শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১

এই মডেল নিজের সৌন্দর্যে যুবকদের পাগল করে বাধ্য করেন যৌনসঙ্গমে

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪০
মডেল ক্যাট টোরেস

তিনি মডেল, অভিনেত্রী সুন্দরী। তার টার্গেট তরুণদের প্রতি। বিশেষ করে হ্যান্ডসাম যুবক ও সুঠাম দেহের অধিকারী হলে তো কথাই নেই। তার পিছু নিতেন। আর নিজের রুপের সৌন্দর্যে আটকে পেলেন। তারপর সময়-সুযোগ বুঝে তার সঙ্গে যৌনসঙ্গম করতেন। এক পর্যায়ে তার সব কিছু হাতিয়ে নিয়ে তাকে নিজের গোলাম বানাতেন। তিনি তরুণীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা করতেন।

জানা যায়, ব্রাজিলের জনপ্রিয় মডেল ক্যাট টোরেস। সামাজিক মাধ্যমেও তার রয়েছে ব্যাপক ফ্যান-ফলোয়ার্স। এই মডেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, এই সুযোগে তিনি ভক্তদের সঙ্গে করতেন প্রতারণা। এমনকি জোরপূর্বক যৌনতায় লিপ্ত হতেও বাধ্য করেছেন একাধিক নারী ও পুরুষ ভক্তকে। তাদের তিনি ক্রীতদাসের মতো খাটাতেন। চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কারণে ৮ বছর জেল হয়েছে ব্রাজিলিয়ান এই মডেলের।

মাঝে গুজব ছড়ায় টাইটানিক খ্যাত লিওনার্দো দি ক্যাপ্রিওর সঙ্গেও নাকি সম্পর্ক তার সম্পর্ক ছিল। এ কারণেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার ভক্তের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল।

প্রতারিত নারী এবং পুরুষরা জানান, টোরেসের বিলাসবহুল জীবনে আকৃষ্ট হয়েছিলেন তারা। মূলত তারা এমন একজন বন্ধুর সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন, যিনি নিয়মিত হলিউড তারকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

আনা নামের এক তরুণী জানান, টোরেসের প্রতি মুগ্ধতায় তিনি আচ্ছন্ন ছিলেন। তাই তিনি এ মডেলের বাড়িতে মাত্র ২০০০ ডলারের বিনিময়ে রান্না, পোশাক পরিচ্ছন্ন করার কাজ এবং পোষা প্রাণী দেখভালের কাজে যোগ দেন। চব্বিশ ঘণ্টা টোরেসের ফরমায়েশে খাটতে হতো। কেবল কয়েক ঘণ্টা ঘুমের জন্য ছুটি দেওয়া হতো তাকে।

তুমুল অত্যাচারে আনা একবার পালিয়ে গেলে ডেজিরি এবং লেটিসিয়া নামের দুইজন নারীকে ভাড়া করেন টোরেস। তাদেরকে তার নিজের টেক্সাসের বাড়িতে রেখে ডেজিরি এবং লেটিসিয়াকে স্থানীয় স্ট্রিপ ক্লাবে কাজ করতে চাপ দেন। টোরেস ওই ক্লাবে ‘জাদুবিদ্যার’ অনুষ্ঠান করতেন।

তারা আরও জানান, ডেজিরি এবং লেটিসিয়ার নিজেদের মধ্যে কথা বলাও বারণ ছিলো। ঘর থেকে বের হতে গেলে টোরেসের অনুমতি নিতে হতো। এমনকি বাথরুমে যেতে গেলেও ক্যাটের অনুমতি লাগতো। এরপর ডিজায়ারকে বেশ্যাবৃত্তিও করতে হয়। আমেরিকান নিবাসী মডেল টোরেস তাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জনের লক্ষ্য দিতো। তা পূরণ করতে না পারলে রাতে বাড়ি ফেরার অনুমতি ছিলো না তার। এর ফলে অনেকদিন তাকে রাস্তায় ঘুমিয়েও কাটাতে হয়েছে।

ঘটনাক্রমে এভাবেই টোরেসের জালে একাধিক নারী ভক্ত জড়ান বলে অভিযোগ করা হয়। জানা যায়, জনপ্রিয় এই মডেলের বিরুদ্ধে অন্তত ২০ জন নারী মুখ খুলেছেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে এর সত্যতা পায় আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন রা হয়।

জানা যায়, জনপ্রিয় এই মডেলের বিরুদ্ধে অন্তত ২০ জন নারী মুখ খুলেছেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে এর সত্যতা পায় আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে