ডিভোর্স নিয়ে ট্রলের মুখে এআর রহমান, দিলেন কড়া জবাব

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১১

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

বিচ্ছেদ মানে কি শুধুই তিক্ততা?  এআর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী সায়রাবানু দিলেন অন্য পাঠ। ডিভোর্সের পর মিউজিক মায়েস্ত্রোর সম্পর্কে নানা অপপ্রচার ও কুৎসিত খবর ছড়াতেই ময়দানে নেমেছিলেন সায়রাবানু। এআর রহমানের সঙ্গে উনত্রিশটা বছর সংসার করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সেই কঠিন সময়ে হাজারো রটনা, গুঞ্জন তাঁকে বিচলিত করেছিল। এবার ডিভোর্স ঘোষণার মাসখানেক পর ‘ট্রোল সংস্কৃতি’ নিয়ে কড়ব জবাব দিলেন এআর রহমান।

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সায়রাবানুর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন রহমান। মিউজিক মায়েস্ত্রোর বিয়ে ভাঙার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই তাঁর টিমের সদস্য গিটারবাদক মোহিনী ডিভোর্স ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই দুয়ে দুয়ে চার করে রহমানকে নিয়ে নানা চমকপ্রদ খবর রটে যায়। মাদ্রাজ মোজার্টের টিমের তরফে তখনই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে, এধরনের ভুয়া তথ্য রটালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পর মাসখানেক সব চুপ! সম্প্রতি নয়নদীপ রক্ষিতের ইউটিউব চ্যানেলে এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন রহমান। 

কিংবদন্তী শিল্পীর মন্তব্য, “জেনেবুঝেই জনসমক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধনী ব্যক্তি থেকে শুরু করে ঈশ্বর পর্যন্ত, কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নন, তো আমি কোন ছাড়! যারা আমার সমালোচনা করেন, তারাও আমার পরিবার। আমাকে নিয়ে কেউ নোংরা মন্তব্য করলে পাল্টা আমি ঈশ্বরকে বলি, ওদের ক্ষমা করে দিও।” এখানেই শেষ নয়! 

এরপরই ‘ট্রোল সংস্কৃতি’ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রহমানের। মিউজিক মায়েস্ত্রো বলেন, “আমি কর্মফলে বিশ্বাসী। আমি যদি কারও পরিবারকে নিয়ে কুৎসা রটাই, তাহলে আমার নামেও কুৎসা রটবে। আর ভারতীয় হিসেবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, অহেতুক কারও সম্পর্কে কোনওপ্রকার খারাপ মন্তব্য করা উচিত নয়। কারণ সবার ধরেই মা-বোম, স্ত্রী রয়েছেন। তাই কেউ আমার পরিবার সম্পর্কে খারাপ কিছু বললে, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি উনি যেন সামালোচকদের সঠিক পথ দেখান।”

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। বিয়ের এত বছর পর আচমকা কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানাননি দুজনেই। বিচ্ছেদ মানেই যে শুধুই তিক্ততা নয়, সে বার্তা আগেই দিয়েছিলেন সায়রা বানু। বিচ্ছেদ ঘোষণার পর মিউজিক মায়েস্ত্রোর সম্পর্কে নানা অপপ্রচার ও কুৎসিত খবর ছড়াতেই ময়দানে নেমেছিলেন তিনি। সম্প্রতি সায়রার অস্ত্রোপচারের সময়ও পাশে ছিলেন রহমান। এবার বিয়ে ভাঙার নিয়ে অযাচিতভাবে সমালোচিত হওয়ায় কড়া জবাব রহমানের।