মাহি বলেছিলেন মৃত্যু পর্যন্ত তুমিই থাকবে : রাজ চেয়েছিলেন একসঙ্গে কবর
প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩১
দেশে দেশে তারকাদের সংসার ভাঙার খবর প্রায় সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়। আর এইসব বিচ্ছেদের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিয়ের আগে কিংবা প্রেমের সময় কে কোন কথা বলেছেন তা ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে চিত্র নায়ক রাজ্যের উক্তি। তিনি বলেছিলেন কবর পর্যন্ত পরীর সঙ্গে থাকবো। অন্যদিকে চিত্রনায়িকা মাহি বলেছিলেন মৃত্যু পর্যন্ত রাকিবের সঙ্গে থাকবা। কিন্তু ২ জনেরই সংসার ভেঙে গেছে। এখন তারা আদাল থাকছেন।
জানা যায়, প্রেমে পড়া মানুষগুলো একটু অন্যরকম। অন্যদের চেয়ে আলাদা হন তারা। সবার সঙ্গে থেকেও বাস করেন নিজের মানুষটিকে ঘিরে। পৃথিবী যেমন সূর্যকে ঘিরে আবর্তিত হয় তারাও আবর্তিত হয় প্রিয়জনকে ঘিরে। একে অন্যকে নিয়ে যা বাস্তবসম্মত তাও বলেন, যা অবাস্তব সেটিও বলেন। কেউ এক কবরে ঘুমাতে চান আবার কেউবা মৃত্যু পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার সনদ দিয়ে দেন চোখ বুজে।। কিন্তু তাল কেটে গেলেই বদলে যায় বাদ্যের ভাষা।
উদাহরণ হিসেবে পরীমণি-শরিফুল রাজ ও মাহিয়া মাহিকে টানা যায়। পরীমণি-রাজের প্রেম যখন তুঙ্গে তখন রাজ ঘোষণা দিয়েছিলেন পরী ও তার কবরও একসঙ্গে হবে। কিন্তু কিন্তু কিছুদিন যেতেই খবর আসে ঢং ঢং করে বাজতে শুরু করেছে তাদের বিচ্ছেদের ঘণ্টা। শেষ পর্যন্ত এক ছাঁদের নিচেই থাকা হয়নি তাদের। ভালোবাসার পাখি উড়াল দিতেই দুজন দুই পথে পা বাড়ান তারা।
এদিকে শুক্রবার একই গল্পের পুনরায় লেখা হলো মাহির ক্ষেত্রে। দ্বিতীয় স্বামী গাজীপুরের রাকিব সরকারের ভালবাসায় যখন মাহি ভাসছিলেন তখন নিজের আমৃত্যু সঙ্গীর সনদ দিয়েছিলেন তাকে।
গল্পটি এরকম। একবার নিজের আইডিতে মাহির ছবি প্রকাশ করেছিলেন রাকিব। সঙ্গে লিখেছিলেন ‘আমার একমাত্র বউয়ের আলোকচিত্রী আমি।’ কথাটি বেশ মনে ধরেছিল মাহির। আবেগে আপ্লূত হয়ে নায়িকা দিয়েছিলেন মৌখিক সনদ। স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন প্রিয়তম, তোমার এই একমাত্র বউয়ের একমাত্র ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী মৃত্যু পর্যন্ত তুমিই থাকবে।
কিন্তু বাস্তবে মুখের কথার ভিত্তি খুবই কম। মৌখিক সনদ তো অনেকটা মূল্যহীন। কেননা মানুষ বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়। তেমনই বদলে গেছেন মাহি ও রাকিব। মৃত্যু পর্যন্ত একসঙ্গে থাকা তো দূরের কথা তার এক বছরের মধ্যেই মন উঠে গেছে একে অন্যের ওপর থেকে। দুজন দুজনকে ছেড়ে যেতে উঠে পড়ে লেগেছেন। দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এতটাই বেড়েছে যে সম্পর্ক ঝুলে আছে শুধু কাগজ-কলমে। সেটিও থাকবে না উল্লেখ করে মাহি জানিয়েছেন শিগগিরই সম্পর্কের সুতো একেবারে কেটে দেবেন তারা।
২০১৬ সালে মাহি বিয়ে করেছিলেন সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে। তার সঙ্গে ঘর ভাঙলে ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রকিব সরকারকে বিয়ে করেন। আড়াই বছর না যেতে তার সঙ্গেও মাহি নিলেন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।
যাযাদি/ এস