তারুণ্যের ভাবনার বিকাশে লেখালেখি
লেখালেখি- কারও কাছে শখ কিংবা কারও কাছে সমাজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার এক অনন্য তাড়না। এর মাধ্যমে যেমন একজন ব্যক্তির চিন্তাশীল ধারণার বহিঃপ্রকাশ ঘটে, তেমনি একজন লেখকের লেখনীতে উঠে আসে রাষ্ট্রের অগোচরে, গোচরে থাকা বিভিন্ন ঘটনা ও সমস্যা এবং সেগুলো থেকে পরিত্রাণের যথার্থ সমাধান। কেউ লেখালেখিতে যুক্ত থাকে তার সৃজনশীল চিন্তাশক্তিকে রঙিন করে তুলে ধরতে, কেউবা হাতে-কলম তুলে অন্যায়-অপরাধের প্রতিরোধে। লেখালেখি শুধুই পত্রিকায় প্রকাশের জন্য নয় বরং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে; তরুণ লেখকের মনোভাব তুলে ধরেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্সের সাংগঠনিক সম্পাদক সাফা আক্তার নোলক
প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
আত্মার বিকাশ ও সৃজনশীলতার জন্য পত্রিকায় লেখার বিকল্প নেই
আবির হাসান সুজন
শিক্ষার্থী, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ
সাবেক সভাপতি, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স
তারুণ্যের বিকাশের প্রধান মাধ্যম হলো সংবাদপত্র। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে মধ্যে সহযোগিতা ও গবেষণার ফুল ফুটানোর জন্য লেখালেখির বিকল্প নেই। তরুণ সমাজকে নতুন পরিকল্পনা ও দেশকে অগ্রসর করার জন্য আমার কলাম লিখি। তবে এই লেখালেখি বা কলাম লেখার ক্ষেত্রে থাকতে হয় উপস্থিত বুদ্ধি এবং সৃষ্টিশীলতা সঙ্গে সৃজনশীলতা। মানতে হয় নানা বিধিনিষেধ। তবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তারুণ্যের অন্তরে যে দীপশিখা প্রজ্বলিত হয়েছে, তা যুগে যুগে অম্স্নান ও প্রজ্জ্বলিত করার জন্য লেখালেখির বিকল্প নেই। দেশ বা জাতির এগিয়ে চলার প্রেরণা দিতে তরুণদের মেধা, মনন ও কল্যাণের অনুগামী করতে ও নেতিবাচক নীতির পথে পরিচালিত হওয়ার মহাসংকট দূর করার জন্যই এই কলাম লেখা। আত্মার বিকাশ কিংবা পরিশুদ্ধি করতে, সমাজ সংস্কারের মূল চালক তরুণদের উৎসাহ দিতে পত্রিকায় লেখালেখি করতে হবে। তাই ব্যক্তি, সমাজ দেশ ও জাতির কল্যাণ ও মঙ্গলের লক্ষ্যে তরুণসমাজকে পত্রিকায় নিয়মিত লিখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
লেখালেখি হোক তারুণ্যের মানসিক বিকাশ ও সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার
মাহমুদুল হাসান মিল্টন
শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স
লেখালেখি একজন ব্যক্তির বিকাশে গভীর এবং বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলে। এর মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র চিন্তাভাবনা প্রকাশ করি না, বরং আত্ম-আবিষ্কার, সৃজনশীলতা এবং মেধার বিকাশও সাধন করি। এটি আমাদের মননশীলতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারুণ্যের বিকাশ এবং চিন্তাধারা গঠনে এটি অপরিহার্য। লেখালেখি এমন একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে অভাবনীয় সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায়। যদি এই বীজ তারুণ্যের মধ্যে শোভা পায়, তবে তা সমাজ ও দেশের জন্য হবে অতি মঙ্গলজনক। এটি শুধু তাদের মেধাকে বিকশিত করে না, বরং দেশ ও সমাজ নিয়ে ইতিবাচক চিন্তাগুলোর উৎকর্ষ সাধনেও সহায়ক হয়। তবে লেখালেখি শুধুমাত্র পত্রিকায় প্রকাশের জন্য না হয়, বরং মানুষের মনুষ্যত্ববোধের বিকাশের জন্যও হওয়া উচিত। এতে করে এটি সমাজ সংস্কারের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। কোনো সমস্যা পত্রিকায় লেখা হলে তা দ্রম্নত সমাধান হয়, যা প্রশংসার দাবিদার। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে লেখালেখি একটি কার্যকর মাধ্যম হতে পারে। এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ চিন্তা এবং অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার সুযোগ দেয়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। নিজের মানসিক বিকাশ এবং সমাজের উৎকর্ষতায় লেখালেখি হোক নিয়মিত চর্চার বিষয়বস্তু।
ভালোলাগা থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি
সাদিয়া আফরিন মৌরি
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ
সহ সভাপতি, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কনটেন্ট রাইটার্স
