গারো পাহাড়ে একদিন

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

গাজী আজম হোসেন
গত ২৭ থেকে ৩০ জুন গাইবান্ধার প্রোগ্রাম শেষে ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রস্তুতিই নিচ্ছিলাম। কিন্তু হুট করেই তাহসিন ভাই বললেন তোমরাও আমাদের সঙ্গে চল। আমরা বালাশীঘাট হয়ে জামালপুর যাব। সঙ্গে রাকিব ভাইও বলছিলেন চল একটু ঘুরাঘুরি করি। তাহসিন ভাই আহসান ভাইকে বলতেছিলেন এই সুযোগ আর পাবা না। আমি আর আহসান ভাই রাজি হয়ে গেলাম। ওই দিকে পৌর পার্কে আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন জাহাঙ্গীর ভাই। উনাকে সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা হলাম বালাশীঘাট। নৌকায় ওঠে খানিকটা মাঝ নদীতে আসার পর হঠাৎ বৃষ্টি। সম্বল হিসেবে আমাদের কাছে একটা পলিথিন। সেটা মাথার ওপর জড়িয়ে নিলাম। বৃষ্টি একবার কমে আবার বাড়ে। বৃষ্টির এই নাটকীয়টা দেখতে দেখতে আমরা চলে এলাম বকশীগঞ্জঘাটে। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি। পলিথিন মাথায় দিয়ে অনেকক্ষণ ছিলাম। বৃষ্টি কোনো কমার লক্ষণ নেই দেখে ভিজে ভিজেই নৌকা থেকে নামলাম। নৌকা থেকে নেমেই দেখি এক হাঁটু পানি। যাহোক পার হয়ে আসলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা রওয়ানা হলাম জামালপুরে। জামালপুর এসে একটি আবাসিক হোটেলে রাতটা থেকে সকাল সকাল রওয়ানা দিলাম কামালপুর মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরে সেখান থেকে রওয়ানা লাউচপড়া পিকনিক স্পোটে। ঘুরতে লাগলাম পাহাড়ে। গারোদের বসতবাড়ি, স্কুল ইত্যাদি দেখলাম। পাহাড়ে এসে মন যেন এক অন্যরকম অনুভব করছিল। এই দিকে একজন গ্রম্নপ ছবি যে তোলা লাগে! পাঁচতলা টাওয়ারের ওপরে আমরা ছাড়া কেউ নেই। যেখানে রাকিব ভাই থাকে সেখানে আর কাউকে লাগে। লোহার পিলারে উনার গামছা প্যাচিয়ে মোবাইলে টাইম সেট করে রাখলেন। পটাপট ওঠে গেল ছবি। এভাবে আমাদের গারো পাহাড় ঘুরা হয়।