উপাচার্যের  নির্দেশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীর নামে জিডি

প্রকাশ | ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৫৫

ববি প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) রেজিস্ট্রারের কার্যালয় তালাবদ্ধের অভিযোগে ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের নির্দেশে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সোমবার (২৮ এপ্রিল) মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার কেএম সানোয়ার পারভেজ লিটন বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে বিভিন্ন বিভাগের ১০ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।


সাধারণ ডায়েরিতে, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিন খান, মিজানুর রহমান, এনামুল হক, তরিকুল ইসলাম, সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমুল ঢালী, লোক প্রশাসন বিভাগের মোকাম্মেল শেখ, আইন বিভাগের তরিক হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এমডি শিহাব, কোস্টাল স্ট্যাডিজ বিভাগের অপূর্ব রকি, রসায়ন বিভাগের রফিক এবং অজ্ঞাত ১২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে বেড়ায়। তারা প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার-পোস্টার নিয়ে স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে তারা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবেশ করে সব কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে বের করে দেয় এবং কক্ষ তালাবদ্ধ করে দেয়। এমনকি তারা রেজিস্ট্রার ভবনের কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে প্রশাসনিক কাজে বিঘ্ন ঘটে। বেলা আড়াইটার দিকে কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা ভয়-ভীতি দেখায়।

সহকারী রেজিস্ট্রার কেএম সানোয়ার পারভেজ লিটন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি জিডি করেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিশন মেকার না। জিডি করা বা মামলা করার বিষয়ে আমার একটি শব্দ যোগ করারও ক্ষমতা নেই, বাদ দেওয়ারও ক্ষমতা নেই।

উপাচার্যের নির্দেশে জিডি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জিডিতে যা লেখা হয়েছে তা আইনজীবী লিখেছেন। আমি শুধু অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি।

মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাধারণ ডায়েরি পাঠানো হয়েছে। আমরা গ্রহণ করেছি।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুহাম্মদ মুহসিনকে সসম্মানে তার দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অব্যাহতি দিতে হবে, আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দোসরদের নানা সুযোগ দেওয়ায় উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।