মাছ চাষে সারাদেশে রুপালি বিপস্নব !
প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ইমরান ছিদ্দিকি
রুপালি রং। জাদুকরি স্বাদ। 'মাছে-ভাতে বাঙালি'র প্রবাদ ফিরে এসেছে আবার। মাছে-ভাতে বাঙালির প্রবাদ ফিরেছে আবার। মুক্ত জলাশয় আর ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা লাখ লাখ পুকুরে মাছ চাষে সারাদেশে ঘটেছে রুপালি বিপস্নব। বিশ্বে স্বাদুপানি ও চাষের মাছ উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের একটি বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রকাশিত বিশ্বের সামগ্রিক মৎস্যসম্পদ বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে স্বাদুপানির মাছের ১১ শতাংশ এখন বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। যার মোট পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টন।
মুক্ত জলাশয় আর ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা লাখ লাখ পুকুরে মাছ চাষে দেশে রুপালি বিপস্নব ঘটেছে। জাতিসংঘের দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় আর প্রথম চীন। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে যে চারটি দেশ মাছ চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করবে, তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ধারাবাহিকভাবে দেড় যুগ ধরেই বাংলাদেশ মাছ চাষে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে। ২০০৬ সালেও বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিল। ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রজয়ের পর বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্য আহরণ বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে। সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরার আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের।
মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি রপ্তানিতেও এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, ফ্রান্স, আমেরিকা, জাপান, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানিসহ বিশ্বের ৫২টি দেশে চিংড়ি, রুই, কাতলা, মৃগেল, কাঁকড়া, কুঁচিয়া, পাঙাশ, পাবদা, তেলাপিয়া, শোল, কৈ, শিং, মাগুর ইত্যাদি প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ ও বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি হচ্ছে। এসব দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৭০ হাজার টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। মাছ রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের উন্নয়নেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শুধু তাই নয়, ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রজয়ের পর বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্য আহরণ বেড়েছে। সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরার আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের। মাছের উৎপাদন, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিদেশে রপ্তানি সবকিছু মিলে দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের উন্নয়নে, মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে খাবারের একটি বড় জোগান হয়। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ করে মাছ। যারা মাছ উৎপাদন করেন তাদের বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে, তারা নিজেরাই উদ্যোক্তা হচ্ছেন। গ্রামাঞ্চলে মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এক কোটি ৯৫ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে।
বাংলাদেশের মৎস্য বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উন্নত মাছের জাত এবং তা দ্রম্নত সম্প্রসারণের ফলে মাছের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করছেন মৎস্য গবেষকরা। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, গাজীপুর, বগুড়া ও কুমিলস্না জেলায় পুকুরে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঘেরে মাছ চাষে রীতিমতো বিপস্নব ঘটে গেছে। গত তিন দশকে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২৫ গুণ। অন্যদিকে, মাছ রপ্তানি বেড়েছে ১০ গুন। মাছ রপ্তানিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ বিষয়ে সাফল্য এসেছে ব্যাপক। দেশে মোট কৃষিজ আয়ের শতকরা ২৪ ভাগের বেশি অবদান মৎস্য খাতে। মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এতে করে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।
বিবিএসের সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী দেশে বছরে গড়ে ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার টন মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে চাষ করা মাছের পরিমাণই প্রায় ২০ লাখ টন। ইলিশের উৎপাদন প্রায় চার লাখ টন। সরকার মাছ রপ্তানি করে বছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আয় করছে। চিংড়ি এখন দেশের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি পণ্য। দেশে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ মৎস্য সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত। এর মধ্যে বেকার তরুণরা মাছ চাষে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট মৎস্য গবেষক ড. এম এ ওয়াহাব বলেন, আশির দশকে বাংলাদেশের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উন্নত জাতের পাঙাশ, রুই, কাতল, তেলাপিয়া চাষ তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চাহিদার সঙ্গে পালস্না দিয়ে উন্নত জাতের কই, শিং, মাগুর, শোল মাছের চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে। বর্তমানে পুঁটি, সরপুঁটি, বাইন, টাকি, পাবদা, ফলি, মলা, গোলসা, টেংরা, ভেদা, বোয়াল, কালো বাউশ মাছের চাহিদা দেশে-বিদেশে বাড়ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানা জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিদিন একজন মানুষের প্রায় ৬২ গ্রাম আমিষের প্রয়োজন। আর এই আমিষের প্রধান চাহিদার উৎস হচ্ছে মাছ। বাজারে দুই অঙ্কের নোটেই মিলছে মাছ। দাম সাধারণের নাগালে থাকায় দেশে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণও বেড়েছে শতভাগ।
ইলিশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম বাংলাদেশ। সরষে ইলিশ, ইলিশ পাতুড়ি, ইলিশ ভাজা হরেক পদের রান্না, হরেক রকম স্বাদে ভরপুর থাকলেও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই রয়েছে এই সাধের মাছটি। বাঙালির বর্ষবরণ ইলিশ ছাড়া হয় না। ওপার বাংলায় জামাইষষ্ঠীতে ইলিশ লাগবেই। গত অর্থবছরে ইলিশ মাছের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৯৬ হাজার টন। প্রতি কেজি ১৪০০ টাকা হিসেবে যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। জিডিপিতে ইলিশের অবদান প্রায় ১ শতাংশ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে হারে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে তাতে আগামী কয়েক বছরে উৎপাদন আরও বাড়বে। বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ ইলিশ উৎপাদন দেশ হবে বাংলাদেশে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে শীর্ষ মাছ উৎপাদনকারী দেশ। নানামুখী উদ্যোগে আবারো নদীতে ফিরতে শুরু করেছে ইলিশের ঝাঁক। এক দশকে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮৪ শতাংশ। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে যে উদ্যোগটি সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে তা হলো অভয়াশ্রম গড়ে তোলা। এ পর্যন্ত ইলিশের ছয়টি এলাকাকে অভয়াশ্রম হিসেবে ধরা হয়।
অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদনে শীর্ষ পাঁচটি দেশ হচ্ছে চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার ও কম্বোডিয়া। চীনের উৎপাদন ২০ লাখ টনের বেশি। মহামারি করোনার কারণে মাছ উৎপাদন কমতে থাকে। চলতি বছর দেশটির মাছ উৎপাদনের তথ্য পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। এতে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে তাদের প্রদ্ধতি নেতিবাচক হয়। উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের উৎপাদন ছাড়িয়েছে ১৭ লাখ টন। চীনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির কারণে ভারতের প্রবৃদ্ধি এখন শীর্ষে। এর পরই অবস্থান বাংলাদেশের, যেখানে বছরে মাছের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন। বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়া কোনো দেশেরই প্রবৃদ্ধি উৎপাদনের ধারাবাহিকতায় নেই। মায়ানমার ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক ধারা বিরাজ করছে।
মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য এখন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বীকৃত। মৎস্য খাত বাংলাদেশে একটি স্বর্ণালি অধ্যায় সৃষ্টি করছে। বিশ্বে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। এছাড়া বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম। ইলিশ উৎপাদনে প্রথম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ। পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ এসব তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মৎস্য উৎপাদনে শীর্ষে থাকা চীনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে দ্বিতীয় অবস্থানে তুলে এনেছে।
মৎস্য গবেষকরা বলছেন, দেশের মৎস্য বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উন্নত মাছের জাত এবং তা দ্রম্নত সম্প্রসারণের ফলে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, গাজীপুর, বগুড়া ও কুমিলস্না জেলায় পুকুরে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঘেরে মাছ চাষে রীতিমতো বিপস্নব ঘটেছে। দেশে মোট কৃষিজ আয়ের শতকরা ২৪ ভাগের বেশি অবদান মৎস্য খাতে। মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এতে করে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) একটি খানা জরিপে বলছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন একজন মানুষের প্রায় ৬২ গ্রাম আমিষের প্রয়োজন। আর এই আমিষের প্রধান চাহিদার উৎস হচ্ছে মাছ। বাজারে দুই অঙ্কের নোটেই মিলছে মাছ। দাম সাধারণের নাগালে থাকায় দেশে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণও বেড়েছে শতভাগ। মাছ উৎপাদনে শীর্ষে থাকলেও রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে বাংলাদেশ। রপ্তানিতে এখন অবস্থান ২১তম। এক যুগে মাছের উৎপাদন ৮৫ শতাংশ বাড়লেও দাম নাগালের বাইরে ছিল।
সরষে ইলিশ, ইলিশ পাতুড়ি, ইলিশ ভাজা হরেক পদের রান্না, হরেক রকম স্বাদ। বাঙালির বর্ষবরণ ইলিশ ছাড়া হয় না। ওপার বাংলায় জামাইষষ্ঠীতে ইলিশ লাগবেই। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। জিডিপিতে ইলিশের অবদান প্রায় ১ শতাংশ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, যে হারে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে তাতে আগামী কয়েক বছরে উৎপাদন আরও বাড়বে। বিশ্বের প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ইলিশ উৎপাদনের দেশ হবে বাংলাদেশ।
বিশ্বে সেরা ১০ রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য ৫২টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা থাকার পরও দেশে কোনো প্রতিষ্ঠানই সেভাবে মাছ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরি করছে না। চাহিদার চেয়ে মাছের উৎপাদন বেশি হলেও কেবল চিংড়িই প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে, তাও শুধু রপ্তানির জন্য।
দেশের প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টি চাহিদার বড় অংশ আসে মাছ থেকে। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে। দারিদ্র্যবিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এ খাতের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে পরিকল্পিত অর্থায়ন দরকার। সরকারের কৃষিঋণ, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের বিনিয়োগে মৎস্য খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। মৎস্য খাতে উৎপাদন বেড়ে যাওয়াসহ অনেক সাফল্য এলেও এই খাতে এখনো প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আসেনি। চাষিরা কীভাবে ঋণ পাবেন, তা নিয়েও ধারণার যথেষ্ট অভাব আছে। যে কারণে এখনো অনেক চাষি উচ্চসুদে দাদন বা ঋণ নেন। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ালে তা সামগ্রিকভাবে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পুষ্টি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে। এই খাতে এত দিন যৌক্তিকভাবে বিনিয়োগ হয়নি। তবে বিদেশে রপ্তানির জন্য সরকার তিনটি মাছকে চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হলো- পাঙাশ, তেলাপিয়া ও কই মাছ। এই মাছগুলোর রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যাতে তা রপ্তানিযোগ্য করা যায়। সমুদ্র বিজয়ে দেশে বস্নুইকোনমির ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। দেশের উন্নয়নে অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য এই সম্পদের দ্রম্নত ও কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।