এক সময় কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে গান, আড্ডার প্রাণকেন্দ্র ছিল বাবুই চত্বর আর সানসেট ভ্যালি। যত্ন ছাড়া যেমন প্রিয় জিনিস হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি অযত্নে আর অবহেলায় হারিয়ে গেছে কুবির দুটি চত্বর। চত্বরগুলো এখন কেবলই স্মৃতি হয়ে বেঁচে আছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে ঢুকতেই দেখা মিলত বাবুই চত্বরটি। অভিন্ন নামের কারণে সবার কাছে পরিচিত ছিল এই চত্বরটি। বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা বাবুই চত্বর ছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় একটি স্থান। ক্লাস বিরতির ফাঁকে বাবুই চত্বরের দোলনায় বসে দোল খাওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকা চত্বরটি তার অস্তিত্ব হারিয়েছে।
বাবুই চত্বরের স্মৃতিচারণ করে কুবির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা বেগম বলেন, বাবুই চত্বর করা হয়েছিল যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা এখানে বসে আড্ডা দিতে পারে, আমি ছুটিতে আসার পর চত্বরটির রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারিনি। অযত্নে চত্বরটি হারিয়ে গেছে। আমরা আবার এই চত্বরটি নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা করব। আমি চাই ক্যাম্পাসে আড্ডার সংস্কৃতিটা বজায় থাকুক।
কুবির আরও একটি চত্বর সূর্যের শেষ বিকেলের আলোর মতোই ডুবে গেছে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় তৈরি করা সানসেট ভ্যালি। শিক্ষার্থীদের গান, আড্ডায় সারাক্ষণ মেতে থাকত এই চত্বরটি।
হারিয়ে যাওয়া এই চত্বরগুলো শিক্ষার্থীদের ব্যথিত করে। শিক্ষার্থীরা বলেন, বাবুই চত্বর ও সানসেট ভ্যালি আমাদের প্রিয় জায়গা ছিল। ক্লাস বিরতির ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুর সঙ্গে জম্পেশ আড্ডা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চত্বরগুলো অযত্ন আর অবহেলায় হারিয়ে গেছে। নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, কুবির বাবুই চত্বরের নাম অনেক শুনেছি, কিন্তু বাস্তবে এই চত্বরটি দেখা হয়নি। শিক্ষার্থীরা তাদের আশা ব্যক্ত করে বলেন, ক্যাম্পাসের এই চত্বরগুলো আবারও আগের রূপে ফিরে আসুক। আবারও যেন পাই দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের হই-হুলেস্নাড়।