লেখালেখির শুরুটা হয় ভালোলাগা থেকে। ছোট থেকেই অনেক বই পড়তাম। বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিখতেও বেশ ভালো লাগতো। তখন থেকেই গল্প, কবিতা লিখতাম। কলাম, ফিচার লিখার সূচনা হয় মূলত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে। কয়েকজন বড় ভাই-আপুর সহযোগিতায় নিয়মিত পত্রিকায় লিখতে শুরু করলাম। প্রথম প্রথম খুব আনন্দ লাগতো এটা ভেবেই যে, পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুঝলাম, লেখালেখির স্বার্থকতা সৃষ্টি হয় সমাজে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করার মাধ্যমে। আমার একটা লেখা পড়ে কয়েকজন লেখালেখি সম্পর্কে আগ্রহী হবে, সমাজের সমস্যার কথা ভাববে; তারাও সমাজের সমস্যা সমাধানের জন্য লেখালেখি করবে। এখানেই তো প্রাপ্তি। লেখালেখি করতে গেলে প্রায়শই বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়, যেমন কোন ধরনের টপিকে লিখব, কীভাবে লিখব, কীভাবে মেইল করব। এই সমস্যাগুলোর সমাধান ও খুব সহজ আর তা হলো পত্রিকার বিভিন্ন লেখাগুলো পড়া অথবা যারা দীর্ঘদিন লেখালেখি করে তাদের সাহায্য নেওয়া। সবকিছুর মতো লেখালেখিতেও চ্যালেঞ্জ আছে, সেসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে লেখালেখির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে; কারণ লেখালেখি মাধ্যমে মানুষের মন কোলাহল মুক্ত হয় এবং সমাজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত হয়।
লেখা জ্ঞানের অন্বেষণ তৈরি করে
সাকিবুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ
দপ্তর সম্পাদক, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স
লেখা একটি সৃজনশীল এবং নান্দনিক শিল্প। যুগপরম্পরায় জ্ঞানের বিকাশ ও সংরক্ষণের মাধ্যম হয়ে এসেছে লেখালেখি। নানা গ্রন্থে তা সংরক্ষিত রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, অধিকাংশ মানবসমাজকে সুগঠিত করতে লেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। লেখা জ্ঞান-হস্তান্তরের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথা বা রীতি। অনেক সময় লেখা প্রতিরোধের হাতিয়ার এবং সমাজ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। লেখার শুরুতে একটি কাঠামো তৈরি করা অতি আবশ্যক। লিখন ধীরগতির চলমান একটি প্রক্রিয়া হওয়ায় দক্ষ লেখক হতে হলে ধৈর্য, সময় ও নিষ্ঠার সঙ্গে এবং লেখার প্রতি প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ থেকে অবিচল চর্চা চালিয়ে যাওয়া। তথ্য না জানলে ভালো লেখা তৈরি হয় না। দুনিয়াতে কত লোকের জন্ম হয়েছে; কত শাসক, রাজা চলে গেছেন! দুনিয়া কাঁপিয়েছেন অনেক বিশ্বনেতা; কিন্তু তারা দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছেন। সৃষ্টিশীল কর্ম দ্বারা আজও অনেকে বেঁচে রয়েছেন মানুষের মনমন্দিরে। বেঁচে থাকবেন আরও সহস্র বছর ধরে। ভাবনা অনেকের মধ্যেই থাকে। তার প্রকাশ না ঘটলে তা অনর্থক। লেখালেখির মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকার চিরঞ্জিব বাসনা তৈরি করে লেখকের মনে। যাদের কাজ, চিন্তা ও মূল্যবোধ মানুষের জীবনকে গভীরভাবে স্পর্শ করে যায়, তারা শারীরিকভাবে গত হলেও মানুষের জীবন ও চেতনায় থেকে যান। লেখালেখির মাধ্যমে ন্যায়ের পথে মহান দায়িত্ব পালন করে আলস্নাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ আমরা গ্রহণ করতে পারি। পারি রেনেসাঁকে প্রস্ফূটিত করতে। ছড়িয়ে দিতে পারি চতুর্দিকে।
যে লিখতে জানে সে সৃষ্টি করতে জানে
জুনায়েদ মাসুদ
শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
অর্থ সম্পাদক, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স
মানুষের চিন্তাগুলো হয় আকাশের মেঘের মতো। কখনো পুরো আকাশটাকে ছেয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে সূর্যের ঝলমলে আলোতে আবার মিলিয়ে যায়। আকাশ যেমন সর্বদা মেঘকে ধরে রাখতে পারে না, তেমন মানুষও সর্বদা মনের আকাশে চিন্তার মেঘকে ধরে রাখতে পারে না। তবে, যায়া চিন্তাগুলোকে কলম হতে নিঃসৃত বর্ণ, শব্দ আর বাক্য দিয়ে গেঁথে ফেলতে জানে তারা তাদের মনের আকাশের মেঘকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার যখন ইচ্ছা সেই আকাশের মেঘ ঝরিয়ে ভিজতে পারে, পারে অন্যকে ভেজাতে। মানুষের চিন্তা সৃষ্টিশীল। সে চিন্তা দিয়ে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে, করে কাব্য রচনা। কখনো তার চিন্তার মেঘ থেকে হয় বজ্রপাত। সে বজ্রপাতে হয় দুষ্টের দমন, হয় শিষ্টের লালন। সে তার লিখনি দিয়ে যে অবদান রেখে যেতে পারে, তা স্মরণীয় হয়ে থাকে ইতিহাসের প্রতিটি কোণে। এমন সৃষ্টিশীল চিন্তাগুলোকে আমাদের কলমের কালিতে ধরে রাখতে হবে।
