হেমন্ত ঋতুর রজনীকে সুবাসিত করে তোলে যে ফুল, সে ফুল ছাতিম ফুল। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর থেকে ছাতিম ফুলের মনোরম গন্ধ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। রাতের আঁধার নেমে আসলে সেই গন্ধ আরও ঘন হয়ে ওঠে এবং চারপাশকে করে তোলে মাতাল। শিহরণ জাগায় মানুষের প্রাণ ভমরায়।
তেমনি করে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের পিচঢালা রাস্তায় ঝাঁকড়া পত্রপলস্নবের মাঝে দাঁড়িয়ে ক্যাম্পাসের প্রকৃতিতে সুঘ্রাণ বিলাচ্ছে ছাতিম গাছ। অনেকের কাছে ক্যাম্পাসের এই জায়গাটি 'ছাতিম চত্বর' নামেও পরিচিত।
দিনের রোদে কখনো ছাতা হয়ে ছায়া দেয়, আবার সন্ধ্যা নামলেই গল্প আর চায়ের আড্ডায় মেতে থাকা শিক্ষার্থী কিংবা দর্শনার্থীদের মোহনীয় গন্ধে বিমুগ্ধ করে তোলে এই মায়াবী সুঘ্রাণের বৃক্ষ। পথিকের দৃষ্টি কাড়তে বাধ্য চিরসবুজ দুধকষভরা নয়নাভিরাম এই বৃক্ষ। মনে হয় যেন ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো কোনো মহান পুরুষের মতো দাঁড়িয়ে আছে সপ্তপর্ণী তীব্রগন্ধী এই বৃক্ষ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হায়দার মুন্সি বলেন, এমন মুগ্ধ করা সৌন্দর্যমন্ডিত গাছ দেখে দৃষ্টি এড়ানো অসম্ভব প্রায়। শীতের আগমনী হাওয়ায় যখন ছাতিম ফুলের সুঘ্রাণ ছড়ায় পাখির গানের সঙ্গে, তখন যে কেউই বিমোহিত হবে। হৈমন্তিক আবেগের অন্যতম উৎস এই ছাতিম ফুল। ক্যাম্পাসে জ্যোৎস্নাময় রাতে ছাতিম গাছের ফুলগুলোকে যেন আকাশের তারা মনে হয়।