যুক্তিবাদীদের চড়ুইভাতি
প্রকাশ | ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০
গাজী আজম হোসেন
সেই দিন সপ্তাহিক সেশনে শাওনসহ আরও বেশ কয়েক জুনিয়র বলে উঠল বেগম রোকেয়া ইউনিভার্সিটি ডিবেট ফোরাম (বিআরইউডিএফ) থেকে একটা চড়ুইভাতি চাই। ওটাই ছিল ছুটির আগে শেষ সেশন। এদিকে অনেকেই বাড়ি চলে গেছে। শেষ সেশনে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও জিএস দুজনই ছিল। জুনিয়র বিতার্কিকদের আবদার রাখলেন তারা। আয়োজনের প্রস্তুতি স্বরূপ শুরুতেই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় আল আমিন, খাদিম, সাবেরা, শাওন, সায়মাকে। সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হলো। কেউ চাঁদা তুলছেন, কেউ বাজার লিস্ট কেউ বা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৫ তারিখ সকালে মেসেঞ্জার গ্রম্নপে মেসেজ, সবাই কোথায়? রান্নাবান্না কতদূর। আগের দিন রাতেই রোবায়েদ ভাই, আল আমিন ও রিশাদ ভাই চলে গেল বাজারে। প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে এলো।
সকাল ১০টায় সীমান্ত আর সিয়াম গেল ডেকোরেশনের প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে। এদিকে ১১টার দিকে দেখি সাবেরা, সাথী, সাদিয়া, সায়মা, শাওন, খাদেম, সিয়াম, গালিবা,আল আমিন কাটাকাটির কাজ করছে। তাদের মধ্যে আমেজ দেখে যেন মনে হয়েছিল এ যেন ঈদের আমেজ। কিছুক্ষণ পর চলে এলেন রোবায়েদ ভাই, লেগে লেগেন রান্নায়। আস্তে আস্তে জুয়েল, আকন্দ আসল। বসেছিলেন না প্রেসিডেন্ট টুম্পা আপু আর জিএস রিশাদ ভাই। দুজনেই লেগে গেলেন কাজে।
বিতার্কিকদের চড়ুইভাতি আর খাবার আগে বিতর্ক হবে না। এমনটা হয়! রান্নাবান্না শেষ করে বিকালে শুরু হলো রম্য বিতর্ক। বিতার্কিক বলে শুধু বিতর্ক করেই অনুষ্ঠান শেষ হবে তা তো হয় না, আরও কিছু খেলাধুলা আয়োজন হলো। এর ফাঁকে এলেন স্যারেরা। তুহিন স্যার, দুলাল স্যার, পলাস স্যার। স্যারেরা খেলায় অংশগ্রহণ না করলে আয়োজন পূর্ণতা পায়! স্যাররাও খেলায় অংশগ্রহণ করেছে। তাদের অংশগ্রহণ বিতার্কিকদের মধ্যে এই এক অন্য রকম আমেজে তৈরি হয়েছে। খাদিমের পরিচালনায় শিমু আর আব্দুর রহমানের গানও মুগ্ধ করল আমাদের।
খেলাধুলা, গান করতে করতে রাত হয়ে গেল। ওইদিকে খালেক ভাই, রোবায়েদ ভাই, জিলহান, নিম্মি ও মাহেদা খাবার দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমিও বসে থাকিনি। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগে সবাইকে খাবার দিলাম। সবার খাওয়া শেষে আমরা খেলাম। খাওয়া শেষে আমাদের সবার সঙ্গে স্মৃতিটুকু ধরে রাখার জন্য সবাই মিলে একটা ফ্রেমে বন্দি হয়ে গেলাম। এভাবেই যেন আমরা একে অপরের সঙ্গে এক অদৃশ্য বন্ধনে আটকে আছি। অনেকেই ইচ্ছা থাকার পরও আমাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারেনি, পুরো আয়োজন জুড়ে আমরা তাদের মিস করেছি।