লেখালেখি হোক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার
মাইনুল ইসলাম অমি
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ
কার্যনির্বাহী সদস্য, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স
লেখালেখি শুধু মাত্র কয়েকটি শব্দ নয়; বরং সমাজ, দেশ পরিবর্তনের বড় একটি হাতিয়ার। লেখালেখির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, আশা, ভাবনাকে দেশ ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা সম্ভব। লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা, তবে সুনাম ও খ্যাতির জন্য করা লেখালেখি কখনোই দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। লেখালেখি মাধ্যমে যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ, গঠনমূলক সমালোচনা করা যায়। লেখালেখি কারও কাছে শখ অথবা পেশা। আমার কাছে শখ। নিজ চোখে দেখা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান চেয়ে অথবা প্রতিবাদী বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি আমার শখ। সমাজকে বদলে দিতে লেখালেখির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সব প্রজন্মের মানুষকে লেখালেখির মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে।
তারুণ্যের মুক্তমনার চর্চা হোক লেখনীতে
আফরিতা মাহ জাবিন রুন অমি
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ
সদস্য, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স
পুরনো ইতিকথা জানতে, সমাজ সংস্কারে, জনসচেতনতায় কিংবা জ্ঞান ভাগাভাগিতে লেখালেখি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব অতীত বিশ্লেষণ করলে লক্ষ্যণীয়, সতীদাহ প্রথা বাতিল করতে রাজা রাম মোহন রায়ের মতো সমাজ সংস্কারকও 'প্রবর্তক ও নিবতকের স্বাদ' নামক পুস্তক রচনা করেছিলেন। পরে একাধিক পুস্তক রচনার মাধ্যমে এই কুসংস্কার 'সহমরণ প্রথা' নিষিদ্ধ হয়।? এ ছাড়া গবেষণায় প্রমাণিত নিয়মিত লেখালেখিতে ব্যক্তি মনে হতাশা দূরীভূত হয় এবং চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পায়। পত্রিকা অথবা পুস্তকে লেখার মাধ্যমে সর্বসাধারণে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তি মনের চিন্তা, জ্ঞান ছড়িয়ে পরে সবার মধ্যে। আধুনিক সময়ের বহুত আলোচিত নারী-পুরুষ সমতা, মিসোজিনি, মানসিক স্বাস্থ্য, মানবাধিকার নিয়ে চর্চা, চিন্তা সব কিছুর সমন্বয় হয় লেখালেখিতে। তাই তরুণ মন বিকাশে, সমৃদ্ধ মনন চর্চায় পত্রিকা, পুস্তক কিংবা নিজের ব্যক্তিগত কিছু পৃষ্ঠায় যেখানেই হোক লেখালেখি করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেই সম্ভব তারুণ্যের বিকাশ
সোহানা চৌধুরী
শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ
সদস্য, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স
তারুণ্যের বিকাশে অমূল্য একটি হাতিয়ার হচ্ছে লেখালেখি। এটি কেবল পত্রিকায় প্রকাশের জন্য নয়, বরং সমাজে ইতিবাচক নানা পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবেও কাজ করে। তরুণ লেখকরা তাদের চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে সামাজিক অসমতা, বৈষম্য ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করতে পারেন, যা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নানা পরিবর্তন আনয়নে সহায়ক। তবে, লেখালেখির পথে অনেকেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কোনো সমস্যার বিরুদ্ধে তারা চাইলেও মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। কারণ আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মুখে মুখে দেওয়া হলেও সত্যিকার অর্থে সেই স্বাধীনতা আমাদের নেই। তাই সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহিত করতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই লেখালেখি তরুণদের বিকাশ ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।