জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের প্রেমিক সুকেশ চন্দ্রশেখর ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে অভিযোক্ত জেলে রয়েছেন। প্রেমিকার জন্মদিনে তাঁর প্রেম উজাড় করে দেওয়া উন্মাদনার কথাও অনেকেই জানেন। এ বার প্রেয়সীর জন্য সোজা চিঠি লিখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের সঙ্গে সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। এবার অভিনেত্রীর আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে নতুন দাবি তুলেছেন। তিনি আদালতকে বলেছেন, জ্যাকুলিন যে উপহারগুলো পেয়েছিলেন সেগুলোর অবৈধ উৎস সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। তিনি জানতেন না— এই উপহারগুলো ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলার অংশ, যেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তি সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে একজন প্রতারক।
গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিল্লি হাইকোর্টে এই মানি লন্ডারিং মামলা সংক্রান্ত একটি অংশ শোনানো হয়, যেখানে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করেছেন। তার আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবী সিদ্ধার্থ আগরওয়াল, প্রশান্ত পাটিল ও শক্তি পান্ডে জানিয়েছেন— জ্যাকুলিন জানতেন না যে, এই উপহারগুলো অপরাধমূলক অর্থ থেকে এসেছে।
জ্যাকুলিনের আইনজীবীরা বলেন, যখন তিনি ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে সংবাদপত্রে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পড়েছিলেন, তখনই তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তবে তিনি জানতেন না যে, সুকেশের কাছ থেকে পাওয়া উপহারগুলো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ ছিল।
মানিলন্ডারিং কেসের পটভূমি ২০২১ সালে শুরু হয়, যখন সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং তার সঙ্গী পিঙ্কি ইরানি গ্রেফতার হন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ— তারা প্রতারণা করে বেশ কিছু মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়েছে। জানা গেছে, এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা থেকেই তারা শখের জিনিসপত্র, গাড়ি এবং গহনা কিনেছিলেন।
যাযাদি/ এম