বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উপাচার্যের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয়ে ওই গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. রিচার্ড বেল ও তার সহযোগীদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা হয়।
সভায় বাকৃবি ও মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা শিক্ষা ও গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং কৃষি গবেষণার মানোন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেসের) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো হাম্মাদুর রহমান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসনীন জাহান, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো ওয়াকিলুর রহমান, কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন এবং কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদা নাসরীন।
মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, বাকৃবি তাদের অন্যতম কার্যকর গবেষণা অংশীদার হিসেবে কাজ করছে এবং গত এক দশকে যৌথ গবেষণায় বাকৃবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও সমর্থনকে তারা অত্যন্ত মূল্যায়ন করেন। তারা ভবিষ্যতে কৃষি গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভায় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাকৃবি সবসময় মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক গবেষণায় সমর্থন দিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তবে, এসব গবেষণা কৃষকদের জন্য উপকারী ও টেকসই হতে হবে।"
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে মারডক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকৃবি যৌথভাবে বাংলাদেশে সংরক্ষণ কৃষি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার বা সিএ) প্রযুক্তি প্রচলনের উপর কাজ করছে। সংরক্ষণ কৃষি পদ্ধতি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো, কৃষি উপকরণ (জ্বালানি, সার ও পানি) কমানো, কৃষকদের মুনাফা বৃদ্ধি এবং মাটির স্বাস্থ্য ও উর্বরতা উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
যাযাদি/ এসএম