অনিশ্চিত দিন কাটানোর দিনশেষে যখন একজন ভর্তিযোদ্ধার পরিচিতিতে একটা ক্যাম্পাসের নাম যুক্ত হয়, তখন সে মায়ের আঁচল ছেড়ে স্বপ্নভরা চোখ নিয়ে উপস্থিত হয় সেই গোধূলি ক্যাম্পাসে। মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর এক নীরব অঙ্গীকার নিয়ে সেই ক্যাম্পাসের বুকে তার প্রথম পদক্ষেপ শুরু হয়। তার এই পদক্ষেপে একদিকে থাকে নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম, অন্যদিকে থাকে মায়ার বাড়ির মায়া ছাড়ার গস্নানি। তার এই সংগ্রামে, গস্নানিগুলো মুছে দিয়ে যারা তাকে বরণ করে নেয় তারা তার ব্যাচমেট। ক্যাম্পাসের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, প্রতিটি পথের ধারে যত গল্প লেখা হয় সব গল্পের সাক্ষী হয় তার ব্যাচমেটরা।
ঠিক দুই বছর আগে (২৩ মার্চ ২০২২) নতুন গল্প বোনার আশা নিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে (বিজিই) সিস্ট্রন-১৬ নামের এক ব্যাচের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই ব্যাচের সবাই একে অপরের সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে ক্যাম্পাসের দিনগুলো অতিবাহিত করে। সময়ের পরিক্রমায় অলক্ষ্যে তারা একে অপরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, নিঃশব্দে ভুলে যায় অতীতের সকল গস্নানি।
কথায় আছে, বন্ধুত্বের সম্পর্কটা কখনো সমান্তরাল হয় না। একটু ভালোবাসা, একটু অভিমান, কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির পর আবার পারস্পরিক বুঝাপড়ায় একই প্রত্যয়ে পথ চলা- এভাবেই বন্ধুত্বের সম্পর্কটার শেকড় গভীর হয়, তৈরি হয় বৈচিত্র্যময় স্মৃতি। সিস্ট্রন-১৬ ব্যাচেও রয়েছে এরকম নানা বৈচিত্র্যময় স্মৃতি।
পুরনো দিনের কথা স্মরণ করে নতুন দিনকে স্বাগত জানাতে সিস্ট্রন-১৬ তাদের ব্যাচ ডে উপলক্ষে আয়োজন করেছে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান। এই দিনে তারা উলস্নাসে মেতে ওঠে। তাদের চলার মহড়ায় ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলো কিছু সময়ের জন্য সিস্ট্রনময় হয়ে গিয়েছিল। ইফতারের সময় হলে সবাই একসাথে ইফতার ও ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করে। জীবিকার বাস্তবতায় তারা তাদের কয়েকজন ব্যাচমেটকে ফটোফ্রেমে রাখতে না পারার শূন্যতা অনুভব করেছে।