বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সাথে ছাত্রদল, যুবদল জড়িত : শিবির

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:২৪
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সাথে ছাত্রদল, যুবদল জড়িত : শিবির
ফাইল ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে এর দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপানোর হীন অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আশা করেছিলাম বাংলাদেশে একটি সুস্থধারার রাজনীতি ফিরে আসবে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, সেই ফ্যাসিবাদী আমলের পুরোনো অপরাজনীতির উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছে ছাত্রদল। রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর্ব শেষ হতে না হতেই দলটি ক্যাম্পাসে আধিপত্য কায়েমের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়ে।

গণমাধ্যম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক, ঢাকা পলিটেকনিক, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ ও সর্বশেষ গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর নারকীয় হামলার সাথে ছাত্রদল, যুবদল ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা জড়িত।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি, দিনের আলোয় সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার দায় তারা নির্লজ্জভাবে ছাত্রশিবিরের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। অথচ অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের হামলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের পর এক যুবদল ক্যাডারকে বহিষ্কার করে তারা কার্যত এ ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এতে পুরো ঘটনার সঙ্গে তাদের সাংগঠনিক সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট হয়ে যায়।

কিন্তু নিজেরাই হামলা চালিয়ে এখন ‘ভিকটিম’ সাজার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে, যা রীতিমতো হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। এই ট্যাগিং ও দোষারোপের রাজনীতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অবসান হলেও দলীয় স্বার্থ চরিতার্থের জন্য সেই পুরোনো বয়ান ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা তাদের এই অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ”ছাত্রশিবির এই হামলার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়। হামলাকারীদের পরিচয় দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট। ছাত্রদলের উচিত নিজেদের দায় স্বীকার করে হামলাকারীদের সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক শাস্তির আওতায় আনা এবং আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের সংশোধন করে ছাত্রবান্ধব রাজনীতিতে ফিরে আসা।

অন্যথায় দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে তাদের ধ্বংসাত্মক সাংগঠনিক কার্যক্রমের কারণে ছাত্ররাজনীতি সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির গঠনমূলক চর্চা বাধাগ্রস্ত হলে এর দায় সম্পূর্ণভাবে ছাত্রদলকেই নিতে হবে।”

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে