রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

বিশ্ব কৃষির নেতৃত্বে বাংলাদেশ

বছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন হচ্ছে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার টন
আলতাব হোসেন
  ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
বিশ্ব কৃষির নেতৃত্বে বাংলাদেশ

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে। এর মধ্যে পাট রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম বাংলাদেশ। ইলিশ মাছ উৎপাদনে প্রথম, সবজিতে তৃতীয়, মিঠাপানির মাছে তৃতীয়, আম উৎপাদনে বিশ্বে নবম বাংলাদেশ। আলু উৎপাদনে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ। ইলিশ উৎপাদনে প্রথম বাংলাদেশ। বস্ন্যাক বেঙ্গল ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ। আর ছাগলের দুধ উৎপাদনে দ্বিতীয়, পেয়ারা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনে শীর্ষে বাংলাদেশ। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের দিক থেকেও অধিকাংশ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহারণ। কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়।

অল্প সময়ে বাংলাদেশ কি করে কৃষিতে এত সফলতা অর্জন করেছে, বিশ্ব তা বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে চায়। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কলাকৌশল শিখাতে এশিয়া অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে। বাংলাদেশ কাউন্সিলের নীতি ও নির্বাহী পর্যায়ে এফএও'র কার্যক্রম, বাজেট বাস্তবায়ন, ফলাফলভিত্তিক কাঠামোর আওতায় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণসহ এর প্রশাসনিক দিকগুলো তদারকিতে অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে নেতৃত্ব দেবে এবার বাংলাদেশ। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা- যা ক্ষুধা দূরীকরণে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।

মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং অব্যবহিত পরে প্রায় সাত কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে দেশকে। তখন আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হতো। অথচ এখন দেশের লোকসংখ্যা তিনগুণের কাছাকাছি। পাশাপাশি প্রতিদিন আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে ২০ শতাংশ করে। এরপরও আমন, আউশ ও বোরো ধানের বাম্পার ফলনে বছরে প্রায় সাড়ে চার কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের খাদ্য সংকটকে ইঙ্গিত করে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ একটি 'তলাবিহীন ঝুড়ি' বলে মন্তব্য করেছিলেন। বাংলাদেশ এখন আর খাদ্য সংকটের দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন চাল-সবজিসহ খাদ্যপণ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ ১৪৪টি দেশে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে ১০৩ কোটি ডলার আয় এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ শতাংশের বেশি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের ধানের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি, গম দ্বিগুণ, সবজি পাঁচ গুণ এবং ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে ১০ গুণ। দুই যুগ আগেও দেশের অর্ধেক এলাকায় একটি ও বাকি এলাকায় দুটি ফসল হতো। বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে তিনটি ফসল হচ্ছে। পরিশ্রমী কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রয়াসে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

স্বাধীনতার পর প্রতি হেক্টর জমিতে দুই টন ধান উৎপাদিত হতো। এখন হেক্টর প্রতি উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় টনেরও বেশি। হিসাব করলে তা ছয় টন আর এভাবেই প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি, উন্নত জাতের জাতের ব্যবহার ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনার ফলে দেশে ১৯৭১ সালের তুলনায় বর্তমানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে দেশে আমন থেকে উৎপাদন হয় দেড় লাখ টন, আউশ হয় ৭০ হাজার টন, বোরো থেকে আসে দুই কোটি ১০ লাখ টন, গম উৎপাদন হয় ১২ লাখ টনের বেশি। এ ছাড়া ভুটা উৎপাদন হয় ৫০ লাখ টনের বেশি। দেশে বছরে সাড়ে চার কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনে শীর্ষে বাংলাদেশ। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের দিক থেকেও অধিকাংশ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ এখন বিশ্ব উদাহারণ।

কৃষি হচ্ছে আমাদের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত, এ খাত থেকে জিডিপির ১৩.২৯ শতাংশ আসে। কৃষিতে দেশের ৪০ শতাংশ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকট ও মজুরি বৃদ্ধি আচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ফসলচাষে যান্ত্রিকীকরণ শুরু হয়েছে। এ জন্য কৃষকদের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। যান্ত্রিকীকরণ বাড়াতে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। জলবায়ু সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে ব্রি এবং বিনা।

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। ধান-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উপযোগী উর্বর মাটির দেশ। তা সত্ত্বে প্রাচীন প্রদ্ধতিতে চাষাবাদের কারণে সব সময় খাদ্য ঘাটতি ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। দেশের প্রথম অর্থবছরের ৭৮০ কোটি টাকার বাজেটে কৃষি খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। আধুনিক কৃষি গবেষণার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। উন্নত জাতের ধানের বীজ, সার, সেচ, কীটনাশসহ কৃষির বিভিন্ন উপকরণ সহজলভ্য করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কৃষি উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হয়। স্বৈরাচারি সরকারের সময় কৃষির গুরুত্ব কমে যায়। আশানুরূপ উৎপাদন হয়নি। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ জাতিকে প্রতিশ্রম্নতি দেয়, খাদ্য শস্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে আনা হবে।

আজকে আমরা দেখছি, ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে। এর মধ্যে পাট রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম বাংলাদেশ। সবজিতে তৃতীয়, মিঠাপানির মাছে তৃতীয়, আম উৎপাদনে বিশ্বে নবম বাংলাদেশ। আলু উৎপাদনে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ। ইলিশ উৎপাদনে প্রথম বাংলাদেশ। বস্ন্যাক বেঙ্গল ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ। আর ছাগলের দুধ উৎপাদনে দ্বিতীয়, পেয়ারা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনে শীর্ষে বাংলাদেশ। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের দিক থেকেও অধিকাংশ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহারণ। সরকারের ধারাবাহিকতায় কৃষিকে গুরুত্ব আরোপ করায় এই অজর্ন হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় বিশ্বে কৃষিতে ১১ খাতে সেরা বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) স্বীকৃতি দিয়েছে। যা বাংলাদেশের জন্য বিশাল এক অর্জন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় মাইলফলক বলে উলেস্নখ করেছেন বিশিষ্টজনরা। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা, চালসহ কৃষিপণ্য, প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একের পর এক স্বীকৃতি পাচ্ছে বাংলাদেশ। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। ধান, গম, ভুট্টা আলু, আম বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগসহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব উদাহরণ। দেশের খোরপোশ কৃষি এখন বাণিজ্যিক কৃষিতে উন্নীত হয়েছে। জিডিপিতে এখন কৃষির অবদান ৪ শতাংশ। কৃষিতে দেশের ৪০ শতাংশ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদনের দিক থেকেও অধিকাংশ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাংলার কৃষকরা এখানেই থেমে যাননি। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের জন্য উদাহরণ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বের জন্য উদাহরণ হিসেবে প্রচার করছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বের যেসব দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়তে পারে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সফলতাও বাড়ছে। ১৯৭২ সাল থেকে দেশি জাতকে উন্নত করে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চফলনশীল (উফশী) জাত উদ্ভাবনের পথে যাত্রা করেন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা সংস্থা বিনার বিজ্ঞানীরা লবণসহিষ্ণু খরাসহিষ্ণু ও বন্যাসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের কৃষি গবেষকরা।

জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্য মতে, সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়। এক সময় দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোরেই কেবল সবজির চাষ হতো। এখন দেশের প্রায় সব এলাকায় সারা বছরই সবজির চাষ হচ্ছে। দেশে সবজির উৎপাদন যেমন বেড়েছে, ভোগও তেমনি বেড়েছে। দেশে মাথাপিছু সবজির ভোগ বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। পাশাপাশি সবজি রপ্তানি করেও মিলছে বৈদেশিক মুদ্রা।

এক সময় 'মাছে-ভাতে বাঙালি' কথাটি বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, এখন তা বাস্তব। মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এফএও পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের যে চারটি দেশ মাছ চাষে বিপুল সাফল্য অর্জন করবে, তার মধ্যে প্রথম দেশটি হচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বে মোট আম উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। ফলটির উৎপাদনে শীর্ষ দশে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। প্রায় সাড়ে নয় লাখ টন আম উৎপাদনের মাধ্যমে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এফএও) সর্বশেষ মূল্যায়নে বলা হয়েছে।

আলু উৎপাদন সাফল্যের এক বিস্ময়। এক দশক আগেও উৎপাদন ছিল অর্ধলাখ টনের নিচে। বর্তমানে দেশে দেড় কোটি টন আলু উৎপাদন হচ্ছে। আলু বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। এখন নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। গত ১২ বছরে সবজির উৎপাদন বেড়েছে সাত গুণ। বর্তমানে এক কোটি ৯৭ লাখ টন সবজি উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সবজি রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে অনেক। অচিরেই সবজি রপ্তানি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎসে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে