দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠিত

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১৬

গাজীপুর প্রতিনিধি
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত সরকারের আমলে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই ২০১২ থেকে জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সকল প্রকার ক্রয়-বিক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, বাড়ি-ভাড়া, গাড়ি ব্যবহার, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক চরম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়টি সত্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে৷ গত ৩ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গঠিত কমিটি ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন প্রকার আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম/দুর্নীতি থাকলে তা চিহ্নিত করবে। প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি/রুলস—রেগুলেশন ও সরকারি বিধিবিধান লংঘিত হয়ে থাকলে তা নিশ্চিত করবে এই সত্যানুসন্ধান কমিটি।

১১-সদস্যের এ কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো: লুৎফর রহমান।

এছাড়াও এ কমিটির সদস্যরা হলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: নুরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, প্রফেসর ড. মো: কামরুল হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব, প্রফেসর ড. মো: সাব্বির মোস্তফা খান, পানি সম্পদ বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, জনাব কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. মো: আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা, সহযোগী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এই কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।

যাযাদি/এআর