তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ইভান চৌধুরী
মানসম্পন্ন শিক্ষাবিস্তার ও গবেষণা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রংপুরে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তিস্তা ইউনিভার্সিটি, রংপুর এর ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় তিস্তা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় আমন্ত্রিত অতিথিরা।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সঞ্জীব চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষক আফিফা ইশরত চেতনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তিস্তা ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মু. আবুল কাসেম। সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে কোনো সেশনজট থাকবে না। সেশনজটের কবলে কোনো শিক্ষার্থীর সময় নষ্ট হবে না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মু. আবুল কাসেম বলেন, প্রথম দিন থেকেই সময়কে কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপস্নবের যুগে নিজেকে তৈরি করতে হলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে। তিস্তা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম আল-আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিস্তা ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম আল-আমিন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তিস্তা ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণায় যে গুরুত্ব দিয়েছেন রংপুর অঞ্চলে তিস্তা ইউনিভার্সিটি অনুমোদনের মাধ্যমে তা আবারো প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিস্তা ইউনিভার্সিটির শিক্ষা ও গবেষণার মান রক্ষায় কোনো আপস হবে না। এর জন্য যা প্রয়োজন যেমন- অবকাঠামো, ভালো শিক্ষক, প্রয়োজনীয় বই, লাইব্রেরি, ক্লাসরুম, উন্নতমানের ল্যাব সুবিধা আমরা আগেই নিশ্চিত করেছি। এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার মান তথা সার্বিক মান উন্নয়নে আমরা ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছি। এসব পরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হলে তিস্তা ইউনিভার্সিটি অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশা করছি।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার, মেম্বার সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম মৃদুল। আরও বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর ফারুক, বেগম রোকেয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক ডক্টর মাগফুর হোসেন ও ডক্টর শ্বাশত ভট্টাচার্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সহসভাপতি বিথী আফরোজ, সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মো. মাগরেব আলী, মো. তরিকুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।