সব ধরণের সিনেমাতেই কাজ করছি : অধরা খান

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৫

মাতিয়ার রাফায়েল

অধরা খান- মূলত বড় পর্দার অভিনেত্রী। অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরীর বিপরীতে তার ‘নায়ক’ নামের প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় ২০১৮ সালে। এ পর্যন্ত তার ৪টি সিনেমা মুক্তি পায়। এখন শুটিং করছেন অপূর্ব রানার ‘ঠোকর’ সিনেমায়। মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় আছে অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘দখিনো দুয়ার’।


অভিনয় নিয়ে কেমন ব্যস্ততা যাচ্ছে এখন?
এই তো ভালোই যাচ্ছে। এ বছর একটা সিনেমার কাজ শেষ করলাম, অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড স্যারের ‘দখিনো দুয়ার’। এখন রিলিজের জন্য যেসব পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ করার দরকার সেগুলো করা হচ্ছে। আরেকটি অপূর্ব রানার ‘দ্য রাইটার’ সিনেমার কাজ শেষ হয়েছে। হাতে আছে মাজহার বাবু’র ‘ঠোকর’ সিনেমার কাজ। এটার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ বছর তিনটি ছবির কাজ করলাম। নতুন কোনো কাজ এখনও হাতে নিইনি। তবে এ নিয়ে কথা হচ্ছে। 

অ্যাওয়ার্ডমুখী সিনেমা আলোচিত হলেও দর্শকমুখী সিনেমা কেন মুখ থুবড়ে পড়ছে?
দর্শকের কথা চিন্তা করলে বলতে হয়, আসলে এখন সব ধরনের সিনেমাই মুখ থুবড়ে আছে বাংলাদেশে। অনেক ভালো ভালো সিনেমাও কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়ছে। আবার এমন সিনেমাও আছে যেগুলোতে শুধুমাত্র এন্টারটেইনমেন্ট ছাড়া অন্য কোনো অর্থ বহন করে না, তারপরেও সেটা দেখতে দর্শক উপচে পড়ছে। আসলে দর্শকের জন্যই সব সিনেমা, নাটক বানানো হয়। তবে দর্শক কোনটা দেখবে আর কোনটা দেখবে না সেটা দর্শকই ঠিক করে। অন্য কেউ নয়।  


আন্তর্জাতিকমুখী নির্মাতারা কিন্তু সব দর্শকের কথা ভেবে সিনেমা বানায় না? 
এ বিষয়ে যদি বলি, আমি অ্যাওয়ার্ডমুখী সিনেমা বা দর্শকমুখী সিনেমার চিন্তা করে আমরা অভিনয় করি না। শিল্পী হিসেবে আমি সব সিনেমাকেই ভালোবাসি এবং এই ভালোবাসা থেকেই আমি সব ধরনের সিনেমাতেই কাজ করছি। আমি যদি শুধু দর্শকমুখী সিনেমা বা অ্যাওয়ার্ডমুখী সিনেমাতেই কাজ করতাম তাহলে আমি দু’ধরনের সিনেমাতেই সাবলীল থাকতাম না। তখন এক ধরনের সিনেমাতেই থিতু হতাম। সব সিনেমারই দর্শক আছে। আমি সিনেমাকে সিনেমা হিসেবেই দেখি। দিন শেষে কিন্তু দর্শক কম-বেশি সব ধরনের সিনেমাই দেখে। কাজেই আমার করণীয় শুধু কাজ করে যাওয়া। 

সিনেমায় নতুনত্ব- দর্শক কি আসলেও এটা পছন্দ করছে?
আমাদের মধ্যে যে চেঞ্জিং আসছে এতে অভ্যস্ত হতে মানুষের সময় লাগবে। কিছু মানুষের নতুন নতুন ডিজাইনের জামার প্রতি ঝোঁক বেশি আবার অনেকের ঝোঁক পুরনো ট্রেন্ডের প্রতি। তারা নতুন ট্রেন্ডের জামা এডজাস্ট করবে কিনা- দ্বিধায় থাকে। সিনেমার দর্শকও এরকম চেঞ্জিংয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন সবকিছুই একটা চেঞ্জিংয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা এমন সময়ে কাজ করছি যেখানে সিনেমাই হচ্ছে কম। ফলে এখানে চেঞ্জিংয়ের অপশনটাই কম। কারণ ইন্ডাস্ট্রিতেই সিনেমা কম হচ্ছে। যে ৫০টি সিনেমা হচ্ছে বড়জোর একটা বা দুটো সিনেমা হিট হচ্ছে। বাকিগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে।

যে দুটো সিনেমা হিট হচ্ছে, তাও তো ঈদেই হচ্ছে- অন্য সময়ে তো হয় না?
শুধুই ঈদেই না, অন্যান্য বিশেষ দিনেও সিনেমা হিট হচ্ছে। আমাদের পূজা, স্বাধীনতা দিবস, ভালোবাসা দিবস, বিজয় দিবসে মুক্তি দেওয়া সিনেমাও কিন্তু হিট হচ্ছে। আমাদের শুধু ঈদকেন্দ্রিক সিনেমাই হয় এমন কিন্তু নয়। যেহেতু আমাদের দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি তাই ঈদে মানুষ একসাইটেড থাকে বেশি। তখন সবার টার্গেট থাকে ঈদে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার। যারা পারে তারা দিতে পারে। যারা পারে না তখন অন্য সময়ে তার সিনেমা মুক্তি দেয়। তারপরেও ঈদে মুক্তি পাওয়া সব সিনেমাই কিন্তু হিট হচ্ছে না। যাদের দর্শকপ্রিয়তা আছে তাদের সিনেমাই দর্শক দেখছে।

জীবনের নোঙর নিয়ে কী ভাবছেন?
আমি যা করি সবই হুটহাট করে করি। ভেবেচিন্তে কিছু করি না। ব্যক্তিগত জীবন তো আছেই। কাজ তো মাত্র শুরু করলাম। নোঙর বলতে আমার সিনেমাতেই। এমনিতে দেশে কম সিনেমা হচ্ছে। এর মধ্যেও তিনটা সিনেমায় কাজ করলাম। এটাও কম নয়। এছাড়া আমাদের পারিবারিক একটা বিজনেস আছে। এটাতেও আমাকে দেখতে হয়। বাইরে যে ট্যুর দিতে দেখেন এটা পারিবারিক বিজনেসের দেখাশোনা করতে গিয়েই করা।      

যাযাদি/ এস