হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের আয়োজনে এক্টিভেশন প্রোগ্রাম ফর “ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্টস” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ২ এ উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার।
আরও উপস্থিত ছিলেন ইডিজিই প্রজেক্ট স্পেশালিষ্ট ড. মো. মাজহারুল হক, ইন্ডাস্টি্র স্পেশালিষ্ট জহিরুল আলম। সভাপতিত্ব করেন সিএসই অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসিই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মেহেদী ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষক—কর্মকর্তাবৃন্দ, সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন অনুষদের ১২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, আমরা বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন যেমন খাদ্য গ্রহণ করি, বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি গুলোও তেমনই নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এই সময়ে সবার হাতে স্মার্ট ফোন থাকার কারণে ডিজিটাল স্কিলের ন্যূনতম জ্ঞান সবারই আছে। কিন্তু গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট হিসেবে এই ন্যূনতম দক্ষতায় তেমন কোন কাজে আসবে না। এক্ষেত্রে এ ধরণের প্রশিক্ষণ যথেস্ট ভূমিকা রাখবে। গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্সের স্টুডেন্টদের থিসিসের জন্য ডাটা এনালাইসিস করতে হয়, সেখানে বিভিন্ন গ্রাফসহ সফটওয়্যার ও প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে হয়। তাই আশা করি এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে তোমরা ডিজিটাল স্কিল—এ দক্ষ হয়ে উঠবে, বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াবে এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য অবদান রাখবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, এই প্রজেক্ট তথা কর্মশালার মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষিত তরুণ সমাজকে আইসিটি সেক্টরে দক্ষ করে গড়ে তুলে জব মার্কেটের চাহিদা পূরণ করা। তিনি বলেন, একেকটা ট্রেইনিং প্রোগ্রামে ৩ ঘন্টার প্রায় ২৪/২৫ টা লেকচার দেয়া হয়, সে হিসেবে মোট সময় প্রায় একটা সেমিস্টারের কোর্সের সমান। আশা করি তোমরা এটা সিরিয়াসলি নিবে এবং সেভাবেই ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে। তোমাদের প্রধান কাজ হলো পড়াশোনা, বছরে দুটি সেমিস্টারের কারণে সবসময় লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকো। সেখান থেকে সময় বের করে তোমরা এখানে অনেকটা সময় দিচ্ছো, এজন্য তোমাদের ধন্যবাদ জানাই। তাই এই সেক্টরে দক্ষ হলে তোমরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্কিল যে দিন দিন বাড়তেছে এটাই তার প্রমাণ। সবচেয়ে বড় কথা হলো আন্দোলন করে তোমরা দেশকে স্বাধীন করেছো, সারা বিশ্ব বিস্ময়ে তোমাদের দিকে তাকিয়ে দেখেছে। তোমরা যেটা পেরেছো তার জন্য আমরা গর্বিত। তোমাদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা, এর স্পি্রট ধারণ করলে এই স্বাধীনতা সার্থক হবে। পরিশেষে সুন্দর প্রোগ্রামের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের সাথে জড়িতদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন, ইডিজিই ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর সার্বিক সহযোগিতায় উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা গুলো চলমান আছে।
যাযাদি/ এম