ফুল রপ্তানিতে খুলতে পারে দেশের অর্থনীতির নতুন দুয়ার
প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
আলতাব হোসেন
ফুল সৌন্দর্য, স্নিগ্ধতা, পবিত্রতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীক। ফুলের পাপড়ির বিন্যাস, রঙের বৈচিত্র্য ও গন্ধের মাধুর্যে মন আনন্দে ভরে ওঠে। ফুলের সৌরভ যেমন মানুষকে বিমোহিত করে, তেমনি এর সৌন্দর্য প্রাকৃতিক পরিবেশকে করে তোলে আকর্ষণীয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাই আনন্দ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফুল। এসব কারণে সব সময়, সব পর্যায়ে ফুলের চাহিদা রয়েছে। জাতি-ধর্ম-সংস্কৃতি নির্বিশেষে এ চাহিদা মেটাতে গিয়ে ফুল পরিণত হয়েছে অন্যতম বাণিজ্যিক পণ্যে। ফুল নিয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে অনেক কাব্য ও সাহিত্য।
কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় বাংলাদেশে ফুল চাষের সম্ভাবনা বিশাল। এই খাত থেকে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। অর্থনীতিতে সৌরভ ছড়াতে পারে ফুল বাণিজ্য। অর্থনীতির বুকে কুঁড়ি হয়ে ফুটেছে ফুল চাষ। গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমলিস্নকা, গস্ন্যাডিওলাস, টিউলিপ, রজনীগন্ধা, জারবেরাসহ অনেক প্রজাতির ফুলের চাষ হচ্ছে দেশে। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় 'জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিয়ো ক্ষুধার লাগি', দুটি যদি জোটে অর্ধেকে তার, ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী!'।
আমাদের ভালো থাকা, ভালো লাগা ও মনের ক্ষুধা মিটানোর ক্ষেত্রে ফুলের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা ফুল দেখলে বা কাউকে ফুল উপহার দিলে আনন্দিত হই, আত্মপ্রশান্তি লাভ করি। পৃথিবীর এমন কেউ নেই যে, ফুল পছন্দ করে না। প্রকৃতিতে যা কিছু শুভ ও সুন্দর, তার অন্যতম প্রতীক হিসেবে ফুলকে বিবেচনা করা হয়। এই ফুল চাষই হয়ে উঠেছে বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস্য। একটি গবেষণায় বলছে, সারাবিশ্বে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের ফুলের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজার ধরার মতো সুযোগ আছে আমাদের। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।
জানা যায়, ১৯৮৩ সালে ৩০ শতক জমিতে রজনীগন্ধা ফুল চাষের মধ্য দিয়ে আমাদের বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদন শুরু হয়েছিল। বাড়ির উঠান কিংবা ছাদের কোনায় টবের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এই ফুল। কিন্তু শৌখিন উৎপাদনের গন্ডি পেরিয়ে এখন ফুল রপ্তানি হচ্ছে।
প্রাথমিক অবস্থায় যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ শুরু হয়। পরবর্তী পর্যায়ে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে যশোর, সাভার, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিতে ফুলের চাষ হচ্ছে। সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার ফুলচাষি ফুল উৎপাদন করছে। দেশের ৭০ ভাগ ফুল যশোরে উৎপাদন করছে। ফুল উৎপাদনের সঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার পরিবার যুক্ত আছে। ফুল উৎপাদন, বিপণন, বিক্রি, রপ্তানি কাজে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ২ লাখ লোক নিয়োজিত আছে। বর্তমানে আমাদের দেশে কাঁচা ফুল একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। আমাদের দেশে কাঁচা ফুলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন উৎসব, পার্বণে কাঁচা ফুলের ব্যবহার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কাঁচা ফুল এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় কাঁচা ফুলের নাম উঠে এসেছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত কাঁচা ফুল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ফুল রপ্তানি করে প্রতি বছর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে।
আমাদের ফুল মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, পাকিস্তান, ভারত, ইতালি, চীন, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া ও ফ্রান্সে রপ্তানি হচ্ছে। এর ফলে, সুনাম কুড়াচ্ছে আমাদের দেশ। অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে। ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি বাইরেও রয়েছে ফুলের বিপুল চাহিদা। আমাদের অর্থনীতিকে আরও বিকশিত করতে ফুলের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এর চাষে ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। পাশাপাশি ফুল যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য হিমাগারের ব্যবস্থা করে দিতে হবে ফুল চাষিদের। ফুল চাষকে যদি আরও সম্প্রসারণ করা যায়, তাহলে প্রায় ২০ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার সংস্থান হবে। বাড়বে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
বাংলাদেশে অপ্রচলিত পণ্য হিসেবে ফুল রপ্তানির একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফুল যে শুধু ঘরবাড়ি অথবা বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিংবা প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার পণ্য- তা কিন্তু নয়, ফুল হতে পারে আমাদের জীবিকা নির্বাহের আরেক অর্থকারী কৃষি ফসল। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে। পরিবারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে ফুল চাষিরা ফুল বাগানের পরিচর্ষা করে থাকেন। তারা বছরের বিশেষ বিশেষ দিনের অপেক্ষায় থাকেন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রম্নয়ারি, মহান স্বাধীনতা দিবস, মহান বিজয় দিবস ছাড়া বাবা দিবসের মতো আরো অনেক দিবসে অনেক ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়া জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, বিয়েশাদী কিংবা বিভিন্ন আনন্দঘন দিনের অনুষ্ঠানেও ফুলের কদর বাড়ে। এছাড়া ইদানীং ব্যক্তি বিশেষের পদোন্নতি কিংবা অন্য যে কোনো সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাতে মানুষ উপহারসামগ্রী হিসেবে ফুলও নিয়ে যায়। ফুলের ব্যবহার দিন দিন যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে চাষাবাদ। ফুল রপ্তানি করে বছরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির তথ্য বলছে, আমাদের দেশে দেড় হাজার কোটি টাকার ফুলের বাজার রয়েছে। এক সময় গাঁদা, গোলাপের চাষ হলেও এখন ১৫ থেকে ১৬ ধরনের ফুলের চাষ হচ্ছে দেশে। রাজধানী ঢাকার বাজার ভরে আছে হরেক রকমের ফুলে। আগে ফুল বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। এখন এই ফুল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। দেশে এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ বাড়ছে। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে ফুলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারাবিশ্বে ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফুলের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজার ধরার মতো সুযোগ আমাদের রয়েছে। আমাদের অর্থনীতি সামনে আরো বিকশিত হবে। সেখানে ফুল বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে। সেজন্য, ফুলের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনা এবং তার ব্যাপক সম্প্রসারণ করতে হবে। বর্তমানে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও বাণিজ্যিকভিত্তিতে ফুলের উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে এবং ফুলের ব্যবহারও অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ২৪টি জেলায় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভিত্তিতে ফুলের চাষ হচ্ছে। ফুল সেক্টরের কার্যক্রমের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করছেন প্রায় ৭ লাখ মানুষ। ফুল শিল্পের সম্প্রসারণের ফলে আজকাল ফুলের ব্যবহারও অনেক বেড়েছে। সার্বিকভাবে ফুল শিল্পের বিকাশের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে- ফুলচাষ ধান ও শাকসবজির তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক। ফুলের উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণের অন্যতম প্রধান কারণগুলো হচ্ছে- ফুলের চাহিদার ব্যাপক বৃদ্ধি, হেক্টরপ্রতি অধিক লাভ, ফুলের নতুন জাত ও প্রযুক্তি গ্রহণ, অর্থনৈতিক উন্নতি, অন্যান্য জেলায় ফুলের চাষ বৃদ্ধির সুযোগ, শহরের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য ও মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফুল ক্রয়ের ব্যাপক অভ্যাস ও উৎসাহ। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ফুল শিল্পের আরো অধিকতর বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফুল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম আরো জোরদার করার পাশাপাশি বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপন, দক্ষিণাঞ্চলের ফুল উৎপাদনকারী এলাকাগুলোতে বাজারের অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যাকিং ঋণের সুযোগ সৃষ্টি সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ফুল সেক্টরে নারী উদ্যোক্তাদের অধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ করা হয়েছে।
ফুল চাষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশের জমি এবং জলবায়ু কাঁচা ফুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের ফুল উৎপন্ন হয়। এসব ফুলের মধ্যে গস্ন্যাডিউলাস, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, লিলিয়াম, থাইঅর্কিড, কারনেশন, শর্বারা, গেস্নাবাল প্রভৃতি ফুল রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের কাঁচা ফুল মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, পাকিস্তান, ভারত, ইতালি, কানাডা, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সে রপ্তানি করা হচ্ছে। এসব ফুলে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বল্প পরিসরে রপ্তানি করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে পরিমাণ ফুলের চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ ফুল রপ্তানি করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নবদিগন্তের সূচনা হতে পারে।
ফুল চাষের সুবিধা হচ্ছে, ছোট ও বড় উভয় পরিসরে এই কাজ করা যায়। এ জন্য যার যতটা সুযোগ আছে, সে ততটা চাষ করতে পারেন। অনেকে পাঁচ কাঠা জমিতে চাষ করছেন। অনেকে কোম্পানি খুলে ফুলের চাষ করছেন। শ্রীপুরের মৌমিতা ফ্লাওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডানকান ফ্লাওয়ার, ময়মনসিংহের ভালুকার দীপ্ত অর্কিড বেশ বড় আকারে ফুলের চাষ করছে। এসব প্রতিষ্ঠান ফুল উৎপাদনের পাশাপাশি চারা উৎপাদন করে বিক্রি করছে। সুবিধামতো বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে এ ব্যবসায়। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ, বিশেষ করে পলিথিনের শেড বানানো, টিসু্য কালচার, আধুনিক সেচ ব্যবস্থাসহ চাষ করতে গেলে ভালোই বিনিয়োগের প্রয়োজন। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, এ ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ এক হেক্টর জমিতে জারবেরা চাষ করতে প্রায় ৪২ লাখ টাকা খরচ হবে। টানা তিন বছর ফুল পাওয়া যায় এ ধরনের বাগান থেকে। এরপর নতুন করে চারা লাগাতে হয়। এসব বাগান থেকে বছরে প্রায় কোটি টাকার ফুল বিক্রি সম্ভব। যদিও রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা চাষে অনেক কম বিনিয়োগ করতে হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে টাটা ও বিরলার মতো বড় ব্যবসায়ীগোষ্ঠী বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ করছে। সেখানে চাষাবাদকে উৎসাহিত করতে ভর্তুকির ব্যবস্থা আছে। এমন ভর্তুকি দেশেও চালুর দাবি উদ্যোক্তাদের। সম্প্রতি লন্ডন, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, হল্যান্ড ও আবুধাবিতে বাংলাদেশ থেকে ফুল রপ্তানি হচ্ছে। কালীপূজার সময় ভারতেও প্রচুর গাঁদা ফুল রপ্তানি হয়। আবার কিছু ফুল আমদানিও হচ্ছে। বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে আড়াই হাজার কোটি ডলারের ফুল বেচাকেনা হয়। বিশাল এ বাজারে বাংলাদেশের অংশ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
শীতের দিনগুলোতে ফুল ফোটে বেশি। রূপবৈচিত্র্যে আর অন্য কোনো মৌসুমেই ফুল এতটা মুগ্ধ করতে পারে না। শীতকালীন রঙিন ফুলের সাজে নিজের বাগান মাতিয়ে তুলতে চাইলে শুরুটা করুন এখনই। অক্টোবরের শেষে রোপণ করতে হবে পছন্দের ফুলের চারা বা গাছ। তবেই শীতকালে গিয়ে তারা সেজে উঠবে ফুলে। বড় বড় গাঁদা, ছোট ছোট চায়না গাঁদা, দেশি গাঁদা, রক্ত গাঁদা, হলুদে লাল মিশানো জাম্বো গাঁদা, লম্বা গাছে দেশের জাত রাজগাঁদা ইত্যাদি নানা জাতের গাঁদা ফুলের চারা এখন পাওয়া যাচ্ছে আশপাশের প্রায় সব নার্সারিতেই।
ফুল ভালোবাসে না শীতের ফুলের মধ্যে গাদা, ডালিয়া ও চন্দ্রমলিস্নকা অন্যতম। এছাড়া কসমস, পপি, গাজানিয়া, স্যালভিয়া, ডায়ান্থাস, ক্যালেন্ডুলা, পিটুনিয়া, ডেইজি, ভারবেনা, হেলিক্রিসাম, অ্যান্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, লুপিন, কারনেশন, প্যানজি, অ্যাস্টার ইত্যাদি ফুল ফোটে।
যারা ফুলের বাগান করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য কিন্তু শীতকালটা খুব ভালো। যদি ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়িও হয়, বারান্দায় বা ছাদে অনায়াসে লাগিয়ে ফেলতে পারেন শীতের ফুলগাছগুলো হলো- চন্দ্রমলিস্নকা, ডালিয়া, অ্যাস্টার, ডেইজি, কসমস, সিলভিয়া, এন্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, ডায়ান্থাস, ফ্লক্স, ভারবেনা, কারনেশান, পপি, সূর্যমুখী, পর্টুলেকা, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, মর্নিং গেস্নারি, সুইট পি, অ্যাজালিয়া, জারবেরা, গস্ন্যাডিওলাস প্রভৃতি। এমনকি গোলাপকেও সঙ্গী হিসেবে পেতে পারেন। টবে গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমলিস্নকা, জারবেরা, কারনেশান, ক্যালেন্ডুলা, অ্যাস্টার ইত্যাদি জন্মে। শীতেই আবার বাগান রঙিন করে তোলে হরেক রকম ফুল। সত্যি বলতে বাগানে বা আঙিনায় বসন্তের চেয়েও বেশি ফুলের সমাহার ঘটে শীতকালে।