পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ
প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৩
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত পাঁচ শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে জমকালো আয়োজনে নবীনবরণ অনুষ্ঠান করেছে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবির।
দিনাজপুরের অন্যতম জনপ্রিয় রিসোর্ট দ্যা গ্র্যান্ড দাদুবাড়ি রিসোর্ট এ সাড়ে ছয়শত শিক্ষার্থীদের নিয়ে উক্ত নবীনবরণের আয়োজন করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
নবীনবরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজওয়ানুল হক।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আফসার আল মাহমুদ, অনলাইনে যুক্ত ছিলেন হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকন ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর আব্দুস সোবহান সহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
নবীন শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আলোচনা রাখেন হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকন ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর আব্দুস সোবহান।
পরবর্তীতে হাবিপ্রবির নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। ছাত্রশিবিরের কাজ কি কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হলো সমাজের সকল অন্যায় বৈষম্যের মূল উৎপাটন করে আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানুষের সার্বিক জীবনের তথা সমাজের পুনর্বিন্যাস করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য আমাদের সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক লিডারশিপ প্রয়োজন। ছাত্রশিবির সেই সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক লিডার তৈরি করছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, ছাত্রশিবিরের এই আয়োজন করার মধ্য দিয়ে আমরা আপনাদের কাছে কিছু মেসেজ পৌঁছিয়ে দিতে চাই। আপনাদের ভিতরে একটা বোধ শক্তি আছে। প্রত্যেকটা মানুষের বিবেক আছে, বিবেকের একটা দরজা আছে। যখন সেই দরজায় নক করা হয় মানুষটা সচেতন হয়ে উঠে। যখন বিবেকের বিষয় গুলো তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় তখন সে সামনে অগ্রসর হওয়ার জন্য শক্তি পায়, প্রেরণা পায়। ছাত্রশিবিরের এই আয়োজন হচ্ছে আপনারা সমাজের জন্য, নিজেদের জন্য যে কাজটা করতে চান সেটা আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য, আপনার ভিতরের বোধ শক্তি জাগ্রত করে দেওয়া, একটা স্বপ্নকে বড় করে দেখার একটা জায়গা করে দেওয়া। মূলত এর জন্যই আজকে আমাদের এই আয়োজন। একজন শিক্ষার্থী চাইলে এখান থেকে সর্বোচ্চ ভালো হইতে পারবে আবার চাইলে নিজেকে অধঃপতনের সর্বনিম্ন জায়গায়ও নিয়ে যেতে পারবে। এই জন্য আমাদেরকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে, আমাদের করণীয় কি, আমার আত্মপরিচয় কি, কি পরিচয় নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছি, এসবে যতবেশি সচেতন হতে পারবেন ততবেশি নিজে যে জায়গায় যেতে চাই সে জায়গায় যাওয়া সহজ হবে।
যাযাদি/এআর