প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ইকোনমিকস ডিপার্টমেন্টের "নবীন বরণ-২০২৪" অনুষ্ঠিত

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১

যাযাদি ডেস্ক
ছবি : যায়যায়দিন

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগ গুলশান ক্যাম্পাসে "নবীন বরণ-২০২৪" আয়োজন করে। নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ছিল একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুখরিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল কবির, প্রধান উপদেষ্টা; প্রফেসর আবুল কালাম, ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন; এবং রেজিস্ট্রার মো: সাকির হোসেন।

প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল কবির অনুষ্ঠানটির আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রধান অর্থনীতিবিদদের অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তাঁর বক্তব্যে অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণে ড. মুহাম্মদ ইউনুস, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং ড. রেহমান সোবহানের মতো বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের ভূমিকার গুরুত্ব উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ ছিল বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদদের জীবনীমূলক উপস্থাপনা। এতে অ্যাডাম স্মিথ, জন মেনার্ড কেনস, কার্ল মার্কস, ডেভিড রিকার্ডো, জ্যঁ-বাতিস্তে সে, অমর্ত্য সেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং ২০২৪ সালের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যারন আসেমোগলু, সাইমন জনসন, এবং জেমস এ. রবিনসন-এর অবদান তুলে ধরা হয়। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদরা প্রতিষ্ঠানগত কাঠামো অর্থনীতিতে কীভাবে প্রভাব ফেলে এবং অসমতা নিরসনে ভূমিকা রাখে, সে বিষয়ে গবেষণার জন্য সম্মানিত হন। পাশাপাশি, ভারতের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. বি.আর. আম্বেদকর ও ড. অমর্ত্য সেনের আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতার উপর কাজও আলোচিত হয়।

নতুন শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব এবং মডেলের সাথে পরিচয় করানো হয়, যার মধ্যে ছিল ক্লাসিকাল এবং কেনসিয়ান অর্থনীতি, সের আইন, রিকার্ডোর তুলনামূলক সুবিধা তত্ত্ব, গেম থিওরি, সলো গ্রোথ মডেল এবং সরবরাহ ও চাহিদা তত্ত্ব। এ আলোচনা শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক চিন্তা ও নীতিনির্ধারণের মূল কাঠামো সম্পর্কে গভীর ধারণা প্রদান করে।

অর্থনীতি বিভাগের প্রধান এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম নবাগত শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান এবং অর্থনীতি শিক্ষায় উৎকর্ষ ও উদ্ভাবন নিশ্চিত করতে বিভাগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের বহুমুখী প্রতিভার প্রদর্শনী করেন। এটি নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য এক স্মরণীয় একাডেমিক যাত্রার সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

যাযাদি/ এস