রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় 'মা'

'মা'! ভীষণ ছোট্ট এই একটা শব্দের মাঝে মিশে আছে বিশ্বের ভালোবাসা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সম্পর্ক হলো 'মা'। মা কখনো জীবনে হাজির হয়েছেন আবেগের আশ্রয় ভূমিকায়, আবার কখনো হয়ে উঠেছেন সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, অধ্যবসায় ও সাফল্যের চাবিকাঠি। মা'কে নিয়ে তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুভূতিগুলো তুলে ধরেছেন মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।
  ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০
_

'মা' একজন মহীয়সী নারী 'মা' যা এক অতুলনীয় অনুভূতির নাম। প্রিয় মা! মা এক অক্ষরের নামটির মধ্যে যেন মধু মাখা। মা সন্তানের এই সুসম্পর্ক যুগ যুগ ধরে টিকে থাকে যেন মানুষের হৃদয়ে। আমি আমার মায়ের কাছে চিরঋণী। জীবনের নৈতিকতা, বুদ্ধি এবং সব শিক্ষা আমি আমার মায়ের কাছে থেকে গ্রহণ করেছি। একজন মা ও যে বাবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সন্তানকে আগলে রেখে সুন্দর আগামীর পথ দেখাতে পারেন, তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছেন আমার মা। তিনি একটি পরিবারের আলোকবর্তিকা। আমার দৃষ্টিতে তিনি একজন মহীয়সী নারী। আমাদের প্রত্যেককেই তার মাকে ভালোবাসতে হবে, সম্মান করতে হবে কিন্তু সেটা কেবল একদিনের জন্য না। কেবল মা দিবসেই মাকে উপহার দিয়ে, কেক কেটে আমাদের দায়িত্ব যেন শেষ না হয়ে যায়। মায়ের খেয়াল রাখতে হবে রোজ, মায়ের যত্ন নিতে হবে, ভালোবাসতে হবে। ছোটবেলায় আমাদের শখ আহ্লাদ পূরণের দায়িত্ব যেমন ছিল মায়ের, তেমনি এখন আমাদের মায়ের শখ আহ্লাদ পূরণের দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা এই পৃথিবীতে ভালোবাসার উদার উদাহরণ কেবল মায়ের পক্ষেই সৃষ্টি করা সম্ভব। অসাধারণ মায়ের ভালোবাসার কাছেই পৃথিবীর সব ভালোবাসা হার মানে। ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটা মা! সানজিদা আক্তার সেতু শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভালোবাসা মানেই 'মা' মা! এমন একটি মধুর শব্দ, যা পৃথিবীর অন্য কিছুতেই নেই। একজন মা একটি বটবৃক্ষ। জীবনের কঠিন সব দিনগুলোতেও অবলীলায় যাতনা মেনে নিয়ে ছায়ার মতোই পাশে থাকেন সবসময়। জীবনে প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি জাগায় মা, ভালোবাসতে শিখায় মা। মা এই একটা মাত্র শব্দের মধ্যে রয়েছে অগণিত শান্তি, মায়া, মমতা, সুখ, ভালোবাসা। অসহায় হয়ে একটি শিশু জন্মের পর তার কাছে সব থেকে ভরসার জায়গা, নিরাপদ কোল তার মায়ের কোল, তার মায়ের স্পর্শ। মায়ের ভালোবাসার কোনো তুলনা নেই। নেই কোনো স্বার্থ, আছে শুধু আগলে রাখার প্রবণতা। একজন মা তার সন্তানের সুখের জন্য, তার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কতই সংগ্রাম করে, ত্যাগ করে কিন্তুত্ম তবুও এই সংগ্রামী মায়েরাই বৃদ্ধাশ্রমে থাকে। মা যেমন অসহায় অবস্থায় আমাদের আগলে রেখেছে আমরা তেমনই করে তাদের আগলে রাখি, ভালোবাসি। মায়ের থেকে দূরে থাকা, চোখের আড়ালে থাকা অনেকটা কষ্টের। মায়ের সঙ্গে থাকা প্রত্যেকটা মুহূর্ত সুন্দর। মায়ের হাসিমাখা মুখ যেন দুনিয়ার আর কোনোকিছুর সঙ্গে তুলনা হয় না, অনিন্দ্য সুন্দর এই দৃশ্য। ববিতা