বন্ধুত্বের টানে শেকড়ে সৌপায়ন-১৬
প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
মো. আশরাফুল ইসলাম সুমন
মানুষ মাত্রই স্মৃতিকাতর। সুযোগ পেলেই পেছনের দিনে ফিরে যেতে চায়। ছোট্ট এই জীবনে মানুষের কত স্মৃতি জমা থাকে তার মনে। তবে স্মৃতির পাতায় যে অংশটি সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে থাকে, তা হলো স্কুল জীবনের রঙিন দিনগুলো। স্কুলের সোনায় মোড়ানো সেই দিনগুলো যে আজও নাড়া দেয়। খেলাধুলা, স্কুল পালানো, আড্ডা, গান-বাজনা, হৈ-হুলেস্নাড়- এসব ছিল স্কুল জীবনের দিনগুলোর নিত্য অনুষঙ্গ।
২০১৬ সালে ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুল জীবন শেষ করে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল ও কলেজে অধ্যয়নরত আছেন। আবার অনেকেই চাকরি করছেন, কেউবা চাকরিপ্রত্যাশী। রমজান শুরুর পর আমাদের ব্যাচের ফেসবুক গ্রম্নপে (সৌপায়ন-১৬) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রমজানে ইফতার ও পুনর্মিলনী করার। সবার সিদ্ধান্ত মতে ৮ এপ্রিল (২৮ রমজান) তারিখ ঠিক করা হয়। সবার কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে আমাদের পুনর্মিলনীর টি-শার্ট ও গিফট বানানো হয়। এর মধ্যে চলে আসে আমাদের কাঙ্ক্ষিত দিনটি।
৮ এপ্রিল সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের মেইন গেটে আমাদের ইফতার ও পুনর্মিলনীর ব্যানার লাগানো হয়। আগের দিন আমাদের ইফতারের জন্য যাবতীয় বাজার করা হয়। ৮ এপ্রিল দুপুরের পর থেকে সবাই আমাদের পুনর্মিলনীর টি-শার্ট পরে স্কুলে আসতে শুরু করে। অনেকদিন পর যেন সবাই স্কুলের সেই দিনে ফিরে যাচ্ছিলাম। অনেক আড্ডা, গল্প করলাম সবাই। এর মাঝে রান্নার কাজ শুরু হয়ে যায়।
এরপর পুরো শহর সবাই বাইক নিয়ে শোডাউন দেওয়া হয়। স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে এক পর্যায়ে স্কুল ক্যাম্পাসে সবাই মিলে চলে ফটোসেশন। একসময় গল্পে গল্পে নিমিষেই শেষ হয়ে যায় রান্নার কাজ। আমরা ইফতারে জন্য বসে পড়ি ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের ওপর, যেখানে আমাদের স্কুল জীবনের পায়চারী, খেলাধুলা আর ছোটাছুটির শত শত স্মৃতি পড়ে আছে অমলিন।
একসময় ইফতার শেষ হয়, দিনের আলো নিভে গিয়ে অন্ধকার নামতে শুরু করে। আবার একবার বেজে ওঠে বিদায়ের ঘণ্টা। আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে থাকে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাস চত্বর, সবাই যার যার নিজস্ব জীবনে ছুটে চলা।
সব মিলিয়ে একটি আনন্দময় সুন্দর দিন কেটেছে প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে, যা আমাদের স্মৃতিতে বেঁচে থাকবে বহুকাল।