ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ তিনদিন ব্যাপী ‘রিসেন্ট ইনোভেশন ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ (আইআইসিএএসডি-২০২৪) বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের আয়োজনে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এ কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কনফারেন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব, কী নোট স্পিকার জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইউওয়া তাকাহাসি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তিনদিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সুষ্ঠুভাবে সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদ, বিভাগসহ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘তিনদিন ধরে এ কনফারেন্সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচারের বিভিন্ন শাখায় নতুন নতুন ধারণা, উদ্ভাবনী এবং সমস্যা সমাধানের কৌশলগুলি নিয়ে পরস্পরের মধ্যে যে অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা, জ্ঞানের আদান-প্রদান দেখেছি, তা স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবহার থেকে শুরু করে গ্রীন আর্কিটেকচার এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত প্রযুক্তির অন্বেষণসহ নতুন অন্তর্দৃষ্টির দ্বার উন্মোচন হবে। যা গবেষক, নীতি-নির্ধারক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও গবেষণা সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার বিষয়ে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হই, সে সম্পর্কে আরও ব্যাপকভাবে চিন্তা ও গবেষণা করতে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে উপস্থাপিত উদ্ভাবনগুলো প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে মতবিনিময়, কোলাবোরেশন ও কর্মপন্থা নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আমাদের দেশের প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি শিক্ষা তথা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার বিষয়ক শিক্ষাকে আরো উন্নত করবে।’
অনুষ্ঠানে কী নোট স্পিকার অধ্যাপক ড. ইউওয়া তাকাহাসি কনফারেন্সের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে কী নোট স্পিকার হিসেবে অংশগ্রহণ করেতে পেরে আমি ভীষণভাবে আনন্দিত ও আতিথিয়েতায় মুগ্ধ।
আমি লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাধমীর্ কার্যক্রমে প্রচুর আগ্রহ বেড়েছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা এবং গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ে কোলাবোরেশনে মাধ্যমে আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।’
অনুষ্ঠানে কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম ও আর্কিটেকচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বায়েজিদ ইসমাইল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন।
ডুয়েট'র সহকারী পরিচালক মো. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার ওই তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, তিনদিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে ৭টি কী-নোট স্পিচ, ১১২টিরও বেশি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপিত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত বেস্ট রিসার্স পেপার উপস্থাপনকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক তাসনিম নিশাত ঐশী ও আর্কিটেকচার বিভাগের প্রভাষক সুনিলা বিনতে আহসান।
যাযাদি/ এআর