রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (পিডিএফ) টিমের সদস্যরা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল কবির ও সাধারণ সম্পাদক লতা আক্তারের নেতৃত্বে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা প্রতিবন্ধী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিরাপদে পরীক্ষার কেন্দ্রে হলের সিটে পৌঁছে দেওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার পানি সরবরাহ, অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা প্রদানসহ নানাভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে, ড. মো. ওয়াজেদ মিয়া অ্যাকাডেমিক ভবনের পাশে হেল্পক্যাম্প বসিয়েছেন পিডিএফ টিম। সংগঠনের কর্মীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতা করছেন।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল কবির বলেন, পিডিএফ একটি অরাজনৈতিক ও সামাজিকমূলক সংগঠন, যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রতিবন্ধী-বান্ধব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্যাম্পাসে রূপান্তর করতে এবং সমাজে ইতিবাচক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পাবনা থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মো. চাঁদ বাবু বলেন, পিডিএফ-এর কার্যক্রম চমৎকার। আমি সকালের ট্রেনে পাবনা থেকে এসেছি। প্রথমে আমি চানতাম না আমার পরীক্ষা ২য় সিফটে কিন্তু আমি ভুলে সকালে চলে হলে গেয়েছি। তারা আমাকে ৪তলায় নিয়ে গিয়েছিল পরে আবার বুথে নিয়ে এসেছে। আমাকে সহযোগিতা করার জন্য পিডিএফকে ধন্যবাদ।
পিডিএফ-এর হেল্পক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, "পিডিএফ অ্যাডমিশন পরীক্ষার অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিদিন আন্তরিকতা, দক্ষতার সাথে কাজ করছে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য। আজকেও তারা দুই সিফটে কাজ করছে। আমি পিডিএফ-এর কাজের উপর খুব খুশি।"
এসময় তিনি আরো বলেন, "আমরা এখনো যারা শারীরিকভাবে সমস্যা মধ্যে আছে তাদের জন্য ফেন্ডলি করতে পারিনি তবে আমরা চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে পিডিএফ-এর সহযোগিতা নিয়ে যারা আর্থিক সমস্যা মধ্যে আছে তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে ফেন্ডলি সিচুয়েশন তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করবো। "
প্রসঙ্গত, পিডিএফ সাধারণত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। ২০০৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রতিবন্ধী-বান্ধব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্যাম্পাসে রূপান্তর করতে এবং সমাজে ইতিবাচক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
যাযাদি/ এসএম