পরিচয় লুকানো নিয়ে যা বললেন শিবির সভাপতি সাদিক কায়েম

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫

যাযাদি ডেস্ক
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের কমিটি ইস্যুতে আলোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশজুড়ে। গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ্যে আসেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় জানান দেন তিনি। আর রোববার প্রকাশ্যে আসেন ছাত্র সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ।

এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন সাদিক কায়েম। সামনের সারির সমন্বয়কদের সাথেও দেখা যায় তাকে। কিন্তু ‘কেউ’ বুঝতে পারেনি এই সাদিক কায়েম শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। 

ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে তার সংশ্লিষ্টতা জেনে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, তারাও বুঝতে পারেননি সাদিক কায়েম শিবির নেতা। নেটিজেনদের অনেকে পরিচয় গোপন রেখে আন্দোলনে ভূমিকা রাখাকে নেতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।

এ নিয়ে সাদিক কায়েম একটি টেলিভিশনকে বলেন, পরিচয় বড় কথা নয়, স্বৈরাচার পতনই ছিল মূখ্য বিষয়। এখানে আমাদের পরিচয় ভুলে গিয়ে প্রথম টার্গেট ছিল কোটা সংস্কার করা, দ্বিতীয়ত ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা। এক্ষেত্রে আমরা মনে করেছি, এখানে যদি আমরা আমাদের পরিচয় এখানে নিয়ে আসি এখানে দ্বিধা-বিভক্তি হতে পারে।

তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোটা সময় পলিসি তৈরি ও মাঠপর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। মূল সমন্বয়কদের সাথে যুক্ত ছিলেন শিবিরের এই নেতা।

ঢাবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ-ও আন্দোলনে যুক্ত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এর মধ্যে তার আরও একটি পরিচয় সামনে এসেছে। এস এম ফরহাদ ছাত্রলীগেরও পদধারী ছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ। তাকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অনেক নেতার সাথে ছবিতে দেখা যায়। এ নিয়ে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে।

এ নিয়ে এস এম ফরহাদের বক্তব্য, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ও জসিম উদ্দিন হল ডিবেট সোসাইটির নেতা হওয়ার কারণে ছাত্রলীগে নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ছবিতে ছিলেন তিনি। এছাড়া ছাত্রলীগের কোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিল না বলে দাবি তার।

যাযাদি/ এস