বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর (উণউ), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা কক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.বি.এম. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, "এই সহযোগিতা আমাদের শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণ এবং উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে অবহেলিত সম্প্রদায়গুলিকে ক্ষমতায়ন করার মিশনে একটি মাইলফলক।" প্রোগ্রামটি কারিগরি শিক্ষাকে উন্মুক্ত এবং দূরশিক্ষা পদ্ধতির সাথে একীভূত করে সহজলভ্য, দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করবে।
উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিচালিত এ প্রকল্পটি দেশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণবিহীন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থ—সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের কোটিটিএল সাবাহ মঈন বলেন, "এই প্রোগ্রামটি টেকসই যুব উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার প্রতি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। বাংলাদেশে এমন একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত”। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড—১) ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক কেবল একটি চুক্তি নয়, বরং আমাদের যুবকদের ভবিষ্যতের প্রতি একটি প্রতিশ্রুতি। বাউবি’র সঙ্গে মিলে আমরা এই তরুণদের তাদের সক্ষমতা উপলব্ধি করার সুযোগ সৃষ্টি করব।
উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.বি.এম. ওবায়দুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, উপ—উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, উপ—উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সাঈদ ফেরদৌস, ওপেন স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মোসা: শিরিন সুলতানা, বাউবি ঊঅজঘ সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. সাবিনা ইয়াসমিন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঊঅজঘ প্রকল্পের পরিচালক কাজী মোখলেছুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রকল্পের উপ—পরিচালক (এডমিন ও প্রোকিউরমেন্ট) প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাউবির প্রোগ্রামের সমন্বয়ক ড. মো: মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বাউবির বিভিন্ন স্কুলের ডিন, শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/এসএস