কয়েক বছর ধরে বিশ্বে পাটের রমরমা বাণিজ্য চলছে। বাংলার পাট আবার বিশ্ব মাতিয়ে তুলছে। বিশ্বে পাট উৎপাদন এবং রপ্তানিতে প্রথম বাংলাদেশ। কাঁচাপাট ও পাটপণ্য রপ্তানি করে তিন থেকে চার শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে- যার মূল্যমান ১.২০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। দেশের জিডিপিতে পাট খাতের অবদান ১ দশমিক ৪ শতাংশ। কৃষি জিডিপিতে পাট খাতের অবদান ২৬ দশমকি ২৬ শতাংশ। বিশ্বে ২৮২ ধরনের পাটপণ্য রপ্তানি করছে। পাট খাতের বৈশ্বিক রপ্তানি আয়ের ৭২ শতাংশ এখন বাংলাদেশের হাতে। সোনালি আঁশ, পাট আবার সোনালি স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ বলেন, কাঁচাপাটের পাশাপাশি জুট ইয়ার্ন, টুওয়াইন, চট ও বস্তার পর এবার বিশ্ব বাজারে পাটের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে প্রায় ৫০ ধরনের পাটের কাপড় রপ্তানি হচ্ছে। হাতে তৈরি বিভিন্ন পাটজাত পণ্য ও কার্পেট মধ্যপাচ্যের দেশগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাটের ২২ জাতের সুতা রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪ দেশে। পাটকাঠি এত দিন রান্নার কাজে জ্বালানি ও ঘরে বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহার হতো। এখন পাটকাঠি থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হচ্ছে উচ্চমূল্যের অ্যাক্টিভেটেড চারকোল। এই চারকোল দেশের বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহার হচ্ছে ও বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে- যা থেকে তৈরি হচ্ছে কার্বন পেপার, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, ওয়াটার পিউরিফিকেশন পস্ন্যান্ট, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী পণ্য। পাটের চারকোল রপ্তানি হচ্ছে চীন, তাইওয়ান, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে। পাটের আঁশ থেকে তৈরি হচ্ছে শাড়ি, লুঙ্গি, পর্দার কাপড়, গয়না, অলংকারসহ ২৮৫ ধরনের পণ্য- যা দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। ১৩৫ ধরনের বহুমুখী পাটপণ্য বিক্রি হচ্ছে দেশে-বিদেশে। পাট দিয়ে রুচিশীল ফ্যাশন্যাবল বা সৌন্দর্যমন্ডিত পণ্য, দৈনন্দিন ব্যবহার উপযোগী সামগ্রী, নানা প্রকারের হ্যান্ডিক্রাফট, হোম টেক্সটাইল পার্টেক্স বোর্ড ইত্যাদি হচ্ছে। বাংলাদেশের পাট এখন পশ্চিমা বিশ্বে গাড়ি নির্মাণ, পেপার অ্যান্ড পাম্প, ইনসু্যলেশন শিল্পে, জিওটেক্সটাইল হেলথ কেয়ার, ফুটওয়্যার, উড়োজাহাজ, কম্পিউটারের বডি তৈরি, ইলেকট্রনিক্স, মেরিন ও স্পোর্টস শিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্বে বাংলার পাটের আবার রমরমা বাণিজ্য চলছে।
পাট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাটের তৈরি বৈচিত্র্যময় পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে কয়েকগুণ। এর মধ্যে প্যাকিং সরঞ্জাম, স্মার্ট পাটের ব্যাগ, পাটের তৈরি টব, খেলনা, জুট ডেনিম, জুয়েলারি, ম্যাটস, জুতা, স্যান্ডেল, বাসকেট আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের পাট উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখের বেশি কৃষক পাট উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ পাট খাতের ওপর নিভর্রশীল। ২০১৩ সালে পাটের জন্ম রহস্য উন্মোচন করে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। পাটের উৎপাদন বৃদ্ধির মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২৩-২৪ এ পাটের উচ্চফলনশীল জাত উন্নয়ন ও অন্যান্য কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিষয়ে ১৭৩টি এবং পাটের বহুমুখী পণ্য ও শিল্প প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিষয়ে ৫৪টি গবেষণা পরীক্ষণ বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর মধ্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চফলনশীল ১৬টি জাত (দেশি পাট ৬টি, তোষা পাট ৪টি কেনাফ ৩টি এবং মেস্তা ৩টি) উদ্ভাবন করেছে। সরকার পাটকে 'কৃষি পণ্য' হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং পাট ও পাট পণ্যকে 'বর্ষপণ্য-২০২৩' হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও ৬ মার্চকে জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারের মহাপরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) তোষাপাট ৮ (রবি-১) নামক উচ্চফলনশীল জাত অবমুক্ত করেছে- যা প্রচলিত জাতের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ফলন বেশি। শশী-১ ও শশী-২ নামে দেশি পাটের দুটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। শশী-১ লাইনটি ধবধবে সাদা আঁশ বিশিষ্ট এবং শশী-২ লাইনটি স্বল্প জীবনকাল (৮০ থেকে ৮৫ দিন)। ইতোমধ্যে, দেশি ও তোষা পাটের ১২টি করে ২৪টি ট্রান্সক্রিমটোম সিকুয়েন্স সম্পন্ন করা হয়েছে। খরার সময় স্বল্প পানিতে দ্রম্নততম সময়ে পাট পচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে পাটের জাগ দিতে সিকুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ৪৫১টি ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ব্যাকটেরিয়ার কম্বিনেশন ব্যবহার করে ইতোমধ্যে ল্যাব ও গ্রিনহাউসে ১৫ কেজি পাট ১২ দিনে পচানো সম্ভব। এই প্রযুক্তিটিকে কৃষক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম চলছে।
পাটের উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ বছর সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্রণোদনা দিচ্ছে। এর আওতায় দেশের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ জন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও মাঝারি কৃষক বিনামূল্যে পাটের বীজ পাচ্ছেন। প্রতি কৃষককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় এক কেজি বিজেআরআই তোষাপাট-৮ (রবি-১) জাতের বিএডিসির বীজ দেওয়া হবে। প্রণোদনার সরকারি আদেশ বুধবার জারি হয়েছে এবং শিগগিরই মাঠপর্যায়ে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
সম্প্রতি যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষে বিধ্বস্ত দেশগুলোতে দাতা সংস্থার ত্রাণসামগ্রী ব্যবহারে পাটের দড়ি ও বস্তার চাহিদা বেড়েছে। উড়োজাহাজ থেকে পাটের বস্তার মধ্যে খাবারসামগ্রী নিচে ফেলা হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ১১২ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে কাঁচাপাট রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২১ কোটি ৬১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় হয় ৯১ কোটি ২০ লাখ ডলার। পাটে সুদিন ফেরাতে সরকার ইতোমধ্যে ৩৭ হাজার ৬৪৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পাট উৎপাদন উপযোগী ৪৬ জেলার ২৩০টি উপজেলায় উন্নতমানের উচ্চফলনশীল পাট উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতিক বছরগুলোতে খরার কারণে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। এ জন্য দেশের ২৮ জেলার ১০০টি উপজেলায় পাট পচন গ্রিনহাউস করা হয়েছে। এ ছাড়াও উচ্চফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনের জন্য দেশের ৩৬ জেলার ১৫০ উপজেলায় উন্নত পাট চাষ করা হচ্ছে। উন্নত পদ্ধতি ও কলাকৌশল অবলম্বন করে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এখন প্রশিক্ষিত কৃষকদের কাছ থেকে উন্নত বীজ কিনছে সরকার। সেই বীজ দিচ্ছে অন্যান্য এলাকার কৃষকদের।
এ বিষয়ে সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, পাটকাঠি থেকে তৈরি হচ্ছে কম্পিউটার ও ফটোকপির মূল্যবান কালি। পাটের সুতা দিয়ে শাড়ি, পাঞ্জাবির কাপড়, টুপি, জিন্স ও গরম কাপড় তৈরি হচ্ছে। বিশ্বখ্যাত বিলাসবহুল গাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে পাট। উড়োজাহাজের ইন্টেরিয়রও তৈরি হচ্ছে পাট দিয়ে। পাট পাতার সু্যপ ও পাটের কফিন ইউরোপের দেশগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। বিশ্বে পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক এই তন্তুর বহুমুখী ব্যবহার বেড়েছে। বাঁধ ও নদী ভাঙনরোধে পাটের বস্তা ব্যবহার হচ্ছে।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডক্টর মো. আল-মামুন বলেন, চোখ ধাঁধানো শোপিস, চেয়ার, দরজা, ফুলদানি, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, সু্যট-প্যান্ট, চাদর, এমনকি ডেনিমও পাট থেকে তৈরি হচ্ছে। জুতা, স্যান্ডেল, বাসকেট আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি হচ্ছে। পাটের ২২ জাতের সুতা রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪ দেশে।
এ বিষয়ে পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. আয়শা জামান বলেন, পাটপাতা শাক ও সু্যপ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। ভেষজ হিসেবে পাট পাতার ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই। পাটশাক ব্যাপক পুষ্টিগুণ ও বিভিন্ন ওষুধিগুণে গুণান্বিত। শুকনো পাটপাতা গুঁড়ো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে রোগ মুক্তির জন্য এবং কাঁচাপাতা শাক হিসেবে বহুকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়া শুকনো পাট পাতার পানীয় 'চা' হিসেবে ব্যবহারের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা হয়েছে। পাট পাতার রস রক্ত পিত্তনাশক, বাত নিরোধক, ক্ষুধাবৃদ্ধি কারক, আমাশয়, উদারাময় ও অম্স্ন রোগের মহৌষধ। সবজি মেস্তা উচ্চপুষ্টি ও ওষুধি মানের জন্য বিখ্যাত- যার একগুচ্ছ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই সবজি মেস্তার বাণিজ্যিক চাষ করা হয়। এর আকর্ষণীয় রং, অনন্য টক-স্বাদ এবং বহুমুখী ব্যবহার এটিকে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় করে তুলেছে। সবজি মেস্তা বা রোজেলার নির্যাস উচ্চ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-প্রলিফারেশন, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক, অ্যান্টি-হাইপার সেনসিটিভ, অ্যান্টি-হাইপার লিপিডিমিক, হেপাটো-প্রতিরক্ষামূলক, মূত্রবর্ধক এবং অন্যান্য অনেক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বের কয়েকটি দেশে বাণিজ্যিকভাবে পাটপাতা রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। থাইল্যান্ড, চীন ও জাপানে এ সু্যপের বেশ কদর রয়েছে। পাটকাঠি হাডবোর্ড তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে তিন হাজার টন পাটকাঠি তৈরি হয়। যা জ্বালানি কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। কাগজ শিল্পেও পাটের ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাংলার পাটে রয়েছে বিশাল গৌরবময় ঐতিহ্য। পাটের আদিভূমি হলো বাংলাদেশ, ইনডিয়ার পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, উড়িষ্যা ও বিহার অঞ্চল। এ অঞ্চলে প্রায় ৪০ প্রজাতির পাট উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা পাট উৎপাদিত হয়। পাটের ইতিহাসও অনেক প্রাচীন। গ্রিক, মিশরীয়, প্যালেস্টাইন এবং আরব সাহিত্যে পাটের উলেস্নখ আছে সবজি ও ওষুধি গাছ হিসেবে। মনুর শাস্ত্রে পাটের উলেস্নখ আছে-পাট্রা হলো অদ্ভুত ধরনের মসৃন কাপড় যা গাছের ছাল থেকে তৈরি হয়। মহাভারতেও পাটের উলেস্নখ রয়েছে। আইন-ই আকবরিতে ছালার কাপড়ের উলেস্নখ আছে। রমেশ দত্তের দি ইকোনমিকস হিস্ট্রি অব ইনডিয়া আন্ডার আরলি ব্রিটিশ রুল বইতে উলেস্নখ আছে ১৮০৮ থেকে ১৮১৫ সালে দিনাজপুর জেলার ১৩ হাজার একর জমিতে পাট চাষ করা হতো। এ থেকেই অনুমান করা যায় এক সময় পাটের কি রমরমা অবস্থা ছিল বাংলাদেশে। বিশ্বের মোট পাটের ৯০ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। এককভাবে বাংলাদেশ বিশ্বে উৎপাদিত কাঁচাপাটের ৪০ শতাংশ উৎপাদন করে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পাটের সুনাম আছে। সরকারের নানা উদ্যোগে দীর্ঘদিন পর সোনালি আঁশে আবার সোনালি স্বপ্ন দেখা দিয়েছে।
পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়। এক সময় পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করত। বাঙালি মধ্যবিত্তের অর্থনীতি ও রাজনীতির সঙ্গে পাটের সম্পর্ক গভীর। মধ্যবিত্তের সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ জোগিয়েছে পাট। পাট বিক্রি করে কৃষক ইলিশ মাছ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন কাপড় কিনতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার পাটের টাকায় ব্রিটেনের ডান্ডি শহর সমৃদ্ধ হয় এবং পাকিস্তান আমলে পূর্ব বাংলার পাটের টাকায় করাচি-লাহোরের উন্নয়ন করা হয়। দীর্ঘদিন পর বিশ্বে পাটের রমরমা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। পাটজাত পণ্যের চট, বস্তা, চোখ ধাঁধানো শোপিস, চেয়ার, দরজা, ফুলদানি, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, সু্যট-প্যান্ট, চাদর, এমনকি ডেনিমও পাট থেকে তৈরি হচ্ছে।