রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ বাড়ছে ইবি শিক্ষার্থীদের

আনিসুর রহমান, ইবি সংবাদদাতা
  ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ বাড়ছে ইবি শিক্ষার্থীদের

পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ তারাই পায় যারা স্বপ্ন দেখতে জানে। বিজ্ঞানের এত আবিষ্কার, মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতি, জ্ঞানের এত বিস্তার- এসবের সূচনা হয় স্বপ্নদ্রষ্টার হাত ধরেই। যে স্বপ্ন তাকে যত্নে লালন করে, তাকেই বাস্তবায়িত করার জন্য লেগে থাকে। আর যাবতীয় সমস্যা, প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও চেষ্টা চালিয়ে যায়। মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড় হতে পারে যদি সে যা আশা করে, তা বিশ্বাসে রূপান্তরিত করতে পারে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যারা কঠোর পরিশ্রম করে তারা সফল হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন মেধাবী স্বপ্নবাজ তরুণ। যারা বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে ছিলেন। তাদের সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এতে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ বাড়ছে ইবির অন্য শিক্ষার্থীদেরও।

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য মনোনীত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ৮ জন শিক্ষার্থী ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপের সুযোগ পেয়েছেন।

জানা যায়, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একই রেজাল্টধারী তিন বন্ধু সুমন আলী, মামুনুর রশিদ ও নাঈম হোসেন ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ নিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুমন আলী পিএইচডি ইন ফাইন্যান্সে টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঞবীধং ধঃ ঊষ চধংড়-তে, মামুনুর রশীদ পিএইচডি ইন ফাইন্যান্সে টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঞবীধং, ঝধহ অহঃড়হরড়-তে এবং নাঈম হোসেন পিএইচডি ইন ফাইন্যান্সিয়াল ইকোনমিকসে টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঘবি ঙৎষবধহং-এ যাবেন।

এদিকে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিন বন্ধুও যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে পিএইচডির ডাক পেয়েছেন। তারা হলেন, সাদ্দাম এইচ হৃদয় (লড়রহঃ ফড়পঃড়ৎধষ ঢ়ৎড়মৎধস রহ ঢ়ঁনষরপ যবধষঃয) এ পিএইচডি করবেন টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঈধষরভড়ৎহরধ, ঝধহ উরবমড় ঝঃধঃব, টঝঅ, শাহিন আলী (পিএইচডি ইন বায়োমেডিকেল) ঞযব টহরাবৎংরঃু ড়ভ ওড়ধি-তে এবং অভিলাষ অর্জুন দাস (পিএইচডি ইন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) এ গরপযরমধহ ঞবপযহড়ষড়মরপধষ টহরাবৎংরঃু-এ যাবেন।

এছাড়া আইসিটি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আব্দুলাহ আল নাফি যুক্তরাষ্ট্রের টহরাবৎংরঃু ড়ভ গধরহব থেকে প্রফেসর ফান্ডিংয়ে (ঊষবপঃৎরপধষ ধহফ ঈড়সঢ়ঁঃবৎ ঊহমরহববৎরহম)-এ পিএইচডির সুযোগ পেয়েছেন।

জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান জার্মানের টহরাবৎংরঃব্ধঃ খবরঢ়ুরম হতে ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ গবঃবড়ৎড়ষড়মু রহ ঝপরবহপব-এ মাস্টার্স করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি এ মাস্টার্স করাকালীন ফ্রি টিউশন ও ট্রান্সপোর্টেশন কোস্ট সুবিধা গ্রহণ করবেন।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, 'বিদেশে উন্নত ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের কারণে বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ নিতে চান বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী। এছাড়া আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে।

যেমন, আন্তর্জাতিকর্ যাংকিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এমনকি এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিতে পারেনি।

ফলের্ যাংকিংয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়তে আগ্রহ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। তারা আরো জানান, বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা, উচ্চ মানের শিক্ষা এবং ক্যারিয়ারের সুযোগ খুঁজছেন। উলেস্নখ্য যে বিদেশে অধ্যয়ন বিভিন্ন শিক্ষার পদ্ধতি, উন্নত গবেষণার সুবিধা। সহকর্মী এবং পেশাদারদের একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের এক্সপোজার সরবরাহ করে। যা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার বৃদ্ধিকে উলেস্নখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।

স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা জানান, এছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষার দ্বারা নতুন ভাষা শেখার এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নিজেদের নিমজ্জিত করার সুযোগ হয়ে উঠে। যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করবে এবং ক্রমবর্ধমান বিশ্বায়িত বিশ্বে অভিযোজন যোগ্যতা উন্নত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

গবেষণায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কথা জানতে চাইলে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের তুলনায় সায়েন্স ফ্যাকাল্টিতে গবেষণা আগ্রহী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি বিভাগ থেকে যদি শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয় তাহলে তারা আরো বেশি গবেষণায় মনোনিবেশ করবে বলে আমি মনে করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে গবেষণার জন্য। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে