বিনামূল্যে নানামুখী মানবিক কাজ করেন যে নারী
প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
বোরহান উদ্দিন
ছোটবেলা থেকে যার অসহায় মানুষের প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা অনুভব হয় এবং বিপদে পড়লে চেষ্টা করেন, সাধ্যমতো পাশে দাঁড়ানোর বলছিলাম - ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় আ. মন্নান আকনের মেয়ে নাবিলা আক্তার বীণার কথা। বর্তমানে তিনি বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে পড়ালেখা করছেন। পাশাপাশি নানামুখী মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই ঢাকা মেডিকেলে প্রথম রক্তদানের মাধ্যমে শুরু হয় মানবিক কাজের পথচলা?। নির্দিষ্ট সময় পর নিয়মিত রক্তদান করেন, বস্তিতে শুরু করেন স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে প্রাইভেট পড়ানো।
এরপর ২০১৯ সালে ফেব্রম্নয়ারি মাসে যখন চকবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে, তখন আগুনে দগ্ধ রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করে দিয়ে পাশে দাঁড়ান। সে সময় ' বস্নাড ভলান্টিয়ার' হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন সবার মাঝে। যুক্ত হন ৭ কলেজ বস্নাড অর্গানাইজেশন নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে। (কোভিট ১৯) সময়ও মানবিক কাজে দেখা যায় তাকে। বর্তমানে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বস্তি, ঢাকার রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পথশিশুদের পাঠদান করান। সম্প্রতি স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর পুলিশ কর্মস্থলে না ফেরায় রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়, এই মানবিক নারীকে।
মানবিক কার্যক্রম নিয়ে নাবিলা আক্তার বীণা বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব, মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়াব। অসহায়, পথশিশুদের শিক্ষা দিয়ে মানবসম্পদে পরিণত করতে চাই। শিক্ষার আলো তাদেও ভেতর প্রবেশ করলে (ছিনতাই, চুরি, মাদক বিক্রি ও সেবন) এগুলো করবে না। তারা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষাদান করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, অসহায় মানুষের ভালোবাসা আমাকে আরও বেশি মানবিক কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেয়। নারী হিসেবে মানবিক কাজের শুরুতে বিভিন্ন সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। সমালোচনাকে পেছনে ফেলে, নিজের অদম্য সাহস ও ইচ্ছা শক্তির জোরে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার মানবিক কাজের সুফল পাচ্ছেন অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত, পথশিশুসহ সাধারণ সব পর্যায়ের মানুষ।
তার নামামুখী মানবিক কার্যক্রমের মধ্যে- বিনামূল্যে মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত ম্যানেজ করে দেওয়া, পথশিশুদের ভাসমান স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষাদান, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের খাবার বিতরণ কার্যক্রম উলেস্নখযোগ্য।
ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে সমালোচনাকে পেছনে মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা যায়, মানবিক নাবিলা আক্তার বীণা তার দৃষ্টান্ত উদাহরণ।