পদ্মা নদীর দুয়াড়িতে ধরা পড়ল বিপন্ন প্রজাতির ঘড়িয়াল

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৬:২৭ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০, ২১:৪৩

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
পদ্মা নদীতে পেতে রাখা এক জেলের নেট দুয়াড়িতে ধরা পড়েছে মিঠাপানির বিরল প্রজাতির বিপন্নপ্রায় এক ঘড়িয়াল। ঘড়িয়ালটি রাজবাড়ী জেলা বন বিভাগ উদ্ধার করে  বুধবার বিকাল ৩  ঘটিকায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে ঘড়িয়ালটিকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে সংরক্ষণের জন্য ঢাকা বন্যপ্রাণী ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
 
জানা যায়, রাজবাড়ীর হাবাসপুর এলাকার পদ্মা নদীতে মাছ শিকারি মো. বাদশা মিয়া নদীতে তিনটি নেট দুয়াড়ির পেতে রাখেন। এর একটিতে  ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি সাইজের লম্বা বিপন্নপ্রায় ঘড়িয়ালটি ধরা পড়ে।
 
স্থানীয় প্রশাসন ঘড়িয়ালটি উদ্ধার করে জেলা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। অভিজ্ঞদের মতে, এটি গোত্রভুক্ত ঘড়িয়াল শ্রেণি। এটি মেছো কুমির এবং ঘট কুমির নামেও পরিচিত। এদের  প্রধান খাদ্য মাছ বলেই অনেকেই মেছো কুমির বলে। বাংলাদেশে পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদী এবং এগুলোর শাখা- প্রশাখায় একসময় এদের প্রচুর দেখা যেত।
 
কিন্তু আবাসস্থল সীমিত হয়ে আসায় বর্তমানে বাংলাদেশে প্রজননক্ষম কোনো ঘড়িয়াল প্রকৃতিতে নেই বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ঘড়িয়াল মহাবিপন্ন প্রাণী, যা বন্যপ্রাণী ( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ দ্বারা সংরক্ষিত।
 
শৌখিন মাছ শিকারি মো. বাদশা সরদার বলেন, বাড়ির পাশেই পদ্মা নদী। শখ করে নেট দিয়ে তিনটি দুয়াড়ি তৈরি করেছি। দুয়াড়িটি ওঠাতেই বড় মাছ মনে করে আনন্দে চিৎকার দেই। পরে পানি থেকে উপরে এনে দুয়াড়ি খুলে দেখে মনে করি এটি কুমির। কুমিরটি দেখার জন্য প্রচুর লোকজন ভিড় করে।
 
স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় কুমিরটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে দিয়ে  দেই।
রাজবাড়ী জেলা বন কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘড়িয়ালটি উদ্ধার করে সংরক্ষণের জন্য ঢাকা বন্যপ্রাণী ইউনিটের কর্মকর্তারা গোয়ালন্দের  দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
 
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঘড়িয়ালটি নিতে আসা ঢাকা বন্যপ্রণী ইউনিটের পরির্দশক মো. আব্দুল্লাহ আস সাদিক বলেন, মহাবিপন্ন ঘড়িয়ালটি গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে সংরক্ষণ করা হবে। সাফারি পার্কে আরও তিনটি ঘড়িয়াল রয়েছে। এটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওই তিনটির সঙ্গে রাখা হবে।