মন্ডল সোমা শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা নিঃস্বার্থ ভালোবাসার নাম 'মা' পৃথিবীর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, অকৃত্রিম স্নেহ, আত্মিক মায়ার টান, এমন প্রতিটি জানা-অজানা শব্দের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবেই মিশে আছে 'মা'। সমুদ্রের গভীরতা যেমন পরিমাপ করা সম্ভব নয়, তেমনিভাবে মা'য়ের আত্মত্যাগ তথা ভালোবাসার গভীরতাও পরিমাপ কখনো সম্ভব নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল মা'য়ের কোল, যার শীতলতা সন্তানকে বারংবার টেনে নেয়। মা'য়ের থেকে যেন উন্মুক্ত বইও নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার শিক্ষা নেয় অন্যের জ্ঞানের পরিধি সমৃদ্ধির লক্ষ্যে। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তানের জন্য মা'য়ের যে আত্মত্যাগ সে যেন পৃথিবীর সব কিছুর ঊর্ধ্বে। মা'কে ভালোবাসার জন্য কখনোই নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণের সীমাবদ্ধতা নেই কিন্তু বিশেষ দিন উদ্‌যাপন নিশ্চয়ই মা'য়ের ডোপামিন নিঃসরণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। 'মা' তো কখনো বিনিময় দাবি করেন না কিন্তু মা'য়ের দিনগুলো রঙিন এবং উৎসবমুখর করতে প্রতিটি সন্তানের রয়েছে দায়িত্ববোধ। 'মা' হলেন ম্যাজিকম্যান, সন্তানের মুখের হাসির জন্য যিনি সর্বদা প্রস্তুত, তেমনি মায়ের জন্যও প্রতিটি সন্তান হোক সুপারম্যান। প্রতিদিনই হোক মায়ের সঙ্গে সময়ের বিনিময়, মায়ের মুখে হাসি থাকুক সবসময়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে 'মা' থাকুক স্মরণে। অনেক বেশি ভালোবাসি 'মা'। কাব্য সাহা শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মা'র সঙ্গে কাটুক প্রতিটা মুহূর্ত 'মা' মানে পৃথিবী। হাজার হাজার শব্দ দিয়েও যদি মাকে সংজ্ঞায়িত করি, তবুও হয়তো মায়ের সংজ্ঞায়ন শেষ হবে না। এই মহাশূন্যের যেমন কোনো সীমা নেই, ঠিক তেমনি মায়ের ভালোবাসার কোনো সীমা থাকে না। 'মা' মানেই সম্মান, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা। যেই মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন, লালনপালন করেছেন, তাকে আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে। বছরের প্রতিটা দিন যেন একজন সন্তানের তার মায়ের জন্য হয়। কেননা মায়েদের আত্মত্যাগ, অবদান আমাদের জীবনে শুধু একদিনের জন্য হয় না, প্রতিটা মুহূর্তে মায়েরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলেছেন এবং করে যাচ্ছেন। তাদের ভূমিকা আমাদের জীবনে অপরিশোধযোগ্য। বর্তমানে মায়ের ওপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কমছে না এসব অত্যাচার, নির্যাতন। এর কারণ আমাদের চিন্তাভাবনা, মন মানসিকতা। অনেকেরই কাছেই বৃদ্ধ হয়ে গেলে মায়েরা বোঝা হয়ে যায়। অথচ সাময়িক সুখের মোহে পড়ে আমরা ভুলে যাই সেই সুখময় ছোটবেলার দিনগুলো। যেই দিনগুলোতে মা অসংখ্য লাথিগুতো খেয়েও দশ মাস দশ দিন আমাদের পেটে ধরেছেন, জন্ম দিয়েছেন, লেখাপড়া শিখিয়েছেন, নিজে না খেয়ে আমাদের খাইয়েছেন। মায়ের যতটুকু প্রাপ্য হয়তো আমরা সন্তানেরা কোনোদিনও দিতে পারব না। তবুও আমাদের শপথ নেওয়া উচিত মা'কে যেন কখনো অসম্মান না করা হয়। মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

আজীবন যোদ্ধা আমার ‘মা’

অবরোধবাসিনীদের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন বহু মহীয়সী। আমার মাও আমার কাছে তাদেরই একজন। আশির দশকে উচ্চশিক্ষার প্রবল ইচ্ছা থেকে যে নারী ঘর ছেড়েছেন, সে-ই বা কম কীসে! যেন নিজের জীবনের জাগরণ ঘটানো ও এগিয়ে যাওয়ার প্রখর আন্তরিকতায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন মা। পড়াশোনা শেষে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন উন্নয়নকর্মী হিসেবে। ঋণ বিভাগে নামকরা সব সংস্থায় নারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন দাপটের সঙ্গে। নারীর স্বাবলম্বিতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ আমি আমার ঘরেই দেখেছি। বড় হয়েছি এক স্বাধীন, শক্তিশালী নারীকে দেখে। আজীবন মায়ের চাইতে বন্ধুরূপেই তাকে বেশি পেয়েছি। শুধু এই মানুষটার কাছেই আমি ‘ওপেন বুক’ হতে পারি। শ্রাবণ মাসের মতোই আমি কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি আর কখনো রোদ হয়ে যাই। আর মা তার স্বভাবগত ভাবেই সহ্য করে চলেন আমাকে। আমাকে সামলে রাখতে গিয়ে মা এক মহীরুহে রূপান্তরিত হয়ে গেছেন নিজের অজান্তেই। বাবার মৃত্যুর পরও যেভাবে সব আগলে রেখেছেন, শূণ্যতা কখনো টের পেতে দেননি। মায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি তিনি অপ্রকাশিতভাবে হাসতে পারেন যে কোনো কঠিন মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। অনেকটা ‘জাহান্নামে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি’র মতো। একইরূপে আমার বাবা, মা, বন্ধু, সম্পদ সবই তিনি। প্রতিনিয়ত শিখছি মায়ের থেকে। আজীবন যোদ্ধার ছায়াতলে নিরাপদ থাকুক পৃথিবীর সব সন্তানেরা।

সানজিদা জান্নাত পিংকি

শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ

গণ বিশ্ববিদ্যালয়

‘মা’ শব্দের কোনো সংজ্ঞা হয় না

মা! মা এক অক্ষরের নামটির মধ্যে যেন মধু মাখা। মা সন্তানের এই সুসম্পর্ক যুগ যুগ ধরে টিকে থাকে যেন মানুষের হৃদয়ে। আমরা মায়ের কাছে চিরঋণী। চিরন্তন একটি আশ্রয়ের নাম হলো মা। মায়ের ভালোবাসা কখনো অর্থ দিয়ে ক্রয় করা সম্ভব নয়। এই ‘মা’ শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে মুঠোভরা স্নেহ, ভালোবাসা আর অকৃত্রিম মায়া। পৃথিবীতে একমাত্র স্বর্গীয় সম্পর্কের নাম মা। পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানিত পেশা হলো মাতৃত্ব, যা অর্থের বিচারে সম্মানিত হয় না। মানব জীবনের নৈতিকতা, বুদ্ধি এবং মায়ের কাছে থেকে সব শিক্ষা গ্রহণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। জীবনে প্রথম সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা মায়ের থেকেই আসে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে মায়ের ভূমিকা ও ব্যক্তিসত্তা বৃহত্তর সমাজকে প্রভাবিত করে তুলেছে। মা মানে শুধু এখন গৃহজীবন নয়। মায়ের ভালোবাসায় সবচেয়ে বেশি মুগ্ধতা ছড়ায়। সেরা সময়টুকুতে মায়ের কাছ থেকেই শক্তি পাওয়া যায়। সন্তান যখন চুপ থাকে, কষ্ট পায় তখন মা মুখটা তার সন্তানের কি হয়েছে তা বলে দেয়। মা একজন সন্তানের কাছে সবসময় একজন ভালো বন্ধুও। অসাধারণ মায়ের ভালোবাসার কাছেই পৃথিবীর সব ভালোবাসা হার মানে। এখন সময় এসেছে বিশ্বের প্রতিটি মাকে তার যথাযথ সম্মান দেওয়া এবং বৃদ্ধাশ্রমগুলোর সিট খালি করা। ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটা মা!

বিথী রানী মন্ডল

শিক্ষার্থী, নাট্যকলা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

‘মা’ শব্দটির গভীরতা বিশাল

‘মা’ একটি মাত্র শব্দ নিয়ে গঠিত। শব্দটি ছোটো হলেও গভীরতা বিশাল। প্রতিবছরে শিশুর জন্ম নেওয়া স্বাভাবিকভাবেই মাতৃত্বের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেয়। একজন মায়ের গুরুত্ব শুধু দিবস পালনের মাধ্যমেই বোঝানো সম্ভব নয় কখনোই। একবিংশ শতাব্দীতে এসে মা’র ভূমিকা ও ব্যক্তিসত্তা বৃহত্তর সমাজকে প্রভাবিত করে তুলেছে। মা মানে শুধু এখন গৃহজীবন নয়। একজন মা একই সঙ্গে বর্তমানে সুশিক্ষিত ও বিভিন্ন পেশাতে ভূমিকা রাখছেন। ঘরের বন্দী জীবন থেকে তাদের মুক্ত জীবন ভূমিকা রাখছে দেশের সব খাতে। অথচ এই ভূমিকা রাখতে গিয়ে প্রতিটা পদক্ষেপে হীনতা ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন আমাদের মায়েরা। আমাদের সমাজ একজন মা-এর প্রগতিশীলতাকে এখনো স্বীকৃতি দিতে পারেনি। কৃষি ও শ্রম বাজারে তাদের অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। সাময়িক শ্রদ্ধা কখনোই একজন মা’কে আত্মনির্ভশীল করে তুলবে না, বরং মায়ের যথাযথ সম্মান ও দায়িত্ব রক্ষার্থে সুষ্ঠু আইন প্রণয়ন করতে হবে। মা’কে তার বৃদ্ধ জীবনে পর্যাপ্ত সেবা ও স্থিতিশীল জীবন প্রদানের রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে মায়ের যত্নই ভবিষ্যৎ শিশুর সুষ্ঠু জীবন নিশ্চিত করবে।

ফাতেমা আলী

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

অস্তিত্বের পুরোটা জুড়ে ‘মা’

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শব্দ ‘মা’। পুরো শব্দেই যেন প্রকাশ পায় আবেগ আর অনুভূতির তীব্র উপস্থিতি। জন্মের পরে যার সঙ্গে সন্তানের সবচেয়ে বেশি মিতালি, সন্তানের সবচেয়ে বেশি আপন তিনি মা। সেজন্য প্রকৃতির কিছু ব্যতিক্রম বাদে সর্বত্র দেখা যায় সন্তানের জন্য মায়েরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করেন না। জন্মদাত্রী মা, যার কল্যাণে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখে সন্তান। যত দিন যায়, যতই বড় হই না কেন, আমাদের অস্তিত্বজুড়ে এই শব্দটির বিচরণ ঠিক ছেলেবেলার মতোই থেকে যায়। স্বার্থপরতা ও বিশ্বাসঘাতকতা যখন চরমে, তখন নিঃস্বার্থে একমাত্র ভরসার প্রতীক ও ঢাল হয়ে দাঁড়ায় যে সে মা। সব ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে যে মানুষটি বটবৃক্ষের ন্যায় অবিচল ছায়ার মতো আগলে রাখে সেই ‘মা’ শব্দটির প্রকৃত অর্থে কোনো সংজ্ঞা হয় না, কোনো দিবস হয় না। পৃথিবীর সব মায়েরা ভালো থাকুক, মা ও সন্তানের বন্ধন সুদৃঢ় হোক, সব বৃদ্ধাশ্রম বিলীন হয়ে যাক। পৃথিবীর সব মা যেন তার সন্তানের সঙ্গে সুখে-শান্তিতে থাকেন। কোনো মায়ের স্থান যেন আর বৃদ্ধাশ্রমে না হয়। সর্বোপরি সব মায়েদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি।

দীপ্ত বনিক

শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে