পাহাড়ি ফল হিসেবে বেশি পরিচিত কাজুবাদাম। এই গাছ দ্রম্নত বর্ধনশীল ও পরিবেশবান্ধব। অর্থকরী হওয়ায় বাণিজ্যিক কৃষিতেও রয়েছে কাজুবাদামের অপার সম্ভাবনা। পাহাড়ে পর এবার সমতলেও সাফল্য দেখিয়েছে সম্ভাবনাময় এই কাজুবাদাম। সম্প্রতি যশোরের চৌগাছায় অর্থকরী ফসল হিসেবে সমতল জমিতে চাষ হচ্ছে পাহাড়ের কাজুবাদাম। গোপালগঞ্জ, যশোর, বগুড়া, মাগুরা, মানিকগঞ্জ, শেরপুর, সিলেট, খুলনায় ভালো ফলন হচ্ছে কাজুবাদামের। সমতল ভূমিতে কাজুবাদামের পরীক্ষামূলক চাষ সফল হওয়ায় কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরীক্ষামূলক চাষ সফল হওয়ায় সমতলে কাজুবাদামের চাষ নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। কাজুবাদামকে বলা হয় প্রাকৃতিক পুষ্টিকর ফল। কাজু আপেল প্রান্ত রসালো এবং বাদাম পুষ্টিকর খাবার। পাকা কাজু আপেল সাধারণ আপেলের মতো খাওয়া যায়। কাজুবাদামের ২টি অংশ খাওয়ার উপযোগী। কাজু আপেল অত্যন্ত রসালো এবং বাদাম পুষ্টিকর খাবার। পাকা কাজু আপেল সাধারণ আপেলের মতো খাওয়া যায়। কিন্তু বাদাম কাঁচা অবস্থায় খাওয়ার উপযোগী নয়। প্রক্রিয়াজাত করার পর বাদাম খাওয়া যায়। বীজ থেকে পাওয়া বাদাম সুস্বাদু, মুখরোচক ও পুষ্টিকর এবং বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কৃষির সম্ভাবনাময় ফসল কাজুবাদাম। কাজুবাদাম অত্যন্ত সুস্বাদু একটি নাট বা বাদাম জাতীয় বিদেশি ফসল। বৃক্ষ জাতীয় ফসলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কাজুবাদামের স্থান তৃতীয়। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ব্রাজিল কাজুবাদামের আদি জন্মস্থান। বর্তমানে উষ্ণাঞ্চলীয় দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, কেনিয়া, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, মাদাগাস্কারসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে কাজুবাদাম উৎপাদন হচ্ছে।
দেশের তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িসহ চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিলস্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বৃহত্তর সিলেট, টাঙ্গাইল, শেরপুরের পাহাড় ও টিলা এলাকায় এর প্রচুর চাষ উপযোগিতা রয়েছে। দেশে একটি অর্থকারী ফসল হিসেবে কাজুবাদাম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু বাদাম হিসেবেই নয়, কাজু ফলের খোসারও অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। এ থেকে উৎপাদিত তেল দিয়ে উৎকৃষ্টমানের জৈব বালাইনাশক তৈরি করা সম্ভব- যা নিরাপদ ফসল ও খাদ্যোৎপাদনে অত্যন্ত জরুরি। কাজু ফলের জুসও বেশ জনপ্রিয়। ফলের রস সংগ্রহের পর অবশিষ্ট ছোবরা দিয়ে জৈব সার উৎপাদন করা যায়। ফলে, সবদিক থেকেই কাজুবাদাম একটি লাভজনক কৃষিপণ্য।
কাজুবাদামের উপকারিতা নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টি বিজ্ঞানি ডা. মমতাজ জাহান বলেন, কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট- যা ক্যানসার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে। এটি হৃৎপিন্ডের শক্তিদায়ক হিসেবে কাজ করে। ফলে হৃৎপিন্ড নানাবিধ রোগ থেকে নিরাপদ থাকে। কাজুবাদামে রয়েছে ওলিসিক নামে এক ধরনের মনো-অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। এটি দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। ফলে নিয়মিত এটি খেলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কাজুবাদামে কপার খনিজ পদার্থ রয়েছে- যা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রোটিন এবং ফাইবারসমৃদ্ধ এ খাবারটি নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে অবসাদ দূর করাসহ শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে শরীরে নানা পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয় এবং সেই সঙ্গে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
কাজুবাদাম চিরসবুজ গ্রীষ্মমন্ডলীয় খরা সহনশীল উদ্ভিদ। ২০-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১০০০ হতে ২০০০ মিলিমিটার, সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে গড়ে ৭০০ মিটার উচ্চতায় কাজুবাদাম ভালো জন্মে। মাটির উপযুক্ত অম্স্নান ৫ থেকে ৬.৫। বাংলাদেশের সুনিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ মাটিতে বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলের লালমাটিতে কাজুবাদাম চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজুবাদাম চাষ খুব সহজ। বীজ এবং কলম উভয় পদ্ধতিতেই কাজুবাদামের বংশবিস্তার করা যায়। কলমের মধ্যে জোড়াকলম, গুটিকলম, চোখকলম ইত্যাদি প্রধান। বীজ থেকে পলিব্যাগে চারা তৈরি করে কিংবা কলম প্রস্তুত করে জমিতে রোপণ করা হয়। চারা রোপণের ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ফল ধরা শুরু করে। ১০ থেকে ১২ বছরের ১টি গাছ থেকে বছরে গড়ে ১০ থেকে ১২ কেজি কাঁচা কাজুবাদাম পাওয়া যায়। কাজুবাদাম গাছ ৬০ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এবং ৫০ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।
চারা রোপণের আগে ৭ থেকে ৮ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে ১ ঘনমিটার আয়তনের গর্ত তৈরি করে গর্তে সবুজ সার এবং পরিমাণ মতো ইউরিয়া ও টিএসপি সার মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ১৫ দিন পর চারা লাগাতে হয়। পাহাড়ে, পাহাড়ের ঢালে এবং সমতলভূমিতে প্রতি হেক্টরে ১৫০ থেকে ১৮০টি চারা রোপণ যথেষ্ট। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি ফুল ফোটার সময়। এপ্রিল থেকে জুনমাস কাজুবাদাম সংগ্রহের সময়। গাছ থেকে সুস্থ ফল সংগ্রহ করে খোসা ছাড়িয়ে বাদাম সংগ্রহ করে তারপর ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ভেজে প্যাকেটজাত করা হয়। ১ কেজি ফল প্রক্রিয়াজাত করে তা থেকে গড়ে ২৫০ গ্রাম কাজুবাদাম পাওয়া যায়। অধিক বৃষ্টিপাত ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া ফলনের ওপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। এই গাছ ছায়া সহ্য করতে পারে না, এজন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন হয়। কাজুবাদাম অনেকটা কিডনি আকৃতির, দৈর্ঘ্য ৪-৫ সে.মি. এবং এর ওজন ৫-২০ গ্রাম হয়ে থাকে। সবচেয়ে সুবিধা হলো কাঁচাবাদাম রোদে শুকিয়ে বস্তাবন্দি করে ৭ থেকে ৮ মাস ঘরে রেখে পরবর্তী সময়ে সুযোগ মতো বিক্রি করা যায়।
এ বিষয়ে খাদ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবলি কালাম আজাদ বলেন, খাদ্যমানের দিক দিয়ে কাজুবাদাম অতি পুষ্টিকর ফল। প্রতি ১০০ গ্রাম খাবারের উপযোগী কাজুবাদামে রয়েছে ৩০ গ্রাম শর্করা, ১৮ গ্রাম আমিষ, ৪৪ গ্রাম চর্বি। এছাড়া ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, বি-৯, বি-১২ প্রভৃতি ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিংক, প্রভৃতি উপাদান রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট- যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে। কাজুবাদামে রয়েছে ওলিসিক নামে এক ধরনের মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। এটি দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। ফলে, নিয়মিত এটি খেলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কাজুবাদামে কপার খনিজ পদার্থ রয়েছে- যা চুলের উজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এ খাবারটি নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে অবসাদ দূর করাসহ শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে শরীরে নানা পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয় এবং সেই সঙ্গে রক্তশূন্যতা দূর হয়। বর্তমানে দামি হোটেলে ও রেস্তোরাঁয় খাবারের স্বাদ বাড়াতে কাজুবাদাম বেশ জনপ্রিয়। অতি সম্প্রতি কাজুবাদামের সুস্বাদু আচার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পুষ্টিগুণের বিবেচনায় চিকিৎসকরা প্রতিদিন একমুঠো করে কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যশোর কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের কাজুবাদাম ও কফি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলাগ্রামের চাষি মাহাবুবুর রহমান লিটন দুই জমির পেয়ারা ক্ষেতে সাথী সফল হিসেবে কাজুবাদাম চাষ করেছেন। দুই বছর আগে কৃষি বিভাগের সরবরাহ করা ত্রিশটি কাজুবাদাম গাছের চারা রোপণ করেন। সেই গাছে এবার ফল এসেছে। পরীক্ষামূলক চাষে আশানুরূপ ফল পাওয়ায় খুশি চাষি ও কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষক মাহাবুবুর রহমান লিটন বলেন, আমি পেয়ারা ও ড্রাগন ফলের চাষ করি। দুই বছর আগে কৃষি অফিস আমাকে কাজুবাদাম চাষের প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর ত্রিশটি কাজুবাদামের চারা প্রদান করে। সেই চারা দুই বিঘা পেয়ারা ক্ষেতের আইল (সীমানা) দিয়ে রোপণ করি। গাছগুলো দ্রম্নত বাড়ছে। এ বছর গাছে কাজুবাদামের ফল এসেছে। গাছ যত বড় হবে, ফলন তত বাড়বে। পাহাড়ের ফল আমাদের জমিতে ভালো ফলন দিয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।
এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাজুবাদাম ও কফি উন্নয়ন ও সম্প্র্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সমতলে কাজুবাদাম চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় যশোরের চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কাজুবাদাম চাষ করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক চাষে সফল হয়েছেন চৌগাছার পাতিবিলার কৃষক মাহাবুবুর রহমান লিটন। কাজুবাদাম সাথী ফসল হিসেবে চাষ করায় খরচ কম। আগ্রহী কৃষকদের কাজুবাদাম চাষে সহযোগিতা করা হবে। দেশে ও বিদেশে কাজুবাদামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি উচ্চমূল্যের ফসল। কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণ করে দেশের চাহিদা মিটিয়েও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে কাজুবাদাম ও কফি চাষের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কাজুবাদাম ও কফি ফসলের উচ্চফলনশীল ও উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে 'কাজুবাদাম, কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ' শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা অন্তত পাঁচ লাখ হেক্টর অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এর মধ্যে দুই লাখ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম চাষ করলে বছরে ১০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। বর্তমানে দেশে দেড় হাজার টন কাজুবাদাম উৎপাদন হচ্ছে। সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানির জন্য চার লাখ ৪৪ হাজার টন কাজুবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। বর্তমান বিশ্বে কাজুবাদাম উৎপাদন হয় মোট ৩৫ লাখ টন। এর মধ্যে বাংলাদেশে আবাদকৃত প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমি থেকে দেড় হাজার টন কাজুবাদাম উৎপাদন হচ্ছে। কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণ এবং কারখানা প্রতিষ্ঠা হলে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ শ্রমিক নিয়োগের ফলে বেকার সমস্যা দূরীকরণে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
কাজুবাদাম অনেকটা কিডনি আকৃতির, দৈর্ঘ্য ৪-৫ সে.মি. এবং এর ওজন ৫-২০ গ্রাম হয়ে থাকে। সবচেয়ে সুবিধা হলো কাঁচাবাদাম রোদে শুকিয়ে বস্তাবন্দি করে ৭ থেকে ৮ মাস ঘরে রেখে পরবর্তী সময়ে সুযোগমতো বিক্রি করা যায়। বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কাঁচাবাদাম বিক্রি হয়। সে মতে ১ হেক্টর জমি থেকে বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। প্রথম বছরের চারার দাম, সার, বালাইনাশক, অন্যান্য পরিচর্যা, শ্রমিক খরচ বাবদ গড় হিসাবে হেক্টরপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হয়।