ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ’শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসলামিক ও আধুনিক শিক্ষার সংমিশ্রণ ঘটানোর লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করেছিলেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ৪৬তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে আমার চেতনায় ধারণ করি, তা বাস্তবায়নে কাজ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সংস্কার করে আন্তর্জাতিক মানের করার চেষ্টা করবো। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি উন্নয়নের সড়কে আনতে চাই, লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সড়কে আনতে চাই। সর্বোপরি আমরা বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করবো এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ তৈরি করবো।’
উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিনস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি।
এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, হলসমূহের প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ও চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম।
এর আগে সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটা, পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতীক পায়রা এবং আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। উদ্বোধন শেষে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। র্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ। পরে সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও দোয়া মোনাজাত করা হয়। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।