অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রবাসীদের উল্লাস ছেয়ে যায় দেশ থেকে দেশান্তরে। এরপর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হলো ১৭ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নবগঠিত এই সরকারকে নিয়ে দেশবাসীর সাথে আশা আকাঙ্খা কম ছিলোনা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ।
দেশের অর্থনীতিতে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তারাই সবচেয়ে অবহেলিত বললেই চলে। দেশের বিমানবন্দরের হয়রানি থেকে শুরু করে দূতাবাসগুলোতেও ছিল না কাঙ্ক্ষিত সেবার মান । প্রবাসীদের আশা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত তাদের এই দাবিগুলো পূরণে ভূমিকা রাখবে। হয়রানিমুক্ত হবে প্রবাসীরা।
১. বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ করা
২. বিনামূল্যে প্রবাসীদের মরদেহ প্রেরণ
৩. দালালমুক্ত পাসপোর্ট ও দূতাবাস সেবা
৪. বিদেশ যেতে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান
৫. বিমান বাংলাদেশ টিকেট সিন্ডিকেট রোধ
৬. প্রবাসীদের পরিবারের নিরাপত্তা
৭. অভিবাসন ব্যায় কমিয়ে আনা
৮. ব্যাংকে প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু দাবি জানান প্রবাসীরা।
৯. ফ্রী প্রবাসী কার্ড প্রধান
কুয়েতে বসবাসরত অনেক প্রবাসীর সাথে কথা বলে যানাযায় , 'দালাল ছাড়া কোন সেবা পাই না । বিদেশ আসার আগে পাসপোর্ট বানানো থেকে শুরু করে এরপর পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে এর জন্য ও থানাতে টাকা দিলে কাজ হয় না দিলে কাজ হয় না। যে সেবাটা বাংলাদেশের নাগরিক সেবা সরকারীভাবে পাওয়ার কথা সেটা আমাদের টাকা দিয়ে করা লাগে।
প্রবাসীদের আশা অন্তর্ভুক্তি সরকারের কাছে দেশে এবং বিদেশে দূতাবাস গুলোতে কাঙ্ক্ষিত সেবার মান উন্নয়ন প্রবাসীদের হয়রান মুক্ত সেবা প্রদান করা ।
যাযাদি/ এস