রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

তুঁত চাষে আবার ফিরবে রেশমি শিল্পের ঐতিহ্য

আলতাব হোসেন
  ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০
তুঁত চাষে আবার ফিরবে রেশমি শিল্পের ঐতিহ্য

গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে মালবেরি। এর কিছু সবুজ, কিছু লাল আর পেকে কালো হয়ে গেছে। পাতার চেয়ে ফলই যেন বেশি। উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি এই ফল। আমাদের দেশে এ ফলের কোনো কদর না থাকলেও সারা পৃথিবীতে তুঁত ফল মালবেরি নামে বিখ্যাত। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার অনেক দেশেই এ ফলের চাষ হয়। দেশের উত্তর জনপদেও কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে তুঁত চাষ করেন। দেখতে অসম্ভব সুন্দর তুঁত ফলের ইংরেজি নাম মালবেরির অর্থ জাম। উচ্চমূল্যের রসালো টক মিষ্টি স্বাদের এই ফলের আদিবাস চীনে। ভারত, বাংলাদেশ, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে তুঁত ফলের চাষ হয়ে থাকে। তুঁত ফলের জুস ও জ্যাম জেলি সুপরিচিত। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া তুঁত ফল বেশি সুস্বাদু। তুঁতগাছ চাষে আবার দেশে ফিরবে রেশমি শিল্পের রমরমা বাণিজ্য। খুলে দিতে পারে বৈশ্বিক অর্থনীতির দুয়ার।

বসন্তের শুরুতে গাছে নতুন পাতা আসে। যে কোনো ছোট টব বা পাত্র এমন কি পলিব্যাগে লাগালেও গাছ সুন্দর বেড়ে ওঠে, যেন শুধু ফল দেয়ার জন্যই তার জন্ম। সারা বছরই ফল দেয়। কিছু দিনের মধ্যেই ফল পাকে। পাকা ফল রসালো এবং টক-মিষ্টি। তুঁত বা মালবেরি গাছের কান্ড থেকে উৎপন্ন মঞ্জুরি দন্ডে ছোট ছোট ফুলগুলো ঘন হয়ে ফুটে থাকে। পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা। তুঁত গাছের পাতা ডিম্বাকার, চমৎকার খাঁজযুক্ত এবং অগ্রভাগ সুচালো। ফেব্রম্নয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিলেই ফল পাকে। তুঁত ফল প্রথম অবস্থায় সবুজ, পরে লাল এবং সম্পূর্ণ পাকলে কালো রং ধারণ করে।

তুঁত গাছের পাতা রেশম পোকার মথকে খাওয়ানো হয়, যার লালা থেকে রেশম তৈরি হয়। রেশম পোকার তৈরি বাসা বা গুটি নানা প্রক্রিয়া শেষে তা থেকে তৈরি হয় রেশমি সুতা। এই সুতায় তৈরি হয় সিল্ক বা রেশমি কাপড়। রাজশাহী, নাটোর, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, সিলেটে রেশম পোকার খাদ্যের জন্যই তুঁত গাছের চাষ হয়ে থাকে। আগে বাংলাদেশে তুঁত কখনো ফলের জন্য চাষ করা হতো না। বেশ কয়েক বছর ধরে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়াসহ বিদেশ থেকে ভিন্ন প্রজাতির মালবেরি গাছের চারা এনে চাষ করা হচ্ছে। মূলত ব্যক্তি উদ্যোগে ওইসব জাতের মালবেরির আবাদ হলেও সম্প্রতি সরকারিভাবেও এই চাষ সম্প্র্রসারণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কৃষিবিদদের মতে বাংলাদেশে ফলের জন্য আনা নতুন প্রজাতির মালবেরির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের কিছু কিছু স্থানে ব্যক্তি পর্যায়ে বিদেশ থেকে আনা মালবেরির জাতগুলোর বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। এককেজি মালবেরি ফল ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। কৃষিবিদরা জানান, এই তুঁত বা মালবেরিকে 'বস্নাক বেরি' বলে চড়া দামে চারা বিক্রি করা হয়। এখন অনেক বাসার ছাদেও শোভা পাচ্ছে তুঁতগাছ। শালিক, টিয়া, বুলবুলি, টুনটুনি ও অনেক পাখিরই খুব প্রিয় ফল তুঁত। ক্যানসার প্রতিরোধসহ ঔষধি গুণ ছাড়াও এই ফলের গাছের বাকল, পাতা ও কাঠের বহুবিধ ব্যবহারের কথা শোনা যায় কৃষিবিদসহ নানাজনের মুখে।

গুটি রেশমের জন্য গাছটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। মূলত এই রেশম গুটি থেকেই প্রস্তত করা হয় সিল্কের কাপড়। গাছ পত্রমোচি, গুল্ম বা ছোট আকৃতির, সাধারণত ৫ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পাতা ডিম্বাকৃতির, খসখসে, কিনারা দাঁতানো এবং শিরা সুস্পষ্ট। এখানকার তুঁত গাছে ফুল আসে ফেব্রম্নয়ারি-মার্চে, ফল পাকে মে-জুনের দিকে। ক্ষুদ্র ক্ষদ্র অনেক ফল মিলে একটি সম্পূর্ণ ফল তৈরি করে। কাঁচা ফলের রং সবুজ, তারপর পর্যায়ক্রমে লাল ও কালো রং ধারণ করে। গাছে একই সঙ্গে কাঁচা ও পাকা ফল বেশ নান্দনিক। কালো রঙের পরিপক্ব ফল রসালো, নরম ও টক-মিষ্টি স্বাদের। ভারী সুস্বাদুও বটে। ফল এবং রেশম ছাড়া তুঁতের আরও বহুবিধ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। পাকা ফলের রস পিত্ত, কফ ও জ্বরনাশক। বাকল ও শিকড়ের নির্যাস কৃমিনাশক। এ ছাড়া ফল থেকে জ্যাম, জেলি, স্কোয়াশ ও নানারকম পানীয় তৈরি করা হয়।

বাংলায় এত বেশি রেশম উৎপাদিত হতো যে তা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পর প্রচুর পরিমাণে বাইরে রপ্তানি হতো। এই সিল্কের বাজারই প্রথম ইউরোপীয় বণিকদের বাংলায় আসতে আকৃষ্ট করে। ছোট আকারে বাণিজ্যকুঠি স্থাপনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে পরিণতিতে ইউরোপীয় বণিক কোম্পানিগুলো বাংলার বস্ত্রশিল্পের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। ক্রমশ তারা বাংলার তৈরি পোশাক শিল্পকে প্রভাবান্বিত করে এবং বস্ত্র রপ্তানির পরিবর্তে প্রসারণশীল বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী বস্ত্র তৈরির কাঁচামাল রপ্তানি শুরু করে।

বাংলাদেশে তুঁতগাছ মূলত রেশমের গুটি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়। দিনাজপুরেও একটি বাগান আছে। তুঁত ফল অনেকেই খেয়ে থাকেন। তবে এটি বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের তালিকায় নেই। উপকারী হলেও শস্যের তালিকায় না থাকা তুঁত ফল দিনাজপুরে মুখরোচক খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পুষ্টিগুণসম্পন্ন এ ফল দিনাজপুরের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে। আবার অনেকে তুঁত ফল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। তুঁত বাগানে শিশু, নারী ও পুরুষ ফল সংগ্রহ করে। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ফলের দোকানে এই ফল বিক্রি হচ্ছে। জমিতে রেশম পোকার খাবারের জন্য তুঁত গাছের পাতা উৎপাদন হয়ে থাকে। কোনো নির্দেশনা না থাকায় তুঁত ফল সংগ্রহ করা হয় না। তবে গাছে যে তুঁত ফল হয়, সেগুলো পাকলে পাখিতে খায়। স্থানীয় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও খায়।

রেশমের সঙ্গে মানব সভ্যতার যে টানাপড়েনের ইতিহাস, এর যোগাযোগ সুদূর অতীতের রেশম পথ ধরে। আঁকাবাঁকা, দুর্গম রেশম পথের মতোই রেশমের বিবর্তনের ধারাও অমসৃণ। যিশু খ্রিষ্টের জন্মের পূর্বে আবিষ্কৃত এই রেশম এক সময় চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচুর রপ্তানি হওয়ায় সেই পথের নাম হয় রেশম পথ বা সিল্করুট। চীন থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই রেশম। এই পথের দৈর্ঘ্য ছিল চার হাজার মাইল। বাণিজ্য ছাড়াও সেকালে এই পথেই দেশ-বিদেশের মধ্যে বিনিময় হতো জ্ঞানবিজ্ঞান, সংস্কৃতির এবং ভাবনাচিন্তার। সুদূর প্রাচীনকালে বৌদ্ধধর্ম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল এই পথ ধরেই। এরপর সিল্কের বিস্তৃতি ঘটে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ভারত, জাপান এবং পারস্য (বর্তমান ইরান) পর্যন্ত। তুঁত রেশম তিব্বত হয়ে বাংলাদেশে প্রবশ করে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশের রেশম বাজার পুরোপুরি স্থানীয়। কখনো কখনো স্থানীয় সরবরাহের বাইরেও রেশমের চাহিদা দেখা যায় এবং বৈধ ও অবৈধ উপায়ে প্রধানত ভারত থেকে রেশমবস্ত্র আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত শ্রেণির জীবনে রেশমের একটি উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। একখানি রেশম শাড়ির আভিজাত্য একটি দামি সুন্দর পোশাকের চেয়ে বেশি। রেশম শাড়ি বিত্ত, সভ্যতা, বাঙালি রমণীর ঐতিহ্যগত সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রের প্রতীক। সিল্কের বিভিন্ন নমুনা এবং ডিজাইনের জন্য বাংলা ভাষায় বিশেষ বিশেষ নাম প্রচলিত, যেমন গরদ, মটকা, বেনারসি ইত্যাদি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, মালবেরি অর্থাৎ তুঁত ফল বা মালবেরি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। মালবেরি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা তুঁত ফল উপকারী। এ ছাড়া পাকা ফলের টক-মিষ্টি রস পিত্তনাশক, দাহনাশক, কফনাশক ও জ্বরনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তুঁত গাছের ছাল ও শিকড়ের রস কৃমিনাশক। এটি ঠান্ডা লেগে জ্বর কিংবা কাশি হলে তুঁত গাছের ফল অত্যন্ত উপকারী।

রেশম এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু যার কয়েকটি ধরন বস্ত্রশিল্প বয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়। রেশমের সর্বাধিক পরিচিত ধরন বম্বিক্স মোরি নামের রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়। রেশম পোকার গুটি থেকে এক ধরনের সূতা পাওয়া যায়। বিশেষ ব্যবস্থায় রেশম পোকা চাষের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে এই সূতা প্রস্তুত করা হয়। রেশম পোকার গুটি চাষের পদ্ধতিকে সেরিকালচার বলা হয়। বাংলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ শিল্প এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ হিসেবে রেশম তৈরি প্রক্রিয়ার ইতিহাস শুরু হয়েছিল বহু শতক আগেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, তেরো শতকে সুদূর ইতালিতে এই রেশম গাঙ্গেয় সিল্ক নামে পরিচিত ছিল।

রেশম একটি কৃষি নির্ভর শ্রমঘন গ্রামীণ কুটির শিল্প। পরিবারের আবালবৃদ্ধবনিতা, বেকার, বিশেষ করে মহিলারা এই পরিবার কেন্দ্রিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত হয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় রেশম চাষে অধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়। ১ হেক্টর জমিতে রেশম চাষ করলে ১ থেকে ১৩ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়। রেশম চাষে বছরে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ বার ফসল ফলানো যায় এবং অধিক অর্থ উপার্জন করা যায়। আবাদি, অনাবাদি, রাস্তার ধারে, বাড়ির আশপাশের খন্ডিত জমি, বাঁধের ধার, জমির আইল প্রভৃতি যে কোনো পতিত জমিতে তুঁত গাছের আবাদ করা যায়। তুঁতগাছ ৩০-৩৫ পর্যন্ত বছর বাঁচে। একবার এ গাছ লাগালে এবং সীমিত যত্নের মধ্যে রাখলে দু'মাস পর পর এ গাছ থেকে এক নাগাড়ে ৩০ থেকে ৩৫ বছর পলুপালন করে অর্থ রোজগার করা যায়। তুঁত গাছের শিকড় মাটির অতি গভীরে যায়। যে কারণে খরার সময় বৃষ্টিপাত না হলে বা সেচ না দিতে পারলেও মোটামুটিভাবে ফসল হয়- যা অন্যান্য কৃষি ফসলে হয় না। এ শিল্পে তুলনামূলকভাবে অল্প মূলধন কাজে লাগিয়ে অধিক অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা নেয়া যায়। ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে রেশম গুটি উৎপাদন, ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে রেশম সূতা উৎপাদন এবং ১ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে কাপড় উৎপাদনের কাজ করা যায়। গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবকদের আত্মকর্ম সংস্থানে এ শিল্প বিশেষভাবে সহায়ক। রেশম সূতা, বস্ত্র ও তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, জাতীয় আয় বৃদ্ধি, আমদানি বিকল্প এবং গ্রামের গরিব জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মান উন্নয়নসহ দারিদ্র্য বিমোচনে এ শিল্প অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।

রেশম থেকে প্রথমে হ্যান্ডলুম কিংবা পাওয়ার লুমে থানকাপড় প্রস্তুত করা হয়। রেশম থেকে প্রস্তুত পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কামিজ, থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, ওড়না, সার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, স্কার্ফ, রুমাল, টাই, বেবি ওয়্যার ইত্যাদি অন্যতম। শাড়ি এবং অন্যান্য তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের নকশা করা হয়। এসব নকশায় রং, রঙিন সুতা, জরি, পুঁতি, কাঁচ, পস্নাস্টিক নানাবিধ উপকরণ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রেশমের ঐতিহ্যবাহী এবং অতি জনপ্রিয় শাড়ির নাম গরদ। রাজশাহী অঞ্চলে বুনানো এই শাড়ি রেশমের স্বাভাবিক রঙের জমিনের বিপরীতে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লাল বা সবুজ এবং কখনো সোনালি জড়ির কাজ করা পাড় থাকে। পাড়ে রেখা, ত্রিভুজ ও জ্যামিতিক আকার সমৃদ্ধ সূক্ষ্ণ নকশা থাকে। স্বাভাবিক রঙের রেশমি কাপড়ের নাম কোরা, ক্ষারি বা ধোয়া হলে তার নাম হয় গরদ। গরদের শাড়ির পাড়ের রং যাই হোক না কেন, শাড়ির জমিন উজ্জ্বল বা হাতির দাঁতের বর্ণ হয়ে থাকে।

রেশমের তৈরি অপর একটি জনপ্রিয় শাড়ির নাম ঢাকার কাতান। ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারস থেকে আগত মোহাজেররা ঢাকা শহরের মালিটোলা, বেঁচারাম দেউড়ী, দক্ষিণ মৌসুন্ডি এবং লালমোহন সাহা স্ট্রিট বেনারসি কাতান বয়ন আরম্ভ করে। পরে এরা মোহাম্মদপুর ও মিরপুরে বসতি স্থাপন করে। কাতান বয়নে গর্ত তাঁত ব্যবহার করা হয়। এ তাঁতে শাড়ির নকশা তোলার কাজে জ্যাকার্ড ব্যবহার করা হয়। রেশমি সুতা ও বুটির জন্য জরি ব্যবহৃত হয়। পাকান রেশমি সুতার নাম কাতান। বেনারসি শাড়িতে পাকান সুতা ব্যবহৃত হয় বলে এর অপর নাম কাতান শাড়ি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে