বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময়, অংশগ্রহণ করেনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৩

শাবি প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষে জুলাই বিপ্লবের চেতনা সমুন্নত রাখা ও জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রশিবির। তবে এতে অংশগ্রহণ করেনি শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে সিলেটের আম্বরখানায় ব্রিটানিয়া হোটেলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, শাবিপ্রবি শাখার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে ছাত্রশিবিরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মতবিনিমিয় সভায় শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র সমন্বয়ক আবু সালেহ মুহাম্মদ নাসিম, সমন্বয়ক পলাশ বখতিয়ার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি জুনায়েদ আহমদ, এইচআরডি সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি ওয়াসিম মুহাম্মদ শামস, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ইবরাহীম সৌরভ, জহিরুল ইসলাম ইমন প্রমুখ।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার বলেন, ‘দেশের প্রয়োজনে ছাত্রশিবির ফ্যাসিবাদবিরোধী সবার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে প্রস্তুত। ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগ দেশে নানা অরাজকতা করার চেষ্টা করছে। এসব অরাজকতা প্রতিরোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র সমন্বয়ক আবু সালেহ মুহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘জুলাইয়ের আন্দোলনে আমাদের সবার ঐক্যের ভিত্তি ছিল আমরা সবাই আওয়ামী লীগবিরোধী। এই ভিত্তির ওপরই আমরা আমাদের ঐক্য বজায় রাখব। জুলাইয়ের আন্দোলনে সবার অংশগ্রহণ রয়েছে, আমরা সবাই মিলেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি জুনায়েদ আহমদ বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও রক্ষা করা কঠিন। আমরা ’৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেও রক্ষা করতে পারিনি বলে ’২৪ সালে আবারও স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। সুতরাং আবারও কেউ স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে চাইলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিরোধ করতে হবে।’

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “একসময় তরুণ প্রজন্ম বলত, ‘আই হেইট পলিটিকস’। কিন্তু ’২৪-এর আন্দোলন ‘আই লাভ পলিটিকস’র ফসল। এটা এখনো জারি রাখা দরকার। রাজনীতিতে ভালো মানুষ না এলে সেখানে খারাপ মানুষ আসবে। রাজনীতির প্রতি অনীহা দূর করার জন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর উচিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বসা।’

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের সব চেষ্টাকে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে এখনো রিফর্ম না হওয়ায় একে একে ঝামেলাগুলো ঘটেই যাচ্ছে। ছাত্ররা সব সময় মাঠে থাকতে পারবে না। গুম, খুন, হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে পুলিশ বাহিনীকে রিফর্ম করতে হবে।

যাযাদি/ এসএম