এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৫৯

ইবি প্রতিনিধি
ছবি সংগৃহীত

দীর্ঘ সাত বছর পর প্রকাশ্যে এসেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। তবে সংগঠনটির দুইজন নেতার নাম জানা গেছে।

তারা হলেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এইচ এম আবু মুসা এবং সেক্রেটারি ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের মাহমুদুল হাসান। সভাপতি ও সেক্রেটারি যথাক্রমে ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে সংগঠন থেকে বিবৃতি প্রদান করা হয়। এতে সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতার প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি উঠে আসে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে শাখা ছাত্রশিবির।

এদিকে এদিন বিকালে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী এলাকায় ওয়ালিউল্লাহ-আল মুকাদ্দাস মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে দোয়ায় আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য আলী আজম মো. আবু বকর। এছাড়াও সভায় ইবি ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান।

অতিথির বক্তব্যে আলী আজম মো. আবু বকর বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস বর্বরতার ইতিহাস। পতিত স্বৈরাচারকে কোনো অবস্থাতেই উঠে দাঁড়াতে দেয়া যাবেনা, আগামীতে যদি আবারো এরা ক্ষমতায় আসে তাহলে প্রকাশ্যে খুন ও গুমের রাজনীতিতে মেতে উঠবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। এ ব্যাপারে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসরেরা এ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একের পর এক ইস্যুর মাধ্যমে অঘটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া যাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে এইচ এম আবু মুসা বলেন, শহীদেরা আমাদের প্রেরণা। তাদের জীবনাচরণ আমাদের দেশ ও ইসলামের ত্যাগের শিক্ষা দেয়। তিনি ২৮ শে অক্টোবরে যারা আওয়ামী বর্বরতার শিকার হয়ে ইন্তেকাল করেছেন তাদের জন্য শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করেন ও মুনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভার সমাপনী ঘোষণা করেন।

যাযাদি/ এস