্ষায় যেমন মা- বাবার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ তেমনই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে নৈতিকতা শিক্ষায় আদর্শিক মানুষ হওয়ার পিছনে, শিক্ষকের অবদান অনন্য।শুধু ুশিক্ষক দিবসেচ্ই নয় জীবনের নানা অঙ্গনে, নানা কাজে শিক্ষকদের অবদানের কথা মনে পড়ে শ্রদ্ধার সাথে।

ছাত্রজীবন থেকেই জ্ঞান সম্পন্ন সুনাগরিক হওয়ার পিছনে সু-শিক্ষার আলোর বিকল্প নেই। চলার পথে নান্দনিকতার ছাপ রাখতে আলোকিত মানুষ হতে শিক্ষা এবং শিক্ষক এই দু্থটি শব্দই একে অপরের সাথে সংযুক্ত।

একজন প্রকৃত শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু সিলেবাসের নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তক পড়তে-লিখতে শেখানোতেই সীমাবদ্ধ থাকেন না, সৃজনশীলতা বিনয়-উদারতা- মানবতাবোধ, শুদ্ধাচার ও সামাজিক মূল্যবোধ বজায় রাখার শিক্ষাও দিয়ে থাকেন। একজন শিক্ষক স্কুল জীবন থেকেই অধ্যবসায়, জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সুন্দর জীবনাচার সু-প্রতিষ্ঠিত করতে স্বপ্নের সাথে গভীরভাবে পরিচয় করিয়ে দেন।

একটি চারাগাছকে যেমন পরিচর্যা করে বড় করা হয় দিনে-দিনে ঠিক তেমনই একজন শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীদের জীবনের সর্বোচ্চ সফলতা অর্জনের জন্য খুঁটি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, স্বপ্নগুলোর যত্ন করেন। যা আমরা দিনে-দিনে বড় হয়ে স্বপ্নের কাছাকাছি আসতে না পারলেও ভীষণভাবে শিক্ষকের অবদান টের পাই।

শিক্ষার আলো ছড়াতে জীবনধারার স্বাদকে দারুণভাবে উপলব্ধি করার জন্য শিক্ষক তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তুলতে চান,যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন সুন্দর ও স্বার্থক হয়। এমন নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে বিলিয়ে যেতে পারেন পৃথিবীতে কেবল একজন শিক্ষকই। আজ ুশিক্ষক দিবসেচ্ প্রত্যাশা শিক্ষকদের অবদান সকলের শ্রদ্ধায় থাকুক অমলিন।

"শিক্ষক" অজ্ঞানতার অন্ধকারের জ্ঞানমশাল"

বাঁধন বৈষ্ণব

শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ,ঢাকা।

ধরিত্রীর বুকের সকল অজ্ঞানতা, ক্লেশ, সংকীর্ণতা আর অহমিকা দূরীভূত করার কান্ডারী হলেন শিক্ষক। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মাঝে যিনি করেছেন জ্ঞানবিতরনের ব্রত গ্রহণ। যার বিশালতা মহাকাশের মতোই চির অম্লান ও শাশ্বত। সৃষ্টিলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত সেই পুন্যাত্মারা হয়ে আছেন জগতব্যাপী আমাদের হৃদয়ের শ্রদ্ধার শীর্ষে। যার ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। নিজ সন্তানসম স্নেহ আর ভালোবাসায় যিনি আমাদের স্বপ্ন দেখান বিশ্বজয়ের তিনিই হলেন শিক্ষক। সমাজের সকল পেশার উর্ধ্বে যে পেশা, তা হলো শিক্ষকতা। মাতা-পিতার পর প্রতিটি মানবশিশু শিক্ষকদের থেকেই গ্রহণ করে নৈতিকতা, শিষ্টাচার, মানবিকতা আর সহমর্মিতার মতো উজ্জ্বল গুণগুলো। তাদের নির্দেশিত বাণীগুলোই হয়ে ওঠে আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপের মূলমন্ত্র হয়ে। প্রতিটি ধর্মেও যাকে বর্ননা করা হয়েছে মহাত্মা হিসেবে। ধর্মীয় নীতিতে পঞ্চগুরুর মধ্যে অন্যতম হলেন শিক্ষক। আমাদের অজ্ঞানতার মাঝে আলোদানকারী জ্ঞানমশালসম শিক্ষকদের সাথে আমাদের মধুর সম্প্রীতির সম্পর্কগুলো চির অম্লান হয়ে থাকুক। আমাদের সকলের হৃদয়ে বিশ্বের সকল শিক্ষকদের প্রতি সম্মান সদা জাগ্রত থাকুক বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সেই প্রত্যাশা করি।

শিক্ষকের মর্যাদা সমুন্নত হোক

তপন কুমার ঘোষ

শিক্ষার্থী, সরকারী মুকসুদপুর কলেজ, গোপালগঞ্জ।

শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। পৃথিবীতে যত জ্ঞানী-গুণী, মহৎ ব্যক্তি আছেন প্রত্যেকেই কোন না কোন শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষালাভ করেছেন। শিক্ষক শুধু পড়াশোনা নয় বরং নৈতিকতা, মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের শিক্ষা দিয়ে আমাদের উত্তম মানুষ রূপে গড়ে তোলেন। তাই শিক্ষিত ব্যক্তি মানেই শিক্ষকের কাছে ঋণী। সন্তান যেমন কখনোই বাবা-মায়ের ঋণ শোধ করতে পারে না। তেমনি একজন শিক্ষার্থীর দ্বারা ও শিক্ষকের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।

কিন্তু বর্তমান সমাজে শিক্ষকরা অবহেলা ও লাঞ্ছনার শিকার। ছাত্র থেকে শুরু করে অভিভাবক, সকলের দ্বারাই হেনস্থার শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা মাথার মুকুট হ?ওয়ার পরিবর্তে, ছাত্রদের হিংস্র থাবায় পড়ে জীবন, সম্মান হারিয়েছে অনেকেই। এই লজ্জা কারো ব্যক্তিগত নয়। এই লজ্জা সমগ্র জাতির! তাই জাতির মেরুদন্ড গঠনের কারিগরদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্‌বান জানান।সেই সাথে সুশিক্ষিত ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ব্রত গ্রহণ করুন। ্তুআজ থেকে চির উন্নত হোক শিক্ষা গুরুর শীর - শিক্ষক দিবসে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের কাছে।্থ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে