রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সুন্দরবনের কপোতাক্ষ নদের গাবুরা রক্ষা বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৩
সুন্দরবনের কপোতাক্ষ নদের গাবুরা রক্ষা বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা ব-দ্বীপের কপোতাক্ষ নদের ভেঙ্গে যাওয়া ২০০ ফুট গাবুরা রক্ষা বেড়িবাঁধ গত ৬ দিনেও মেরামত হয়নি। ফলে বড় ধরনের নদীর জোয়ারের প্রবল স্রোতে ভাঙ্গন ও প্লাবিত হওয়ার আতংকে রয়েছে উপক‚ লবাসী। ভাঙ্গন মেরামতে এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেনি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে চরম ঝুকিতে রয়েছে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের বৈদ্যবাড়ি, গাজিবাড়ি ও মালিবাড়ি নামক স্থানে কপোতাক্ষের প্রবল ¯্রােতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। মূহুর্তের মধ্যে ২০০ ফুটের মত এরিয়া ভেঙ্গে নদী বক্ষে পড়ে যায়।

প্লাবনের সংকায় আতংকিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। তাতক্ষনিক ভাঙ্গন কবলিত এলাকা মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় উপক‚লবাসীর মধ্যে। ফলে নতুন করে ভাঙনের আশংকায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নং সোরা গ্রামের মিজানুর রহমান ও শামসুর রহমান জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থান থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এ ভাগ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উপক‚লীয় জনপদ গাবুরায় টেকসই বেড়িবাঁধ সংস্কারে পানিউন্নয়ন বোর্ড ৪২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। এরই মধ্যে কপোতাক্ষ নদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৈদ্যবাড়ি, গাজিবাড়ি ও মালিবাড়ি এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙন ও ফাঁটল রোধে এখনও পর্যন্ত কোন জিওব্যাগ দেয়া হয়নি। ফলে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে বৈদ্যবাড়ি পরে গাজী বাড়ি ও মালি বাড়ি এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়।

উল্লেখিত, ওই তিন স্পটে ইতিমধ্যে ২০০ থেকে প্রায় ২৫০ ফুট পর্যন্ত ভাঙ্গন এরিয়া বৃদ্বি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনও পর্যন্ত বাধ না বাঁধ সংস্কার না করায় ওই স্থানগুলোতে ভাঙন বেড়েই চলেছে।

এ অবস্থা অব্যহত থাকলে বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে যে কোন মূহুর্তে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। মুহুর্তেই পানিতে নিমজ্জিত হতে পারে সফলি জমি, বসতবাড়ী ও মাছের ঘের।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর সেকশন অফিসার প্রিন্স রেজা জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে থাকায় বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এখন অফিস খুলেছে। বেড়িবাঁধের ফাটল ও ভাঙ্গন দুই একদিনের মধ্যে ওই স্থনগুলো সংস্কার করা হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে