নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪১ গবেষক নিয়ে গবেষণা প্রকল্প সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১৩

জাককানইবি প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের গবেষণা প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি নিয়ে গবেষণাপ্রকল্প সেমিনার ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। 


মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) বেলা ১১:০০ ঘটিকায় প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।


গবেষণার গুণগত মান ঠিক রেখে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের গুরুত্ব আরোপ করে প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "গবেষণা যেন সর্বজন গৃহীত হয় সে বিষয়টি গবেষকদের মনে রাখতে হবে। বিশেষ করে গবেষণার গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে। এজন্য গবেষক ও গবেষণা তত্ত্বাবধায়দের সচেষ্ট থাকতে হবে যেন গবেষণাটি মানসম্পন্ন হয় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তা স্থান পায়।"


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ. এইচ. এম. কামাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনাম। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


২০২৩-২৪ অর্থবছরের গবেষক শাকিল বাবু বলেন, "ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ এর আয়োজনে গবেষণা অগ্রগতি সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এখানে আমাদের গবেষণার অগ্রগতির বিষয় উপস্থাপন করেছি। এই সেমিনারের কারণে পরবর্তীতে আমাদের গবেষণা সম্পন্ন করতে সহযোগী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।"


অনুষ্ঠানের আরেক ফেলো গবেষক রোকন বাপ্পি বলেন, "গবেষণা কর্মে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই অনুষ্ঠানগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ অর্থবছরে আমিসহ আরও ৪০ জন গবেষক এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। সুযোগ পেয়েছেন নিজেদের গবেষণা সত্তা কে আরও বেশি ঝালিয়ে নেওয়ার। ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের এমন আয়োজন প্রতিবছর অব্যহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী যার মাধ্যমে প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী গবেষক হিসেবেও তাদের খ্যাতি ও পরিচিতি লাভ করতে পারে।"