কপালে লাল টিপ ও রবীন্দ্রনাথ সংগীত গেয়ে বিদায় জানানো হয় ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুনকে।
সকলের অশ্রুসজল চোখ, হৃদয়ে স্বজন হারানোর শোক আর হাতে ফুলের তোড়া- সন্জীদা খাতুনের শেষবিদায়ে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে আসের নারী-পুরুষ। শাহীন সামাদ, বুলবুল ইসলাম, লাইসা আহমেদ লিসা, পার্থ তানভীর নভেদ, রুচিরা তাবাসসুমসহ অন্যরা ধরা গলায় গাইলেন, ‘তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে’, ‘কান্না হাসির দোল দোলানো’।
শেষবারের মতো সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুনের মরদেহ ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে নেওয়া হলে শোকের আবহ তৈরি হয়।
বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে মরদেহ পৌঁছালে শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, শিল্পী, ছায়ানটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মীসহ হাজার মানুষ। ছায়ানটে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রথমে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে, তারপর দুপুর আড়াইটার দিকে মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
এদিন সন্জীদা খাতুনকে শেষবারের মতো দেখতে সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে আসতে শুরু করেন সঙ্গীতপ্রেমীসহ নানা অঙ্গনের মানুষ। এ সময় রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে উঠে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ রাখার বেদী।
প্রসঙ্গত, বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ ছুঁই ছুঁই।
যাযাদি/ এস