রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে সীরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ব্যতিক্রম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জোট’র পরিবেশনায় সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় হলের টিভির কক্ষে এর আয়োজন করেন হল কর্তৃপক্ষ।

হল প্রভোস্ট ও আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ছ ম তরীকুল ইসলাম এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুজাহিদুর রহমান। এসময় ইবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলি।

আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. আ ছ ম তরীকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যক্তির গবেষণা ইনস্টিটিউট থাকলেও মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কোনো ধরনের গবেষণা ইনস্টিটিউট নেই। যা এই জাতির ধ্বংসের মূল কারণ বলে আমি মনে করি৷ এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে গবেষণা ইনস্টিটিউট না থাকায় আজ মুসলিম জাতি সবচেয়ে বড় সংকটে। সুতরাং মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে পরকালে নাজাত পেতে হলে অবশ্যই মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী সম্পর্কে জেনে বাস্তবিক জীবনে তার প্রতিফলনের চেষ্টা করতে হবে।’

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘হলের গণরুমগুলোই ছিল বৈষম্যের কারখানা। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমি প্রথমে হল থেকে গণরুম কালচার তুলে দিয়েছি। এছাড়া আমরা দোয়া করি, স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এই জাতির যারা জীবন দিয়েছেন তাদেরকে আল্লাহ জান্নাত নসিব করুন।’

যবিপ্রবিতে একযোগে প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পেলেন ১৪ শিক্ষক

এদিকে রাত নয়টার দিকে ব্যতিক্রম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জোটের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

যাযাদি/ এসএম