বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

ভাবনার সিনেমা কাদের জন্য নির্মিত?

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৬
ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব নির্মিত সিনেমা ‘যাপিত জীবন’। এতে পরিচালকের মেয়ে আশনা হাবিব ভাবনা অভিনয় করেছেন। শুটিং শেষে সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দিয়েছে এটি।

‘সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠনের পর গতকাল মঙ্গলবার দুটি সিনেমা প্রদর্শিত হয়। এতে ‘ভয়াল’ সিনেমাটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং ‘রাজকুমারী’ সবার জন্য প্রদর্শনের অনুমতি দেয়া হবে বলে সেন্সর সূত্রে জানা গেছে। তা হলে ভাবনা অভিনীত ‘যাপিত জীবন’ সিনেমাটি কোন শ্রেণির দর্শকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে?

বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেন, নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, “যাপিত জীবন’ সিনেমাটি আমি নির্মাণ করেছি ৪৭-৫২ সালের গল্প নিয়ে। পারিবারিক, ইতিহাস নির্ভর সিনেমা এটি। এতে নাচ-গানের অভাব রয়েছে। যারা রুচিশীল, ইতিহাস জানতে চায় তাদের জন্য এই সিনেমা। বলতে পারেন, ছোট-বড় সবাই এটি দেখতে পারবেন।”

সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘যাপিত জীবন’ সেলিনা হোসেনের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমায় ভাবনা ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— ইমতিয়াজ বর্ষণ, আফজাল হোসেন, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, গাজী রাকায়েত, আজাদ আবুল কালাম, মামুনুর রশীদ, কাজী হায়াত, সমাপ্তি মাসুক, ডলি জহুর প্রমুখ।

চলচ্চিত্রকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র ‘সার্টিফিকেশন বোর্ড’ নামকরণ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

ব্রিটিশদের তৈরি ১৯১৮ সালের সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট ১৯৫২ সালে পরিবর্তিত হয়ে ‘ইস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব ফিল্ম সেন্সর’ নামকরণ হয়। নানা রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, মানচিত্রের বদল ঘটলেও গত ৭২ বছরে চলচ্চিত্রকে শাসনের রীতি বদলায়নি। ২০২৩ সালের শেষে বিগত সরকার সার্টিফিকেশন বোর্ড আইন পাশ করলেও সেটির বিধিগুলো তৈরি করতে পারেনি। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে বিগত সরকারের পদক্ষেপটির বাস্তবায়ন ঘটে। এর মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয় ‘সেন্সর’ শব্দটি।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে