পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আব্দুল হান্নান (৫৭) এর পরিবারকে দেখতে তার বাড়িতে যান।
আব্দুল হান্নান ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার মিরপুরে মোটরসাইকেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার বাড়ি পাবনার সাথিয়া থানার এদ্রাকপুর গ্রামে।
উপাচার্য ড. এসএম আব্দুল আওয়াল দীর্ঘ সময় হান্নানের স্ত্রী, সন্তানদের সাথে কথা বলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। তার ছেলের পড়াশোনার খবর নেন।
আব্দুল হান্নান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে মাস্টার রোলে দীর্ঘ ২৭ বছর (মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত) চাকরি করতেন। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ এবং কোনোকিছু করার বিষয়ে তার যা করণীয় সর্বোচ্চটা করবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো এবং মানবিক সহযোগিতা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের জন্য অবশ্যই আমাদের ভালোকিছু করতে হবে। তিনি গোরস্তানে গিয়ে আব্দুল হান্নানের কবর জিয়ারত করেন
এ সময় উপাচার্যের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বাবুল হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবিপ্রবি সমন্বয়ক মো. মিরাজুল ইসলাম, ফাহিম সিহাব সাদ ও আব্দুর রহমান সাথে ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের সাথে তার দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা তিন ছাত্রদের সাথে কথা বলেন এবং আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ জানতে চান। পাবিপ্রবি থেকে আহত ৯ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
তারা হলেন: ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সানোয়ার সনি ও মো. আনিছুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের মাসুম বিল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের রাকিব হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাহমুদুল হাসান রোহান, সিএসই বিভাগের তুষার ইমরান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মো. তামিম হাসান, পরিসংখ্যান বিভাগের তাসিন রহমান এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আতাউল্লাহ যোবায়ের।
এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হক এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/এআর