শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১

‘টেকসই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা' বিষয়ক কর্মশালা 

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৮:১৬
আপডেট  : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৮:২৬
ছবি-যায়যায়দিন

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কে স্মার্ট উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ‘টেকসই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা' বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (৩ জুলাই),দুপুর সাড়ে ১ টার দিকে ঢাকার ২৫ হাটখোলাশ এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ভবনে "Sustainable Plastic Waste Management' বিষয়ক একটি কর্মশালা আযোজিত হয়েছে।

এই কর্মশালায় 'Sustainable Plastic Waste Management এর বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকরা 'Sustainable Plastic Waste Management এর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং দেশবাসীর স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কে স্মার্ট উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্লাস্টিকের মধ্যে রয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের অর্থায়নের জন্য উৎপাদকদের বাধ্যবাধকতা, পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং মেরামতের সুবিধা দেয়া এমন পণ্যের নকশাকে উৎসাহিত করা এবং কার্যকর বর্জ্য সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে ২০১৯ সালে উত্পাদিত ৮.২৫ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্যের মাত্র ৩৬ শতাংশ পুনর্ব্যবহৃত হযেছিল যেখানে ২০০৬ সালে এই পরিমাণ দিন ৫১ শতাংশ, যা দেশের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়, একজন বিশেষজ্ঞ আজ বলেছেন।

'কিন্তু এটাও উল্লেখ করার মতো যে বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে ২০১৯ সালে প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারযোগ্য পরিমাণ ২০০৬ সালের তুলনায় বেশি ছিল," বলেছেন অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রাক্তন ডিন এবং প্রযুক্তি।

শ্রম এবং মূলধনকে একত্রিত করে 'প্লাস্টিক শিল্পকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান অংশ যা অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানিমুখী বাজার উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার ২০০৫ সালে .০ কেজি থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ১.০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে।

ঢাকার বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার আরও বেশি, ২৪ কেজি। বৈশ্বিক প্লাস্টিক বাজারের ৫৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে মাত্র ০.৬% অংশ বাংলাদেশের রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই খাতের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রস্তুত ও প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে প্লাস্টিক এবং গ্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে আমরা আয় করেছি ১৩৪২.৭ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে 'Sustainable Plastic Waste Management" এর প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যা ব্যবহার করি, তার মধ্যে প্লাস্টিকের মতো বহুমুখী জিনিস খুব কমই আছে।

আমাদের চারপাশে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে আছে প্লাস্টিক। আর এই ব্যপকভাবে বেড়ে যাওয়া প্লাস্টিকের অর্থই হল পরিবেশের ক্ষতি। অর্থাৎ এই পরিস্থিতিতে আমাদের আরও বেশ পরিমাণে প্লাস্টিকের নিষ্পত্তি করতে হবে। সতর্ক হতে আমাদের। সর্বোপরি প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করা শুধুমাত্র প্রযোজনীয়ই নয়, আবশ্যিকও বটে। আর সেই কারণেই আমাদের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়।

এমন অনেক উদ্যোক্তা রযেছেন, যাঁরা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছেন এবং প্লাস্টিককে কী ভাবে নতুন করে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন। তাদের সমাধানগুলি হয়তো শুনতে সহজ, কিন্তু বাস্তবে তার প্রযোগ যথেষ্ট কঠিন। তবুও এই প্লাস্টিক যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত লড়ে যাচ্ছেন সমাজে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে তার বদলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আসার জন্য। সেই সঙ্গে চলছে পরিবেশ বদলের ছোট্ট প্রয়াসও।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার 'Sustainable Plastic Waste Management" বাস্তবায়ন সম্পর্কে আরও সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্লাস্টিক শিল্প কে রিসার্চ করে, প্লাস্টিক খাত কে অন্যতম প্রধান রপ্তানি শিল্প গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বব্যাপী, পুনব্যবহার্য প্লাস্টিক সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য উৎসর্গীকৃত সংস্থান সরবরাহ করে যেখানে ব্র্যান্ড মালিক এবং শিল্প-ব্যবহারকারী প্লাস্টিক একসাথে কাজ করে।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপাদানগুলির মধ্যে একটি, যা গত কয়েক দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাত হিসেবে অবদান রাখছে। বাংলাদেশে প্লাস্টিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্লাস্টিক খাতকে অগ্রাধিকার প্রান্ত রস্তানি খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই সিদ্ধান্ত সমযোপযোগী এবং কার্যকর পদক্ষেপ।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে