হাবিপ্রবিতে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:২৪ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:২৯

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৮১ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির অংশগ্রহণে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ উক্ত সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী এই সম্মেলন চলবে আগামী শনিবার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত।

এতে প্রধান অতিথি (হাবিপ্রবির জরুরী আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম.জাহাঙ্গীর কবির, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শামসুজ্জোহা, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক মোঃ খাদেমুল ইসলাম, হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার সেক্রেটারী জেনারেল সাদমান সাকিব, ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল শাকিল আহমেদসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।  

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ বলেন, আমরা জানি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর শান্তির বার্তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরাও শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সেটি কি বাস্তবায়িত হচ্ছে? বর্তমানে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি জাতিসংঘ এসব বিষয় সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ইসরাইল কর্তৃক প্যালেস্টাইনে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা জাতিসংঘের কার্যকর কোন ভূমিকা দেখতে পারিনি। আমি আশা করব, ছায়া জাতিসংঘ সংস্থা এই বিষয়গুলো হাইলাইট করবে। পাশাপাশি এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই। একটা সময় শিক্ষার্থীদের হলে সিট বরাদ্দসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে বৈষম্য ছিল। এই বিষয় গুলোও আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। পরিশেষে, এ ধরণের আন্তজার্তিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার সেক্রেটারী জেনারেল সাদমান সাকিব বলেন, একসময় বলা হতো এই যুগের শিক্ষার্থীরা তথা তরুণ প্রজন্ম কি পারে? কিন্তু আমরা কি করতে পারি সেটি দেখিয়ে দিয়েছি। মাত্র এক মাসের আন্দোলনে ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করেছি। এখন আমরা শিক্ষার্থীরা এই দেশকে আবার নতুন করে গড়তে চাই। যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা এ দেশের তরুণদের আছে। আমাদের দেশে উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হলো বৈষম্য, এই বৈষম্য নিরসনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। 

হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার আয়োজনে এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “বৈষম্য মোকাবেলা করার জন্য আইন প্রণয়ন, সামাজিক সমতা উন্নীত করা এবং যুব সম্পৃক্ততার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত একীকরণকে এগিয়ে নেয়া” ।

যাযাদি/এআর