জুলাই বিপ্লবের প্রায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিবাদী নামফলক পরিবর্তন করেনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) প্রশাসন। ফ্যাসিবাদীদের নামে নামকরণ করা বিভিন্ন ভবনের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নামগুলো পরিবর্তন করে ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবে শহিদ ও দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করতে চায় তাঁরা।
গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সুমন আলী স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।
ঐ পত্রে বলা হয়, বিগত ১৬ বছরে দেশ ও দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাঠামোগতভাবে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল, যবিপ্রবিও তার বাইরে ছিল না। যবিপ্রবির বিভিন্ন ভবনের নামের দিকে খেয়াল করলে আপনি আরও স্পষ্টভাবে সেটা বুঝতে পারবেন। পতিত দেশকে নিজের পরিবারের সম্পদ মনে করে সকল ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের নামকরণ করা হয় তার পরিবারের সদস্যদের নামে। যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবন, শেখ হাসিনা ছাত্রী হল, শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, বঙ্গবন্ধু কর্ণার প্রভৃতি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তারা এসব নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে কিছু নামফলক ভাঙার ঘটনাও ঘটে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের তিন মাস পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শিক্ষার্থীরা মনে করেন ভবনের নামগুলো পুনঃনামকরণ করে জাতীয় শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা হলে তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও গৌরবের বিষয় হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবিব বলেন, আমরা একটি আবেদন পেয়েছি। সেটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সেখানে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
যাযাদি/এআর