ঢাবি ছাত্রীর ‘আত্মহত্যার’ নেপথ্যে কী, যা জানা যাচ্ছে

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৭

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি ছাত্রীনিবাস থেকে আনিকা মেহেরুন্নেসা সাহি (২৪) নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বুটেক্সের এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার মাকসুদ ভবনের ৮ তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, মরদেহটি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

জানা যায়, আনিকা ঢাবির দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার নতুন হাট গ্রামে। তিনি ফিরোজ হোসেনের মেয়ে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় বুটেক্সের একটা ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে যে ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে আনিকা আত্মহত্যা করেছে। তবে এটি প্রাথমিক ধারণা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে। ওই ছেলে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে।

আনিকার সহপাঠী ঢাবি দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আলি মেহরাজ শাহরিয়ার মিথুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ওই ছেলেটা আনিকাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে এমনভাবে ট্রমার মধ্যে রেখেছিল যে, সে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। পরশুদিন আনিকার সঙ্গে দেখা হলে সে বলেছিল, ‘আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমি এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? ও বলল, ‘ও আমাকে ঠিক থাকতে দিচ্ছে না। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে আমার; এরকম অবস্থা।

যাযাদি/ এস