রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

আম চাষে বিস্ময়কর বিপস্নব রপ্তানি আয় বাড়ছে দ্বিগুণ

চলতি বছর বিশ্বের ৩৮ দেশে রপ্তানি হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার টন আম
আলতাব হোসেন
  ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০০
আম চাষে বিস্ময়কর বিপস্নব রপ্তানি আয় বাড়ছে দ্বিগুণ

স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিগুণে আম অতুলনীয়। তাই আমকে বলা হয় ফলের রাজা। দেশের সীমানা পেরিয়ে আমের সুভাস ছড়াচ্ছে বিশ্বেও। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আমের যথেষ্ট সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে রাজশাহীর আম বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। চলতি ২০২৪ সালে ইউরোপসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম। গত সোমবার ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সে ২৫ টন আম রপ্তানির উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুস শহিদ। চলতি বছর গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ফজলি, সুরমা ফজলি, বারি-৪ জাতের রপ্তানিযোগ্য সাড়ে ৩ হাজার টন আম রপ্তানি হবে বিশ্বের ৩৮ দেশে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ৩৮টি দেশে ৩ হাজার ৯২ টন আম রপ্তানি হয়। এর আগে, ২০২২ সালে বিশ্বের ২৮টি দেশে মোট এক হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল। ২০২১ সালে বিশ্বের ৩৪টি দেশে মোট দুই হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি হয়।

আমের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন, পলাশীর আম্র কাননে বাংলা, বিহার ও ওড়িষ্যার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, স্বাধীনতার সেই সূর্য আবার উদিত হয় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে। বর্তমানে অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বেলজিয়াম, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হংকং, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, মালদ্বীপ, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পর্তুগাল, কাতার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে দেশের ফলের রাজা আম। সবচেয়ে বেশি আম রপ্তানি হয় যুক্তরাজ্যে। বর্তমানে গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা, ফজলি, আম্রপালি ও সুরমা জাতের আম রপ্তানি হচ্ছে।

১৮৬৫ সালে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাটিতে প্রথম আমের আঁটি থেকে গাছ হয়। এভাবেই আম ফলটি বিশ্ববাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। জানা যায়, মোগল সম্রাট আকবর ভারতের শাহবাগের দাঁড়ভাঙায় এক লাখ আমের চারা রোপণ করে উপমহাদেশে প্রথম একটি উন্নত জাতের আম বাগান সৃষ্টি করেন। আমের আছে বাহারি নাম বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ। ফলের রাজা আম। আম কথাটা শুনলেই প্রথমে মাথায় আসে একটা ফলের ছবি, যেটা লালচে হলুদ রঙের টসটসে রসালো এবং যার রয়েছে দিলখোশ করা একটা মিষ্টি স্বাদ। আম আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটা ফল হলেও ধারণা করা হয়, আমের উৎপাদন সর্বপ্রথম হয়েছিল প্রাচীন ভারতে। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে আমের প্রথম চাষ ও ফলন দেখা যায়। বলা হয়ে থাকে উত্তর-পূবের্র ভারত ও মিয়ানমারসংলগ্ন এলাকায় আমের উৎপাদন প্রথম শুরু হয়।

দেশে উৎপাদিত ফলের মধ্যে আম সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু ফল- যা দেশের সব জেলায় চাষ হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষের জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সর্বাধিক বিখ্যাত। এছাড়া রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জেলাগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ হয়। চাষাধীন মোট জমির পরিমাণ, মোট উৎপাদন এবং উৎপাদিত আমের গুণ ও মান বিবেচনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের 'আমের রাজধানী' নামে পরিচিত। পুষ্টি ও ভেষজগুণে আমের সঙ্গে অন্য ফলের কোনো তুলনা নেই। কাঁচা আমে আছে প্রচুর ভিটামিন 'সি'। ভিটামিন 'সি' ত্বককে মসৃণ করে। দাঁতের মাড়িকে মজবুত করে। সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে। পাকা আমে পাওয়া যায় প্রচুর ভিটামিন 'এ'। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি ও রাতকানা রোগ নিরাময়ে যার কোনো জুড়ি নেই। আমের রয়েছে নানারকম ভেষজগুণ। পাকা আম কিডনি, পরিপাকতন্ত্র ও ত্বকের জন্য উপকারী। শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আম বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে।

আম রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী আরমান আলী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর এবং আশ্বিনা জাতের আম রপ্তানি হচ্ছে। তবে বারি আম-২ এবং বারি আম-৭ বিদেশে রপ্তানির জন্য সম্ভাবনাময় জাত। দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমের জুস এখন রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা মেটাতে ফলটি প্রক্রিয়াজাত করে জুস তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছেন উদ্যোক্তারা। দেশে অভ্যন্তরে ও রপ্তানি মিলে জুসের বাজার দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার। জুসের বাজারে প্রাণ, আকিজ, একমি, সজীব, ট্রান্সকম ও পারটেক্স গ্রম্নপ এগিয়ে আছে। জুসের বাজারে প্রাণ গ্রম্নপের ব্র্যান্ড ফ্রুটো, আকিজের ফ্রুটিকা, একমি গ্রম্নপের একমি, সজীব গ্রম্নপের সেজান, ট্রান্সকমের স্স্নাইস ও পারটেক্স গ্রম্নপের ড্যানিশ প্রভৃতি। বাংলাদেশের আমের জুস রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে- আরব আমিরাত, আবুধাবি, দুবাই, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, ওমান ছাড়াও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশ ইতালি, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বাজারে। আশা জাগানিয়া খবরটি হলো- বাংলাদেশের ল্যাংড়া ও আম্রপলি আম যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে। এফএও'র মতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আম রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনাটি হলো- বাংলাদেশের আম যখন পাকে তখন বিশ্ববাজারে অন্য কোনো দেশের আম আসেন না। যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা বিশ্বের অন্যতম সুস্বাদু ফল হিসেবে বাংলাদেশের আমকে বেশ পছন্দ করছে। গুণে ও মানে অতুলনীয় হওয়ায় বিশ্ববাজারে দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশের আমের চাহিদা। রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিশ্বখ্যাত ওয়ালমার্ট কোম্পানি এই আম রপ্তানি করবে জার্মান, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে। এ কারণে সরকার আম উৎপাদনে মাঠ পর্যায় তদারকি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকমান বজায় রেখে উৎপাদন করতে পারলে বছরে ১ হাজার টন আম রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের আমের স্বাদ অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। আমের নানাবিধ ব্যবহার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমানের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল হিসেবে পরিচিত। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশের মাটি, জলবায়ু, আবহাওয়া- সবই আমচাষের উপযোগী। দেশের প্রায় সব জেলায়ই আম ফলে। এমনকি উপকূলীয় লবণাক্ত ভূমিতেও এখন মিষ্টি আমের চাষ হচ্ছে। পার্বত্য জেলার জুমচাষ এলাকায়ও উন্নত জাতের আম ফলছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, যশোর আমচাষের শীর্ষে অবস্থান করছে।

সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, প্রাচীনকালে তো বটেই, পরবর্তীকালে বাংলার সুলতানরাও 'ফলের রাজা আম'র অবিচ্ছিন্ন নেশায় আসক্ত হয়েছিলেন। আম কিন্তু বাংলার নিজস্ব ফল নয়। এর আদিনিবাস দক্ষিণ এশিয়াতে। আমাদের বাংলায় আম এসেছে পরবর্তী সময়ে অনেক আগন্তুক ফল-ফুল বৃক্ষের মতোই। অবশ্য পুরাণের মতে, পবনপুত্র বীর হনুমানের দাক্ষিণ্যেই নাকি এই আম গাছ শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে এসে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে, সেভাবেই এই বাংলার পথে-প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়ে আম গাছ।

নাফিসা এগ্রোর চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ বলেন, আমভিত্তিক শিল্প স্থাপনে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান এমনকি সৌদি আরবও আমজাত পণ্য নিয়ে গবেষণা করে আমভিত্তিক শিল্পের ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশও আমের রস, আমের মোরব্বা, আমের স্কোয়াশ, আমের জেলি, আমের পাল্প, আমের ট্রফি, আমের মধু, আমসত্ত্ব, আমের বরফি, আমের আচার, আমের জ্যাম, আমের পাউডার প্রভৃতি আমভিত্তিক খাদ্যদ্রব্য তৈরির উদ্যোগ নিতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ১১টি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ২১টি আমের জাত উদ্ভাবন করেছেন। উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে আম্রপালি সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।

আম উৎপাদনকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, বিশ্বে আম উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম স্থানে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, আগে অনেকে শখের বশে আমের বাগান করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে আমের বাগান বা আমচাষে নিবিষ্ট হয়েছে। এতে ব্যক্তি যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি লাভবান হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এমনকি এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানও। ফলের মধ্যে দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফলের রাজা আম। কাঁচা ও পাকা আম ছাড়াও ফ্রুট ড্রিংকস, জুস, আচার, চাটনি, আমসত্ত, চকোলেটসহ নানা ধরনের পণ্য তৈরিতে আমের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে, আম ও আমভিত্তিক শিল্প সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দেশে আম এবং প্রক্রিয়াজাত আমভিত্তিক পণ্যের বাজার প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার।

আম হচ্ছে, বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন চাষাবাদকৃত একটি ফল। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী আমের উৎপত্তিস্থল ও বিস্তার নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী ব্যভিলভ (১৯২৬) এর মতে আমের উৎপত্তিস্থল প্রাচীন ইন্দো-বার্মা অঞ্চল। এই অঞ্চলে অন্তর্গত হলো প্রাচীন হিমালয়ের পাদদেশ বিস্তৃত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলসমূহ। যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন ভারতের পূর্বাংশ, বার্মা ও আন্দামান দীপপুঞ্জ- যা বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। আরও পূর্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, খ্রীষ্টপূর্ব ৪,০০০ বছর থেকে এসব অঞ্চলের অন্তর্গত আসামের পাহাড়ি অঞ্চল ও আশপাশের এলাকায় আমের বন্য প্রজাতি জন্মাতে দেখা যায়।

আম হচ্ছে একটি খুবই সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও দৃষ্টি নন্দন জনপ্রিয় ফল। পৃথিবীজুড়েই এর চাষাবাদ হয়। এসব অঞ্চলেই বিভিন্ন ধরনের আমের চাষাবাদ দেখা যায়- যা বিভিন্ন শ্রেণির ভোক্তাদের চাহিদা পূরণে ফ্রেশ ফল হিসেবে অথবা প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে আম। বর্তমানে মানুষের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মানুষ মৌলিক খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি অধিক পুষ্টিকর ও অন্যান্য গুণাগুণ সম্পন্ন খাদ্য গ্রহণের দিকে ঝুঁকছে। এর কারণে দেশীয় জাতের পাশাপাশি কৃষি বিজ্ঞানীরা পরিবেশের সহিত খাপখাওয়ানো সম্পন্ন ও মানুষের বিভিন্ন চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আমের ১৪টি জাত উদ্ভাবন করেছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৫২টি বিভিন্ন জাতের আমের মধ্যে প্রধানত ৩১টি সমাদৃত জাতের বাণিজ্যিক চাষাবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্য মতে প্রায় ৮টি বহুল সমাদৃত ভৌগোলিক নির্দেশক আমের জাত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে ফজলি, ল্যাংরা, গোপালভোগ, খিরসাপাত, আশ্বিনা, লক্ষণভোগ, সূর্যপুরী ও হাঁড়িভাঙ্গা। এসব জাতে বিভিন্ন জিনগত বৈশিষ্ট্যের মধ্য থেকে স্বাদ, গন্ধ ও অনন্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে